মহুয়া/নাম্নী/প্রতিমা

প্রতিমা

চতুর্দ্দশী এলো নেমে
পূর্ণিমার প্রান্তে এসে গেল থেমে।
অপূর্ণের ঈষৎ আভাসে
আপন বলিতে তা’রে মর্ত্ত্যভূমি শঙ্কা নাহি বাসে
এ ধরার নির্ব্বাসনে
কুণ্ঠার গুণ্ঠন নাই, ভীরুতা নাইকো তা’র মনে,
সংসার-জনতামাঝে।
আপনাতে আপনি বিরাজে।
দুঃখে শোকে অবিচল, ধৈর্য্য তা’র প্রফুল্লতাভরা,
সকল উদ্বেগভার-হরা!
রোগ যদি আসে রুখে
সকরুণ শান্ত হাসি লেগে থাকে গ্লানিহীন মুখে
দুর্য্যোগ মেঘের মতো
নীচে দিয়ে ব’হে যায় কত
বারেবারে,
প্রভা তা’র মুছিতে না পারে।

তবু তা’র মহিমায় কিছু আছে বাকি,
সেইখানে রাখে ঢাকি’
অশ্রুজল
বিষাদ-ইঙ্গিতে ছোঁওয়া ঈষৎ বিহ্বল।
কণামাত্র সে ক্ষীণতা
নাহি কহে কথা,
কেহ না দেখিতে পায়
নিত্য যারা ঘিরে আছে তায়।
অমরার অসীমতা মাটিতে নিয়েছে সীমা,—
—নাম কি প্রতিমা?