মালা/তাপিতা
(পৃ. ৩৪-৩৫)
তাপিতা।
দীনবন্ধু! দীননাথ! ডাকে দীনহীনা—
জুড়াও এ তাপিতারে বিতরি করুণা।
জ্বলে প্রাণ নিশি দিন বিষম জ্বালায়।
আবদ্ধা রহিয়া সদ। নিয়তি কারায়।
বিরহ-ব্যথিত প্রাণ বিকৃত বিরসে।
তোমারে না স্মরি কভু হায় ভ্রম-বশে।
ধ্যান জ্ঞান জপ তপ ভজন পূজন—
হইয়াছে সার মম, নাথের চরণ।
ভরিয়া র’য়েছে প্রাণে তাহার মূরতি।
তাহাতে তোমার স্থান নাহি জগ’পতি।
জ্ঞানজ্যোতি প্রদানিয়া এ অভাগী জনে।
বিদূরিত কর এই মোহ প্রলোভনে।
নাহি পারি ভুলিবারে সেই সুখ-স্মৃতি।
অভিনব বেশে দেখা দেয় দিবা রাতি।
একবার ভ্রমে কভু না ভাবি তোমারে।
সতত আকুল প্রাণ হেরিতে নাথেরে।
অনিত্য এ সংসারের নাট্য অভিনয়ে।
অভিভূত হ’য়ে প্রাণ রহে কি লাগিয়ে?
শান্তিময়! শান্তি বারি দগ্ধ প্রাণে ঢালি,
জুড়াও এ জ্বালা মম, কাতরেতে বলি।