মিবাররাজ/উপসংহার
উপসংহার।
গুহ যে মালিককে মারিয়াছেন, তাহা রাষ্ট্র হইতে বাকী রহিল না, কিন্তু মন্দালিকের ন্যায় পিতৃতুল্য স্নেহশীল বন্ধুকে কেন যে তিনি মারিলেন, তাহার কারণ ভীলেরা ভাবিয়া পাইল না, চিরকালই তাহার কারণ অজ্ঞাতের গর্ভে লুক্কায়িত রহিয়া গেল। কলঙ্কের ডালি মাথায় লইয়া গুহা গ্রহাদিত্য নামে ইদরে রাজত্ব করিতে লাগিলেন। ইতিহাস এখন পর্য্যন্ত তাঁহার এই কলঙ্কের কথা ঘোষণা করিতেছে।
গুহাই মিবাররাজবংশের আদি-পুরুষ, তাই প্রকৃত প্রস্তাবে মিবাররাজ নাম ইঁহার প্রাপ্য না হইলেও (ইঁহার বংশধর বাপ্পাই এই নামের প্রকৃত অধিকারী।) আমরা ইঁহাকে মিবাররাজ আখ্যা প্রদান করিলাম। কেন না সমগ্র মিবারে ইনি আধিপত্য বিস্তার না করুন—মিবার সীমানায় ইনিই সর্ব্বাগ্রে সূর্য্যবংশীয় ধ্বজা উড্ডীন করেন। ইঁহার নাম হইতেই মিবারের রাজাগণ পরে “গুহলুট” এই আখ্যা পাইয়াছিলেন। ভীলের রক্তফোটা পরিয়া গুহা রাজপদে অভিষিক্ত হইয়াছিলেন, সেই হইতে রাজ্যাভিষেক কালে বনপুত্রের (ভীলের) কনিষ্ঠ অঙ্গুলির রক্তফোটা গ্রহণ করা মিবার-রাজদিগের একটি পদ্ধতি হইয়া পড়িয়াছে। যাহারা রক্তফোটা পরায়—তাহাৱা মিবাররাজদিগের নিকট জায়গীর পাইয়া থাকে।