মানসিংহ/ভবানন্দের কাশী গমন
ভবানন্দের কাশীগমন।
জয়তি জননী অন্নদা। গিরিশ নয়ন নন্মদা
অখিল ভুবন ভক্ত২ ভক্তি মুক্তি শর্ম্মদা॥
কর বিলসিত রত্ন দর্ব্বী পানপাত্র সারদা।
তরুণ কিরণ কমল কোচ নিহিত চরণ চা-
রদা॥ ভব নিপতিত ভারতস্য ভব জল
নিধি পারদা॥ ধ্রু॥
অযোধ্যা হইতে যাত্রা কৈলা মজুন্দার। ডানি বামে যত গ্রাম কত কব তার॥ অন্নপূর্ণা দেখিবারে কৈলা মনোরথ। ধরিলা কাশীর পথ কৈলাসের পথ॥ শোক দুঃখ পাপ তাপ পলাইল॥ শুভক্ষণে প্রবেশিলা বারাণসী পুরে॥ মণিকর্ণিকার জলে করি স্নান দান। দর্শন করিলা বিশ্বেশ্বর ভগবান। এক মাস কাশী মাঝে করিয়া বিশ্রাম। দেখিলা সকল স্থান কত কব নাম॥ অন্নপূর্ণাপুরে অন্নপূর্ণার প্রতিমা। বিশ্বকর্ম্মা নিরমিত অতুল মহিমা॥ শিব কৈলা যার পূজা দেবগণ লয়ে। করিলা তাঁহার পূজা সাবধান হয়ে॥ ষোড়শোপচার উপহার কত আর। পুথিবেড়ে যায় আর কত কব তার॥ ব্রতদাস পূজা কৈলা কাশীতে আসিয়া? সাক্ষাত হইয়া দেবী কহিলা হাসিয়া॥ অরে বাছা ভবানন্দ বরপুত্র তুমি। তোমার পরশ পুণ্যে ধন্য হৈল ভূমি॥ তুমি হৈলা ধরাপতি ধন্য হৈল ধরা। বিলম্ব না কর ঘরে চল করি ত্বরা। চন্দ্রমুখী পদ্মমুখী মোর ব্রতদাসী। তুমি মোর ব্রতদাস বড় ভাল বাসি॥ গোপাল গোবিন্দ আর শ্রীকৃষ্ণ কুমার। তিন জন সদা তিন লোচন আমার॥ সুখে গিয়া রাজ্য কর তা সবারে লয়ে। করিহ আমার পূজা সাবধান হয়ে॥ সেখানে তোমারে দেখা দিব আরবার। সেই কালে কব কথা যত আছে আর॥ এত বলি অন্ন পূর্ণা কৈলা অন্তর্দ্ধান। মূর্চ্ছা হৈল মজুন্দারে পুনঃ হৈল জ্ঞান॥ বিস্তর করিয়া স্তুতি প্রতিমা সম্মুখে। দেশেরে চলিলা অন্নপূর্ণা ভাবি সুখে॥ অন্নপূর্ণা মঙ্গল রচিল করিবর। শ্রীযুত ভারত চন্দ্র রায় গুণাকর॥