রসকেলী/দ্বিতীয় ছাঁদ

দ্বিতীয় ছাঁদ~

ভাদ্রর মাসর গুরুর দিন।
সেদিন জনর পূর্ণ যৌবন॥
মনরে পাইণ আত আনন্দ।
রসকেলী কলে নিজ গোবিন্দ॥
শ্রীকৃষ্ণ পাইণ জোছনা দিন।
রঙ্গ করি থিলে রাধা সঙ্গেণ॥

সেদিন শ্রমরে কাতর হোই।
গোপমানে সবু নিদ্রা যে যাই॥
গভীর রাত্রর ঘোর নিদ্রার।
অজ্ঞান হোইলা গোপর পুর॥
শ্রীকৃষ্ণ তঁহিরে মায়া ভিইলা।
গোপীমানে সবু চাঁহিণ থিলা॥
রান্ধাবাড়া সবু সারিণ গোপী।
শুইতে যিবাকু করে উপেক্ষি॥
শ্রীকৃষ্ণ কথাকু মনরে স্মরি।
বসি অছন্তি সবু গোপ নারী॥
কে বোলে শ্রীকৃষ্ণ সে টোকা কালে।
পড়িলে যাই সন্দীপ টোলে॥
তাঙ্কর পুয়কু উদ্ধার কলে।
শঙ্কাসুর তঁহু স্বর্গে বসিলে॥

গোপীঙ্ক সহন সহি ন পারি।
কালন্দী কূলরে কালকু মারি॥
কালরে তঁহির হোইলা নাশ।
নাশ হোই গলা তাহার বিষ॥
টোকা কালে সে যে গরু চরাই।
শ্রীদামে সুদামে সঙ্গরে নেই॥
কেতি ক্রীড়া কলে তা মান সঙ্গে।
কেতি রূপ হেলে কেমন্ত রঙ্গে॥
গোপর ননী যে করিলে চুরি।
গোপ গোপীমানে ন ধরি পারি॥
শেষরে কহিলা মতি পাখর।
তুম্ভর পুঅকু জবদ কর॥
বান্ধিলা তাহাকু যমলার্জ্জুনে।
উদ্ধার হোইলা পাপ নাশণে॥

এমন্ত প্রকারে কেতে যে লীলা।
আউরি কেতে যে লেখি ন হেলা॥
এমন্ত সময়ে যমুনা কূলে।
শ্রীকৃষ্ণঙ্ক বংশী তঁহি বাজিলে॥
শুণি গোপীর হোইলা চিন্তা।
যমূনা কূলকু কেমন্তে যিবা॥
কে বোলে কি শব্দ হোইলা কেহ্নে।
কুহিলি রাবিলা কদম্ব বনে॥
এ নহে বসন্ত যৌবন কাল।
কি শব্দ হোইলা মনরে ভাল॥
কে বোলে এ নহে বংশীর ধ্বনি।
বাজই সুস্বর ডাকে গোপিনী॥
সকল মনরে হোইলা আকা।
চল গো যাইণ করিবা দেখা॥

এতে কহি সর্ব্বে সাজে গোপিনী।
মুরারী দ্বিজে সে মাগে মেলাণি॥