রহস্য-ভেদ।

 
দৈন্যের অবধি নাই, তবুও কেমনে
কোথা হতে এত গর্বব দেখা দেয় মনে
তাই আমি ভাবি, শূন্য ভিক্ষাপাত্র খানি
তবু হায় কোথা হতে কেমনে না জানি
বিশ্বের ঐশ্বর্য্য ভারে পরিপূর্ণ হয়ে
আমারে নিমগ্ন করে অসীম বিস্ময়ে!
ব্যথিত বিহ্বল প্রাণ কোথা হতে আনে
অমৃত-সিঞ্চিত সুখ, কি সান্ত্বনা গানে
পরিপূর্ণ করি তোলে অপূর্ণ জীবন,
সুকুমার দেহলতা পেলব যৌবন
না জানি কোথায় পেল অক্ষয় ক্ষমতা,
তাই প্রতিদিন লভে দিব্য অমরতা
দুঃসাধ্য সাধিয়া—বুঝিবারে বাকী নাই
দেবতা পশেছে প্রাণে, এ ক্ষমতা তাই!