মহুয়া/ছায়া
< মহুয়া
(পৃ. ১৫১-১৫২)
ছায়া
আঁখি চাহে তব মুখপানে,
তোমারে জেনেও নাহি জানে।
কিসের নিবিড় ছায়া
নিয়েছে স্বপন কায়া
তোমার মর্ম্মের মাঝখানে॥
হাসি কাঁপে অধরের শেষে
দূরতর অশ্রুর আবেশে।
বসন্ত কূজিত রাতে
তোমার বাণীর সাথে
অশ্রুত কাহার বাণী মেশে॥
মনে তব গুপ্ত কোন্ নীড়ে
অব্যক্ত ভাবনা এসে ভিড়ে।
বসন্ত পঞ্চম রাগে
বিচ্ছেদের ব্যথা লাগে
সুগভীর ভৈরবীর মীড়ে॥
তোমার শ্রাবণ পূর্ণিমাতে
বাদল র’য়েছে সাথে সাথে।
হে করুণ ইন্দ্রধনু,
তোমার মানসী তনু
জন্ম নিল আলোতে ছায়াতে
অদৃশ্যের বরণের ডালা,
প্রচ্ছন্ন প্রদীপ তাহে জ্বালা।
মিলন নিকুঞ্জ-তলে
দিয়েছো আমার গলে
বিরহের সূত্রে গাঁথা মালা॥
তব দানে, ওগো আনমনা
দিয়ো মোরে তোমার বেদনা
যে-বন কুয়াষা-ছাওয়া
ঝরা ফুল সেথা পাওয়া,
থাক তাহে শিশিরের কণা॥
৫ ভাদ্র, ১৩৩৬