সাবাইস বুদ্ধি/সপ্তম পরিচ্ছেদ
সপ্তম পরিচ্ছেদ।
যে জহুরির দোকান হইতে তিনি অলঙ্কার গুলি লইয়া গিয়াছিলেন, প্রথমেই তাহাকে সেই দোকানে লইয়া গেলন। জুহুরি নিজে ও তাঁহার দোকানের কর্ম্মচারীগণের মধ্যে যে যে ব্যক্তি সেই স্ত্রীলোককে দেখিয়াছিল, তাহারা সকলেই একবাক্যে কহিল যে, ঐ স্ত্রীলোকটাই কোন সন্ত্রস্ত কৌন্সিলের বনিতা পরিচয়ে ঐ দোকান হইতে অলঙ্কার গুলি লইয়া গিয়াছিল, তাহার নিকট যে একখানি অলঙ্কার পাওয়া গিয়াছিল, তাহা দেখিয়া সকলেই উহা চিনিতে পারিল ও একবাক্যে কহিল, যে সমস্ত অলঙ্কার সে লইয়া গিয়াছিল, ঐ অলঙ্কারখানিও তাহারই মধ্যস্থিত একখানি। ঐ দোকানের প্রধান কর্ম্মচারী যিনি ইহার সহিত ব্রহেম গাড়ীতে আরোহণ করিয়া অলঙ্কার সহ গমন করিয়াছিলেন, তিনি ও উহাকে দেখিবামাত্র চিনিতে পারিলে, ও উহার নিকট প্রাপ্ত অলঙ্করখানিও চিনিতে পারিলেন এবং কহিলেন, ইনি যে সকল অলঙ্কার পছন্দ করিয়া লইয়াছিলেন, এই গহনাখানি তাহারই মধ্যস্থিত একখানি।
এই স্ত্রীলোকটী ইহাদিগের সকলের কথা বিশেষ মনোযোগপূর্ব্বক শ্রবণ করিয়াও প্রথমতঃ তিনি যে সেই স্ত্রীলোক নহেন, তিনি কখন গহনা খরিদ করিবার নিমিত্ত ঐ দোকানে আগমন করেন নাই, তাহাই আমাদিগকে বুঝাইবার নিমিত্ত বিশেষরূপ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু যখন দেখিলেন যে, আমরা কিছুতেই তাঁহার কথা বিশ্বাস করিতে পারিলাম না, অথচ বুঝিতে পারিলেন যে, তাঁহার উপর যেরূপ প্রমাণ হইতে লাগিল, তাহাতে দীর্ঘ কারাদণ্ড হইতে কিছুতেই তাঁহার রক্ষা নাই, তখন তিনি প্রকৃত কথা ব্যক্ত করিবার ইচ্ছা প্রকাশ করিলেন। কিন্তু তিনি আমাদিগকে কহিলেন যে, যদি আমরা তাঁহাকে এই বিষম অবমাননা হইতে রক্ষা করিতে যত্নবান্ হইয়া তাহাকে ছাড়িয়া দিতে সমর্থ হই, তাহা হইলে প্রকৃত কথা বলিয়া তিনি যে আমাদিগকে সম্পূর্ণরূপে সাহায্য করিতে প্রস্তুত তাহা নহে; যেরূপভাবে ও যাহাদিগের দ্বারা এই কার্য্য হইয়াছে, তিনি তাহার সমস্ত কথা প্রকাশ করিয়া ও তাহাদিগকে ধরাইয়া দিতে প্রস্তুত আছেন।
আমরা তাঁহার উপর যতদূর প্রমাণ সংগ্রহ করিতে সমর্থ হইয়াছি, তাহাতে তিনি যে কোনরূপে নিষ্কৃতিলাভ করিতে সমর্থ হইবেন, তাহা আমাদিগের অনুমান হয় না। সুতরাং তাঁহার এই বিপদ হইতে যে আমরা তাহাকে উদ্ধার করিতে সমর্থ হইব, তাহারও কোনরূপ সম্ভাবনা নাই; অথচ এই ঘটনার সমস্ত অবস্থা জানিয়া লওয়াও আমাদিগের কর্তব্যকর্মের একটী প্রধান কার্য্য। এরূপ অবস্থায় কি করা যাইতে পারে, তাহা আমাকে বিশেষরূপ চিন্তা করিতে হইল। পরিশেষে আমি তাহাকে কহিলাম, “তোমার তো কারাবাস নিশ্চয়ই। তবে যদি তুমি আমাদিগকে বিশেষরূপ সাহায্য করিতে প্রস্তুত হইয়া সমস্ত অবস্থা আমাদিগের নিকট বিবৃত কর, এবং ঐ দলস্থিত সমস্ত লোককে ধরাইয়া দিতে সমর্থ হও, তোমাকে এই মোকদ্দমায় রাজার পক্ষীয় প্রধান সাক্ষীতে পরিণত করিয়া এ যাত্রা যদি তোমাকে অব্যাহতি দিতে সমর্থ হই, তাহার চেষ্টা করিব। কিন্তু তোমার কর্তব্য কার্য্য—এখন সমস্ত অবস্থা আমাদিগের নিকট প্রকাশ করা। সুশীলা অনেক দিবস হইতে কোন কৌন্সিলের অন্নে প্রতিপালিত হইয়াছিল, সুতরাং সময় সময় অনেক মামলা মোকদ্দমার কথা তাঁহার নিকট শুনিতে পাইত। আরও শুনিতে পাইত, দুইজনে হত্যা করিয়া তাহাদিগের মধ্যে একজন সমস্ত কথা স্বীকার করতঃ রাজার পক্ষ হইতে সাক্ষী হইয়া নিজের জীবন রক্ষা করিয়াছে। বহুজনে মিলিত হইয়া ডাকাতি করিয়া পরিশেষে যে ডাকাতের সর্দার, সেই সমস্ত কথা বলিয়া দিয়া তাহার দলস্থিত ডাকাইতকে ধরাইয়া দিয়া নিজে নিষ্কৃতিলাভ করিয়াছে। এই সকল কথা তাহার মনে উদিত হওয়ায় অনেক চিন্তা করিয়া, পরিশেষে সে আমাদিগের প্রস্তাবে সম্মত হইল এবং কহিল, যাহা যাহা ঘটিয়াছিল, তাহার সমস্তই আমি আপনাদিগকে বলিতেছি ও যাহার যাহার দ্বারা এই সকল কার্য্য হইয়াছে, তাহাদিগকেও যেরূপে হউক, আমি ধরাইয়া দিয়া আপনাদিগকে সম্যকরূপে সাহায্য করিব; ইহাতে আপনাদিগের বিবেচনায় পরিশেষে যাহাই হয়, তাহাই করিবেন। এই কথা বলিয়া সে বলিতে আরম্ভ করিল; “আমি যে সময়ে মেহেদিবাগানে বাস করিতাম, সেই সময় হইতে চারি পাঁচজন নিম্নশ্রেণীর লোকের সহিত আমার জানা শুনা হয়। সেই সময় আমার অবস্থা ভাল ছিল, কোন উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির দ্বারা আমি প্রতিপালিত হইতাম, তাহারই সহিত ঐ সকল ব্যক্তি সময় সময় আমার বাড়ীতে আসিত। সেই সময় হইতেই তাহাদিগের সহিত আমার জানা শুনা হয় মাত্র; কিন্তু তাহাদিগের সহিত আমি কোনরূপে মিলিত হই। ইহার পরই আমার অবস্থার পরিবর্ত্তন ঘটে, আমিও মেহেদিবাগানের বাসা পরিত্যাগ করিয়া, চন্দননগরে আমার বাসস্থান স্থাপিত করি। ইহার কিছুদিবস পরেই উহারা আমার নিকট সেইস্থানে গমন করিয়া আমাকে নানারূপ প্রলোভিত করিতে আরম্ভ করে। প্রথমতঃ আমি তাহাদিগের প্রস্তাবে কোনরূপেই সম্মত হই নাই, কিন্তু ক্রমে তাহারা আমাকে নানা রূপ প্রলোভন দেখাইতে আরম্ভ করে। আমার অবস্থা সেই সময় ভাল ছিল না, অর্থিক কষ্ট আমাকে বিশেষরূপে সহ্য করিতে হইতেছিল, সুতরাং আমার নিতান্ত অনিচ্ছাস্বত্ত্বেও আমি তাহাদিগের প্রস্তাবে ক্রমে সম্মত হই। তাহাদিগের পরামর্শমতে আমি বড়বাজারের জহুরির দোকানে গমন করি, এবং কোন একজন এদেশীয় প্রধান কৌন্সিলের বনিতা বলিয়া পরিচয় প্রদান পূর্বক তাহার দোকান হইতে বাছিয়া বাছিয়া কতকগুলি বহুমূল্য অলঙ্কার গ্রহণ করিয়া, আমার স্বামীকে দেখাইয়া তাহার মূল্য প্রদান করিব বলিয়া উহা গ্রহণ করি। আমার বিশ্বাস ছিল, যাহাকে আমার স্বামী বলিয়া পরিচয় প্রদান করিয়াছিলাম, তাঁহার নাম শুনিয়া উহারা ঐ সকল অলঙ্কার অনায়সেই আমার হস্তে প্রদান করিবে, কিন্তু দেখিলাম, আমার সেই অভিসন্ধি কোনরূপেই কার্যে পরিণত হইল না। ঐ জহুরি বিশ্বাস করিয়া ঐ সকল অলঙ্কার কিছুতেই আমার হস্তে প্রদান করিল না। সে ঐ সকল অলঙ্কার তাহার একজন বিশ্বাসী কর্ম্মচারীর হস্তে প্রদান করিয়া তাহাকে আমার সহিত পাঠাইয়া দিল। আমি ব্রুহেম গাড়ীতে করিয়া ঐ দোকানে গমন করিয়াছিলাম, ভাবিয়াছিলাম, যে ব্যক্তি গহনা লইয়া আমার সহিত গমন করিতেছে, তাহাকে আমার গাড়ীতে আমার পার্শ্বে বসাইয়া লইব, এবং আমাদিগের ঈশ্বরদত্ত বাণ তাহার উপর নিক্ষেপ করিয়া তাহার হস্ত হইতে অলঙ্কারগুলি কোন গতিকে আত্মসাৎপূর্ব্বক তাহাকে গাড়ী হইতে নামাইয়া দিব, এই ভাবিয়া তাহাকে অপর গাড়ীতে আরোহণ করিতে না দিয়া আমার নিজের গাড়ীতে আমার পার্শ্বে বসাইয়া লইলাম। যাইবার সময় তাহাকে অনেক রূপে চেষ্টা করিয়া দেখিলাম, কিন্তু কোনরূপ প্রলোভনেই তাহাকে ভুলাইয়া অলঙ্কারগুলি হস্তগত করিতে সমর্থ হইলাম না। এখন অনন্যোপায় হইয়া সেই সকল লোক যেখানে আমার অপেক্ষায় বসিয়াছিল, সেইস্থানে গিয়া উপস্থিত হইলাম।
আমি। সেই স্থানটা কোথায়?
স্ত্রীলোেক। আলিপুরের জজসাহেবের কাছারির পূর্বদিকে যে স্থানে হেষ্টিংস হাউস নামক একটা প্রকার বাড়ী জঙ্গলের ভিতর খালি অবস্থায় পড়িয়াছিল, সেইস্থানে। আজকাল ঐ স্থানের যেরূপ অবস্থা দেখিতেছেন, তখন ঐ স্থানের অবস্থা সেই রূপ ছিল না। এখন যে একটী নূতন রাস্তা বাহির হইয়া ঐ স্থানের অবস্থা পরিবর্তন করিয়া দিয়া বড় বড় ইংরাজদিগের বাসস্থান হইয়াছে, তখন ঐ স্থানের অবস্থা এইরূপ ছিল না। রাত্রি কালের কথা দূরে থাকুক, দিবাভাগেও ঐ স্থানে কাহারও একাকী যাইতে সাহস হইত না। ঐ হেষ্টিংস হাউসের প্রকাণ্ড ময়দানেই ঐ সমস্ত লোক প্রায়ই বসিত, কোনরূপ দুস্কার্য্য করিতে হইলে ঐ স্থানেই তাহার মন্ত্রণাদি সম্পন্ন হইত।
আমি। ঐ স্থানে যাইবার পর কি হইল?
স্ত্রীলোক। ঐ স্থানে গমন করিয়া আমি আমার গাড়ী থামাইয়া জহুরির কর্ম্মচারীকে ঐ স্থানে নামাইয়া দিলাম। অলঙ্কারগুলি তাহার নিকটেই রহিল, আমার গাড়ীর সহিস ও কোচমানও আমাদিগের দলস্থিত লোক ছিল। উহারা সমস্তই পূর্ব্ব হইতে দেখিয়াছিল, এবং সমস্তই জানিত, তথাপি সহিসকে একটু টিপিয়া দিয়া কোচমানের দিকে ইঙ্গিত করিবামাত্রই সে আমার গাড়ী লইয়া, একটু দূরে গমন করিল। সহিস সেই স্থানেই থাকিয়া তাহার দলস্থিত অপর ব্যক্তিগণ যাহারা সেইস্থানে অপেক্ষা করিতেছিল, তাহাদিগকে এই সংবাদ প্রদান করিল ও কহিল, অলঙ্কারগুলির সহিত ঐ ব্যক্তিকে ঐ স্থানে গাড়ী হইতে নামাইয়া দেওয়া হইয়াছে। এই সংবাদ পাইবামাত্র উহারা আসিয়া পথিমধ্যে তাহাকে আক্রমণ করিল ও উহাদিগের মধ্যে কোন ব্যক্তি উহাকে প্রহার করিবামাত্র সে অচৈতন্য অবস্থায় সেইস্থানে পড়িয়া গেল। সেই সময় তাহার নিকট হইতে সমস্ত অলঙ্কারগুলি অপহরণ করা হইল, আমিও পুনরায় সেইস্থানে ফিরিয়া আসিলাম ও দেখিলাম, ঐ ব্যক্তি নিতান্ত আঘাতিত হইয়া অচৈতন্য অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছে। তখন আমরা মনে করিলাম, ঐ ব্যক্তি যদি এইস্থানে মরিয়াই যায়, তাহা হইলে
এই স্থানেই পুলিস আসিয়া অনুসন্ধান করিবে। আর এইস্থানের কোন লোক যদি কোন গতিকে আমাদিগকে দেখিয়াই থাকে, তাহা হইলে সেই কথা প্রকাশ পাইলেও পাইতে পারে। সুতরাং এইস্থান হইতে উহাকে স্থানান্তরিত করা নিতান্ত প্রয়োজন। কারণ, যে স্থানে উহাকে পাওয়া যাইবে, সেই স্থানেই পুলিস তাহার অনুসন্ধান করিবে, তাহা হইলে পুলিস এইস্থানের আভাস মাত্রও প্রাপ্ত হইবে না। মনে মনে এইরূপ চিন্তা করিয়া আমরা তাহাকে আমার সেই গাড়ীতে উঠাইয়া লইয়া গড়ের মাঠের একস্থানে ফেলিয়া দিলাম। পরিশেষে গহনাগুলি আমি গ্রহণ করিয়া একেবারে আগ্রায় গমন করিলাম। কারণ, আমি জানিতাম, ঐ স্থানে অপহৃত দ্রব্য বিক্রয় করিবার যেরূপ সুবিধা হইবে, সেইরূপ সুবিধা কলিকাতার মধ্যে কোন রকমেই হইবার সম্ভাবনা নাই। সুতরাং আমি আর চন্দননগরে গমন না করিয়া একেবারেই আগ্রায় গমন করিলাম। সেই স্থানে হোটেলে অবস্থান করিয়া ক্রমে ক্রমে সমস্ত অলঙ্কারগুলি বিক্রয় করিয়া ফেলিলাম, কেবলমাত্র একখানি গহনা আমার নিকট রহিয়া গেল। ঐ অলঙ্কারখানি বিক্রয় করা সম্পূর্ণরূপ আমার ইচ্ছা ছিল না। ইচ্ছা করিয়াছিলাম, যদি কোনরূপে গোলযোগ না ঘটে, তবে আমার দলস্থিত সমস্ত লোককে ফাঁকি দিয়া ঐ অলঙ্কারখানি আমি নিজে ব্যবহার করিব। এইরূপে অলঙ্কারগুলি বিক্রয় করিয়া আমি যেমন প্রত্যাগমন করিলাম,অমনি আপনা কর্ত্তৃক ধৃত হইলাম। আমার নিকট যে সকল অর্থ পাওয়া গিয়াছে, তাহার সমস্ত ঐ সকল অলঙ্কার বিক্রয়ের টাকা। ঐ সকল টাকা এখনও পর্য্যন্ত আমাদিগের মধ্যে বিভাজিত হয় নাই। আমি। তুমি যাহা বলিলে তাহার সমস্তই প্রকৃত বলিয়া বোধ হইতেছে। গাড়ীখানি কোথা হইতে সংগ্রহ হইয়াছিল?
স্ত্রীলোেক। উহা আমি ঠিক জানি না। উহাদিগের মধ্যে একজন যে ঐ গাড়ীতে কোচমানের কার্য্যে নিযুক্ত ছিল, সেই বলিয়াছিল যে, উহা তাহার নিজের গাড়ী। সেই এই কার্য্যসাধন করিবার মানসে ঐ গাড়ী আনয়ন করিয়াছিল।
ঐ গাড়ী ও ঘোড়া সম্বন্ধে পরিশেষে আমরা অনুসন্ধান করিয়াছিলাম, এবং জানিতেও পারিয়াছিলাম! যে কোচমান হইয়াছিল, সে প্রকৃতই কোচমান। কোন একজন ডাক্তারের নিকট সে কোচমানি করিত, ও সেই গাড়ী সেই হাঁকাইত। ডাক্তার বাবুটা এই সময় কলিকাতায় ছিলেন না, তিনি হাওয়া পরিবর্ত্তন করিবার জন্য দার্জ্জিলিঙ্গে গমন করিয়াছিলেন, গাড়ী ঘোড়া উহার জিম্মায় ছিল। সুতরাং সে তাহার নিজের ইচ্ছামত গাড়ী ঘোড়া ব্যবহার করিলে তাহা দেখিবার লোক ছিল না। সুশীলার নির্দেশমত ঐ দলের সমস্ত লোক ধৃত হইল, এবং পরিশেষে সকলেই উপযুক্ত দণ্ড গ্রহণ করিল। সুশীলাও নিষ্কৃতিলাভ করিতে পারিল না।
সম্পূর্ণ।
- অগ্রহায়ণ মাসের সংখ্যা,
“বিষম বুদ্ধি।”
(অর্থাৎ হত্যাকারী বাঁচাইবার অদ্ভুত উপায়!)
বাহির হইবে।