লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস/ফিরিঙ্গির সহিত দ্বন্দ্ব

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ।

——

ফিরিঙ্গির সহিত দ্বন্দ্ব।

 প্রায়ই সুরেশ সঙ্গীদিগের সহিত বৈকালে ময়দানে ইডেন গার্ডেন, ঘোড়দৌড়ের স্থানে বেড়াইতে যাইতেন। এরূপ সময়ে প্রায়ই তাঁহাদের ইংরেজ ব্যালকদিগের সহিত দেখা সাক্ষাৎ হইত। একদিন ময়দানে তাঁহাপেক্ষা বয়ঃজ্যেষ্ঠ দুইটা ফিরিঙ্গি বালক তাঁহাদের নিগার প্রভৃতি বলিয়া টাট্টা বিদ্রুপ করিতে ছিল, এমন কি শেষ তাঁহাদের সুয়ার পর্যন্ত বলিতেও ছড়িল না। সুরেশের আর সহ্য হইল না, তিনিও ফিরিঙ্গিদ্বয়কে যাহা মুখে লাগিল তাহা বলিয়া গালি দিলেন,—ফিরিঙ্গিদ্বয় সুরেশ কি ধাতুতে নির্ম্মিত তাহা জানিত না, তাঁহাকে ঘুসি মারিতে উদ্যত হইল, সুরেশ তখন আত্ম রক্ষা করিয়া ঘুষির প্রত্যুত্তরে তাদের একজনের নাসিকায় এমনই ঘুষি মারিলেন যে সে ঘুরিয়া পড়িল। তখন সেই দুইজন ফিরিঙ্গি একাকী সুরেশকে আক্রমণ করিল, ঘুসির উপর ঘুষি চলিতে লাগিল। শীঘ্রই ফিরিঙ্গিদ্বয় বুঝিল যে সুরেশ বয়কনিষ্ঠ হইলেও তাঁহাদের অপেক্ষা হীন বল নহে; এখন আর হাঁটিবার উপায় নাই। তাহারা প্রাণপণে আত্মরক্ষা করিতে লাগিল, কিন্তু সুরেশ এমনই গুরি বৃষ্টি করিতে লাগিলেন যে, শীঘ্রই ফিরিজিয় মৃতবৎ ভূমিসাৎ হইল। সুরেশ নীচমনা ছিলেন না, তিনি তাহাদের উভয়কে তখন সযত্নে তুলিয়া উহাদের সহিত মিউ কথা কহিয়া সেকহা করিয়া গৃহাভিমুখে চলিয়া গেলেন।