রসকেলী।

প্রথম ছাঁদ~

একদিনে স্বর্গে সে ব্রহ্মরাশি।
নিশ্চিন্ত হোইণ অছই বসি॥
কেতে যে ভাবন্তি মন মধ্যরে।
কি কথা ভাবন্তি কে কহি পারে॥
এমন্ত সময়ে পুছে নারদ।
ফেড়িণ কহ গো কেণে বিষাদ॥
কহন্তি নারদে মনরে হঁসি।
কহুছে তোতে যে শুণ বিশেষি॥
সম্মুখে আসুছি এ কলি কাল!
কেমন্তে তরিব মানবকুল॥

কহ কহ বোলি পুণ পুছিলে।
কেমন্তে তরিব মানব কুলে॥
কহুছে ফেড়িণ ব্যস্ত ন হুঅ।
তরিবার অছি এক উপায়॥
ইহা যদি নর করিণ পারে।
তেবে সে যাইব ভবর পারে॥
এতে শুণি তাঙ্ক মনে আনন্দ।
বিশেষি শুণিতে হেউছি সাধ॥
যেসনে জন্মিবা হোইণ গোপ।
ধরিবা আম্ভে যে শ্রীকৃষ্ণ রূপ॥
সে সময়রে নীলা কার্য্যাদি যেতে।
তোতে কিবা আম্ভে কহিবা কেতে॥
তাহাকু আদর করি যে জন।
পড়ি শুণিবারে ধ্যানরে মন॥

ইথরে যে পাপ যিব খণ্ডিণ।
জানিব নিশ্চয়ে কহুছে শুণ॥
নারদ শুণিণ পুছই পুণি।
কেমন্তে সে নীলা কহগো শুণি॥
ইহা শুণি কহে সে ব্রহ্মঋষি।
রসকেলী কথা কহে বিশেষি॥
এমন্ত শুণিণু নারদ মুনি।
প্রকাশ করিলে মর্ত্ত্যরে পূণি॥
পূর্ব্বে কবিমনে লেখিণ থিলা।
এবে যে সে নীলা প্রকাশ হেলা॥
ভক্তি শ্রদ্ধারে পড়িব শুণিব।
তেবে যে তুম্ভর পাপ খণ্ডিৰ॥
অশ্রদ্ধা করিব যেবা অধম।
পাপী নাহি মর্ত্ত্যে তাহার সম॥

ব্রতকথা মানে যেতে যে অছি।
নিষ্ঠারে করিব কহি বিশেষি॥
সেথকু যে হরি সদয় হুঅ।
তেবে যে লেখিবা হোই নির্ভয়॥
ভক্তিরে শ্রীহরি পদকু স্মরি।
লেখিলা দ্বিজ যে হীন মুরারী॥