মিঠেকড়া/ভালো খাবার
ধনপতি পাল, তিনি জমিদার মন্ত;
সূর্য রাজ্যে তাঁর যায় নাকো অস্ত
তার ওপর ফুলে উঠে কারখানা-ব্যাঙ্কে
আয়তনে হারালেন মােটা কোলা ব্যাঙকে।
সবার “হুজুর” তিনি, সকলের কত,
হাজার সেলাম পান দিনে গড়পড়তা।
সদাই পাহারা দেয় বাইরে সিপাই তার,
কাজ নেই, তাই শুধু খাই-খাই’ বাই তার।
এটা খান, সেটা খান, সব লাগে বিঘুটে,
টান মেরে ফেলে দেন একটু খাবার খুঁটে;
খাদ্যে অরুচি তঁার, সব লাগে তিক্ত,
খাওয়া ফেলে ধমকান শেষে অতিরিক্ত।
দিনরাত চিৎকার: আরাে বেশি টাকা চাই,
আরাে কিছু তহবিলে জমা হয়ে থাকা চাই।
সব ভয়ে জড়ােসড়াে, রােগ বড়াে পাচাননা,
খাওয়া ফেলে দিনরাত টাকা ব'লে চঁাচানাে।
ডাক্তার কবিরাজ ফিরে গেলে বাড়িতে;
চিন্তা পাকালে জট নায়েবের দাড়িতে।
নায়েব অনেক ভেবে বলে হুজুরের প্রতি।
কী খাদ্য চাই? কি সে খেতে উত্তম অতি?
নায়েবের অনুরােধে ধনপতি চারিদিক
দেখে নিয়ে, বার কয় হাসলেন ফিক্-ফিক্;
তারপর বললেন: বলা ভারি শক্ত,
সবচেয়ে ভালাে খেতে গরীবের রক্ত।