২৯

সিলেটের ব্রজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী, আব্দুল হামিদ আর কাছাড়ের খান সাহেব রাশিদ আলি লস্কর সবার আগেই এসেছেন। খাসি হিলসের নেতা নিকোলাস রায় ব্যক্তিগত কারণে আটকে পড়েছেন জানিয়েছেন, বসন্তকুমার দাস আসছেন। আসাম লবির কেউই আসেন নি। এরা কি আমাদের সঙ্গে থাকছেন না? ঠিক আছে। আপাতত আমরাই পরামর্শ করে ঠিক করি সিলেটের বঙ্গভুক্তির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে কাছাড়ের অবস্থিতি কী, বা কী হওয়া উচিত? ব্রজেনবাবু সরাসরি বললেন,

 —সিলেট কেন আর আসামের সঙ্গে থাকবে? ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, সামাজিক, ভাষিক কোনও দিকেই আসামের সঙ্গে তার থাকার যৌক্তিকতা নেই। আমরা আপাতত এ ভাবনায় স্থিত হই, এরপর বসা যাবে গোয়ালপাড়ার সঙ্গে। মানিকলাল বরুয়া অবশ্য ইতিমধ্যেই গোয়ালপাড়ার বঙ্গভুক্তির পক্ষে মনোভাব প্রকাশ করেছেন। ‘আসাম অ্যাসোসিয়েশনে’র কথা কিংবা অম্বিকাগিরি রায়চৌধুরীর কথা আপাতত আলোচনায় আনার প্রয়োজন নেই।

 আসলে ব্রজেনবাবু বছর দুই আগেই ‘সিলেট-বেঙ্গল রি-ইউনিয়ন লিগ’ এর পক্ষে একখানা মেমোরেণ্ডাম দিয়ে একটা আন্দোলন খাড়া করার চেষ্টাও করেছিলেন। তাঁর সেই ঐতিহাসিক দলিল আবার সবার হাতে হাতে ঘুরছে। সিলেট-কাছাড়ের অবস্থা নাকি গত শতকে ফ্রান্সের আলজাঁস লরেইন অঞ্চলের মতো। ফরাসি কথাকার আলফা এঁদের ‘দ্যা লাস্ট লেশন’ গল্পটি তিনি সবাইকে শুনিয়ে দিলেন। আমাদের সিলেট-কাছাড় তো একেবারে ফ্রান্সের বর্ডার সংলগ্ন দুটো জেলার মতোই। আসামের সঙ্গে থাকলে বাঙালির ভবিষ্যৎ যে অন্ধকার, ঘুরে ফিরে এ কথাটিই আসছে। এটা বিপিনচন্দ্রও অনুভব করেছেন। আসাম উপত্যকায় বাঙালি কেরানিদের সংখ্যাধিক্য দেখে ওদিকে অনেকেরই গাত্রদাহ হয়। আরও বেশি স্কুল কলেজ তৈরি না হলে অসমিয়াদের মধ্যে কেরানি, শিক্ষকশ্রেণি বেরিয়ে আসতে পারবে না। তাঁকে এটা আর্ল সাহেব বুঝিয়েছেন এবং তাই এদিকেই তাঁর মনোযোগ। এ না হলে ভবিষ্যতে Assam for Assamese আওয়াজ উঠবে, এটা সেদিনই আর্চডেইল আর্ল আঁচ করতে পেরেছিলেন।

 অসমিয়া-বাঙালি দ্বন্দ্বের কথা উঠলে এল ফুলার সাহেবের কথা। এর বিরুদ্ধে একদিন চারণকবি মুকুন্দ দাস গেয়েছিলেন, ‘ফুলার, আর কি দেখা ভয়? দেহ তোমার অধীন বটে, মন তো তোমার নয়।’ কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে আমাদের অনেকের মনও ওদের অধীনে চলে যাচ্ছে। এই ফুলার ব্যাটাই ত্রিশ বছর আগে (১৯০০, ৭ জুন) ওঁদের মনের ভেতর বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে, The day may yet be distant for unfurling the banner Assam for Assamese’। ব্রজেনবাবু ব্যারিহোয়াইট মেডিক্যাল স্কুলের উদ্বোধনী ভাষণে ফুলার সাহেব কী বলেছিলেন, ডায়েরি খুলে তা পড়ে শোনালেন,

 —একটা জাতিকে আরেকটি জাতির বিরুদ্ধে কী ভাবে লাগিয়ে দিতে হয় এরা খুব ভালো জানেন। আমরা অসমিয়া-বাঙালি উভয়েই মূলত বুরবক। আর কী বলব, মহাত্মা ব্যারিহোয়াইটও এ দিকে কম যান না।

 এই বলে পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বলেন,

 —সদাসয় ব্রিগেডিয়ার-সার্জন প্রস্তাবিত ওই মেডিক্যাল স্কুলের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার একটা অনুদানের সংস্থান রেখে শর্ত করেছেন—the sum of Rs. 50,000 for the instruction of youths who are natives of India and whose parents or one of them are or is natives or native of or have for the space of ten years been resident in the said province of Assam ইত্যাদি। আরও শুনুন, this bequest shall be conditioned upon the said administration of Assam agreeing and undertakes to supervise the application of the said legacy to the purpose aforesaid।

 আব্দুল হামিদ বলে উঠলেন,

 —দানের শর্ত দেখেছেন? সিলেটের রাজা মহারাজারাও দান করে গেছেন, এরকম বিভেদমূলক শর্ত তো দেখি নাই কদাপিও। শুনুন, এই ধরনের দানে একটা শয়তানি থাকে। নিষ্কাম দান এটা নয় আমি বুঝতে পারছি। আমাদের কোরানে আছে, দান করবে এমন ভাবে যেন ডান হাতে দিলে বাম হাতও টের পায় না। ঢাক ঢোল পিটাইয়া দান অবশ্য আইজ কাইলের ফ্যাশন, কিন্তু এ খ্রিস্টান ব্যাটা দানেও ভবিষ্যৎ দ্রষ্টা। আমি কইয়া রাখলাম, দেখবেন এই ধরনের কণ্ডিশন, মানে এই শর্তই আসাম রাজ্যে একদিন জাতি-বিদ্বেষের জন্ম দিবে, লেখিয়া রাখতে পারেন। আমরার নাতি, পর-নাতির কপালে গভীর দুঃখ আছে।

 খান সাহেব অনেকক্ষণ গম্ভীর মুখে শুনছিলেন। এবার বললেন,

 —ব্যারিহোয়াইট সাহেব ডাক্তার হইলেও ভিতরে ভিতরে যে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন, এই খবর আপনারার জানা আছে নি? তাইনও আমরার ব্রজেন্দ্রনারায়ণবাবুর মতোই একজন টি-প্লেণ্টার।

 খান সাহেবের রসিকতার পরে সভার কাজ যেন স্তিমিত হয়ে যাচ্ছিল।

 জুলাইর অধিবেশনে ব্রজেনবাবুর প্রস্তাবের সঙ্গে নতুন কিছু আর সংযোজনের প্রয়োজন আছ কি না জিজ্ঞেস করা হলে বিপিনচন্দ্র বললেন ‘কাছাড়ের বিষয়টি তো এখনও আলোচনায় এল না।’ ওদিকে আসাম উপত্যকার একজন সদস্যও এলেন না দেখে তো স্পষ্ট বোঝা গেল, এ ব্যাপারে তাঁরা আপাতত মুখ খুলতে রাজি নন। কিন্তু এ নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই উপত্যকার মধ্যে যেমন একটা শীতল যুদ্ধ শুরু হয়েছে, তেমনি কাছাড় এবং সিলেট দ্বন্দ্বের একটা আভাসও স্পষ্ট হচ্ছে।

 —আসাম উপত্যকার মনোভাব মোটামুটি এরকম—সিলেট তো যাবেই, কাছাড়ও যদি যেতে চায় যাক, আমাদের বলার কী থাকতে পারে? তা’ই নয় কি?

 বৈঠকে ১৮৭৪ সালের বিষয়টি নিয়েও পুনরায় আলোচনা উঠল। সিলেট তো বরাবরই বাংলার অংশ। কাছাড়ও তো তাই। আসলে সাবেক পাঁচটি জেলা নিয়ে প্রস্তাবিত অঞ্চলটিকে চিফ কমিশনার শাসিত রাজ্য হিসাবে গঠন করতে হলে রাজস্ব ঘাটতি মিটাতে যে ভূ-পরিমাণ যে জনসংখ্যার প্রয়োজন ছিল তা মিটাতেই সিলেট-কাছাড়—গোয়ালপাড়া আর খাসিয়া জয়ন্তীয়া পাহাড়কেও টেনে নিতে হল। সেদিন তো প্রতিবাদ উঠেছিল। কিন্তু নর্থব্রুক সাহেব এতে কানও দিলেন না। শুধু প্রতিশ্রুতি দিলেন আসামে এলেও বঙ্গদেশীয় অপরাপর সুযোগসুবিধা থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হবে না। এমনকি ‘বেঙ্গল ল্যাণ্ড রেভিনিউ রেগুলেশন’ এর সুবিধাও তাঁরা লাভ করবেন। এদিকে আবার আসামের সঙ্গে থেকে থেকে কতিপয় সিলেটি কিছুটা সমৃদ্ধির মুখও দেখলেন। এবং ক্রমে এদের কেউ কেউ দেখলেন বৃহৎ একটা প্রশাসনিক পরিকাঠামোর চেয়ে ছোট একটা ইউনিটে থাকাটা বেশ সুবিধাজনকও বটে। এ বিবেচনায়ও সুরমা উপত্যকার বেশ কয়েকজন বিধায়কের মধ্যে ভিতরে ভিতরে বঙ্গভুক্তির প্রশ্নে একটা দু’টানার ভাবও।

 বিপিনচন্দ্র একমনে সব শুনেই যাচ্ছেন। কই? কাছাড় নিয়ে তো কোনও ভাবনা কারও নেই মনে হল। এ বিষয়ে সব চাইতে গ্রহণযোগ্য মতামত দিতে পারতেন যিনি, তিনি হলেন কামিনী চন্দ মশাই। তিনি অবশ্য এখন ‘কেন্দ্রীয় আইন পরিষদে।’ প্রসঙ্গক্রমে এল ‘বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য আব্দুল করিম সাহেবের কথা। তাঁর অভিমত, চারটি দশক আসামের সঙ্গে থেকেও অসমিয়া-বাঙালির মধ্যে কোনও সম্পর্কই গড়ে উঠল না। ঐক্যের তো প্রশ্ন নেইই। সিলেটকে বাংলায়ই আনা হোক।

 এত কূট ক্যাচাল কাছাড়ের এই সন্তানের মাথায় কতটুকু ঢুকল তিনি নিজেই বুঝলেন না। তবে তিনদিন পর বিধান পরিষদে আলোচনাকালীন আচমকা বলে উঠলেন, আসামের সঙ্গে থাকলে যত সহজে সরাসরি গভর্নর বাহাদুরের দরবারে তাঁরা পৌঁছতে পারেন, বঙ্গদেশে সেটা কি সম্ভব হবে?

 এ কথা শুনে তাঁর অনুগামীরা পড়লেন বিভ্রান্তিতে। রায়বাহাদুর কি তবে রি-ইউনিয়নের বিপক্ষে?

 একজন পেছন থেকে টিপ্পনিও কাটলেন,

 —এটাও ঠিক, বাংলার গভর্নর বাহাদুর তো আর কাছাড়ের জমিদার রায়বাহাদুরের পরামর্শের জন্য বসে থাকতে পারেন না।

 আসাম ভ্যালির সদস্যরাও বিব্রত। ওঁরা তো ভেবেছিলেন সিলেটের বঙ্গভুক্তি একটা আশীর্বাদ হয়ে আসবে। বিগত দিনগুলোতে সদনে যেন নিয়ম করেই সিলেটিরা সমস্ত জনকল্যাণমূলক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে এককাট্টা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। ওদের উকিল, জমিদার আর উচ্চশিক্ষিত সদস্যদের মুখের সামনে কে দাঁড়াতে পেরেছে? কটন কলেজ গ্রেড ওয়ান হয়েছে, অতএব মুরারিচাঁদ কলেজকেও গ্রেড ওয়ানে আনা হোক। বিশ্ববিদ্যালয় বলুন, হাইকোর্ট বলুন সবকিছুই হতে হবে সিলেটে। কাঁহাতক এসব সহ্য করা যায়? সদানন্দ দোয়ারা মশাই রেগেমেগে ঠিকই বলেছিলেন, With Sylhet in Assam - there will be no policy- and unless there is a fixed policy there can not be any progress। এত জটিলতা সিলেটিদের গা সওয়া হলেও কাছাড়ি জমিদারের কাছে বিষয়টি দুর্বিসহ। তিনি স্পষ্টীকরণ দিয়ে বললেন, তিনি তো প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন না, কয়েকটি সম্ভাবনার কথা বলেছেন মাত্র। তবে এটাও জানালেন কাছাড়ের কোন কথা তো প্রস্তাবের বয়ানে নেই। তাঁকে ঠাণ্ডা করতে মূল প্রস্তাবে “and Cachar” শব্দ দুটো সংযোজন হল। অর্থাৎ শুধু সিলেট নয় কাছাড়কেও রি-ইউনিয়নে সামিল করা হল। কাছাড় শব্দটি যোগ হওয়াতে সরকারি প্রতিনিধি মি. জে ওয়েবস্টার আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন, কাছাড় যদি চলে যায়, তবে লুশাই পাহাড় যে আসাম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। আর বেঙ্গলের সঙ্গে গেলে কাছাড়ের ভবিষ্যৎই বা কী হবে?

 টিপ্পনি কেটে উঠলেন আলাউদ্দিন আহমেদ,

 —কাছাড়? কাছাড় নিয়ে ভাবনার কী আছে? কাছাড় তো সর্বাবস্থায় মহাশূন্যেই ভাসবে। এটা তার ভবিতব্য। তার চাইতে বড় কথা হইল, আমরা যে কাছাড় সহ, না আরও কিছু অঞ্চল আছে কে জানে, বাংলার সঙ্গে যাইতেছি, এতে বাংলার কী অভিমত? একবার ঘর হইতে বিদায় হইলে আবার ঘরে ঢোকা বড়ো মোটা কথা। দেখইন না বাদা-ছাড়া অইলে পক্ষীরা পর্যন্ত বাইচ্চারে ঠুকরাইয়া মারি লায়। ত্রিশ বছর আগে ঘর হইতে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন কে জায়গা দিবে? এই বাঙালি সেই আঠারোশো চুয়াত্তর সালের ৭ ফেব্রুয়ারি হইতেই একটি অভিশপ্ত জাতি। যে চান্স পায়, কিল মারে।

 পুরো সদন নীরব। এবার প্রায় বিদ্রুপের সুরে আহমেদ সাহেব বললেন তাঁর শেষ কথাগুলো,

 —‘আমি কান্দি ভাই ভাই, ভাইয়ের চক্ষে পানি নাই’, বিষয়টা তো তাই। দেখুন তো অদ্যাবধি ওদিক থেকে না আবাহন, না বিসর্জন। কেউ তো একটি সমর্থনসূচক বাক্যও উচ্চারণ করেন নি। ‘কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে ভাই বলে ডাকো যদি দেব গলা টিপে’-র মতো অবস্থা না হয় শেষ পর্যন্ত।

 বিপিনচন্দ্রকে আবার দাঁড়াতে হল। তিনি আশঙ্কা ব্যক্ত করলেন,

 —‘বাংলা আইন পরিষদে’ সিলেটের রাজা মহারাজা, উকিল মোক্তারদের কথা গ্রাহ্য হলেও আমাদের কাছাড়কে ওঁরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনবে না। তাঁর প্রশ্ন, রি-ইউনিয়ন প্রস্তাবটা নাগরিক জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও গ্রামীণ জনগণ কি এতে সায় দেবে? বন্ধুবর খান পিছন সাহেব থেকে টিপ্পনি কাটলেন,

 —পথো আইন, জমিদারবাবু। আগে ইতা কিতা কইছলা আমরারে না জিগাইয়া?

 ব্রজেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী বিমর্ষ মুখে বসে রইলেন। অবশেষে প্রস্তাবটি যখন ভোটাভুটিতে গেল, তখন আরেক কাণ্ড, রায়বাহাদুর সিলেট রি-ইউনিয়নের পক্ষেই ভোট দিলেন। এটা কি রাশিদ আলি সাহেবের টিপ্পনির ফলেই? আবার মুখে বললেন, যদি প্রস্তাবটি পাশ হয়, আশা করবেন গভর্নর বাহাদুর এতে সম্মতি দেবেন না। যাই হোক ২২/১৮ ভোটে প্রস্তাবটি অগ্রাহ্য হয়ে গেল। কারা কারা, কোন উদ্দেশ্যে এর পক্ষে না বিপক্ষে ভোট দিলেন এ নিয়ে প্রচণ্ড সোরগোলের মধ্যে সদন ভঙ্গ হল। বিপিনচন্দ্রের মনে হল সবাই যেন তাঁকে দায়ী করছে। হঠাৎ খান সাহেব রাশিদ আলির উপর তাঁর খুব রাগ হল। কেনই বা মোক্ষম সময়ে এরকম টিটকারি করা?

 তবুও বিচক্ষণ এ উকিলের তিনি গুণমুগ্ধ। কাছাড়ের জন্য তিনি ছাড়া আর কে এত স্পষ্ট করে ভাবতে পারে? সারা পরিষদ ভবনকে সেদিন তিনিই তো স্তব্ধ করে দিতে পেরেছিলেন—বাঙালিদের অবস্থিতি নিয়ে এক চরম অবমাননাকর বিতর্কের মুহূর্তে। আজও কানে ভাসে কথাগুলো—

 “আপনারা যারা প্রশ্ন তুলেছেন, কাছাড়ে বাঙালিরা কবে থেকে বাস করছে, তাঁদের আমি জিজ্ঞেস করছি, বলুন তো রোমক জাতি কবে থেকে রোম নগরীর বাসিন্দা হয়েছে? কান ভরে শুনে রাখুন, কাছাড়ের বাঙালিরা আকাশ থেকে নেমে আসেনি, বৃক্ষ থেকেও নয়, নয় আসাম ভ্যালি থেকেও। এরা এ মাটির সন্তান, এ ভূমির বাসিন্দা, সিলেট সহ বৃহত্তর বঙ্গভূমির স্বাভাবিক উত্তরাধিকারী।”

 এ হেন ব্যক্তির উপর অভিমান করতে পারি, কিন্তু রাগ নৈব নৈব চ।