সাহিত্য-চিন্তা/ভারতে নারীর উন্নতি

সাহিত্য-চিন্তা

ভারতে নারীর উন্নতি

 ভারত পুণ্যভূমি। ভারতের প্রতি রেণুকণা পুণ্য পবিত্রতাময়। যখন সরস্বতী দৃষদ্বতী ও ভাগীরথীর পবিত্র পুলিন প্রতিধ্বনিত করিয়া “একমেবাদ্বিতীয়ম্” ধ্বনি উত্থিত হইত; -“ব্রহ্মজ্ঞানে ব্রহ্মধ্যানে, ব্রহ্মানন্দ রসপানে” ভারতবাসীর হৃদয় নবজীবন পথের মধ্যাহ্ন সূর্য্যকিরণে উদ্ভাসিত ছিল; সামবেদের পবিত্র গাথা দিক্ দিগন্তরে প্রতিধ্বনিত হইয়া বিদেশবাসীর প্রাণও বিমুগ্ধ করিত; সেই সময় ভারতনারীর কি অবস্থা ছিল? তাঁহারা কি নিদ্রিতা ছিলেন? না। —নারী শক্তিরূপিণী। নারী অবসাদে অচৈতন্য থাকিলে দেশ শক্তি সঞ্চয় করিবে কোথা হইতে? মহা চেতনার বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চারে —জ্ঞান ভক্তি কর্ম্মের নিত্য উদ্বোধনে, দেশবাসী উদ্বুদ্ধ হইয়া উঠিবে কেমন করিয়া?

 ভারতের যশস্বিনী দুহিতাগণও যে তখন গৌরবের বিশ্ববিমোহিনী বিজয় বৈজয়ন্তী বহন করিয়া মহিমার আলোকে প্রদীপ্ত হইতেন তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই। অতীত যুগের পুরাণ, কাব্য ও শাস্ত্রাদি একবাক্যে তাহার সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে। বাণীর পবিত্র অর্ঘ করে লইয়া ভারতের পুত্রকন্যাগণ সমভাবে বিশ্বনাথের অর্চ্চনায় প্রবৃত্ত হইতেন। সে অর্ঘ কি?—জ্ঞান। জ্ঞানের সফলতা কোথায়?—ভক্তিতে। প্রকৃত পক্ষে সেই সুবর্ণযুগে ভারতরমণী জ্ঞান ও ভক্তিতে জগতের বরণীয়া ছিলেন। নারীজাতি পুরুষের তুল্য অধিকার লাভ করিয়া স্বাধীনতা এবং শিক্ষার অমূল্য রত্নে বিভূষিতা, এ দৃশ্য কেমন সুন্দর, কেমন কল্যাণকর! ভারতের জ্ঞান ভাণ্ডারের দর্শন, বিজ্ঞান জ্যোতিষ, অধ্যাত্ম তত্ত্ব——কোন্ শাস্ত্রে নারী প্রতিষ্ঠা লাভ করেন নাই! বেদের অনেক শ্লোক ভারতের অসামান্যা ধীশক্তিসম্পন্ন। কুললক্ষ্মীগণের জ্ঞানভক্তি-বিরচিত। জড় বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্ব, অধ্যাত্ম-তত্ত্বের নিগূঢ় ব্যাখ্যায় তাঁহাদের অনেকে দিবানিশি রত থাকিতেন।

 প্রায় চারি সহস্র বৎসর পূর্ব্বে রাজমি জনক যখন মিথিলার রাজসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত থাকিয়া যোগধর্ম্ম এবং সংসারধর্ম্মের সমন্বয় সাধন করিতেছিলেন, সেই সময় রাজশক্তি এবং ব্রহ্মশক্তি অপূর্ব্ব পূর্ণতা প্রাপ্ত হইয়াছিল। একদিকে অলৌকিক শৌর্যবীর্য্যের বিশ্বমুগ্ধকারী আলোকরশ্মি,—অপর দিকে জ্ঞান, যোগ ভক্তি বৈরাগ্যের মহিমান্বিত শক্তি সঞ্চারিণী প্রতিভা। উত্তর প্রবল শক্তির সামঞ্জস্য বিধান করিয়া রাজর্ষি জনক ভারতবর্ষে জগৎপূজ্য এক পুণ্যময় মহাশক্তির প্রতিষ্ঠা করিলেন। সেই শুভদিনে, মাহেন্দ্রযোগে, নারীপ্রতিভার কি প্রকার বিকাশ সাধিত হইয়াছিল তাহা দৃষ্টান্তস্বরূপ নিম্নে একটি ঘটনা বিবৃত করিতেছি।

 সুলভা নাম্নী এক ব্রহ্মবাদিনী যোগধর্ম্মাবলম্বিনী মহিলার বিষয় বোধ হয় অনেকেই অবগত আছেন। সাক্ষাৎ স্বর্গীয় অগ্নির ন্যায়—মূর্ত্তিমতী তপস্যার ন্যায়—সেই বরণীয়া নারী, ধর্ম্মের জ্যোতিতে স্বদেশ আলোকিত করিয়া আনন্দে সর্ব্বত্র বিচরণ করিতেন। তাঁহার উন্নত প্রেমপূর্ণ হৃদয়ের জ্ঞানপ্রভা অনেক পুরুষ হৃদয়কেও পুণ্যালোকে আলোকিত করিয়াছিল। একদিকে যেমন তিনি ব্রহ্ম-সমাধি-যোগে অনেক সময় নিমগ্ন থাকিয়া অক্ষয় পরমানন্দের অধিকারিণী ছিলেন, অপর দিকে হৃদয়নিঃসৃত স্নেহামৃতে সকল জীবকুল অভিষিক্ত করিতেন। তিনি ব্রহ্মযোগে অবস্থিত থাকিয়াও সেবাধর্ম্মের নির্ম্মল বারি সমভাবে জাতিবর্ণ নির্ব্বিশেষে সর্ব্বত্র বিতরণে রত ছিলেন। সেইহেতু তিনি সময় সময় আপন পুণ্যাশ্রম পরিত্যাগ করিয়া নানা স্থানে গমন করিতেন।

 গৌরবের মণিমুকুটে বিমণ্ডিত হইয়া রাজর্ষি জনক স্বীয় রাজসভাতে নিয়ত নানা দেশীয় জ্ঞানী, যোগী, ভক্তে পরিবৃত থাকিতেন। নানা দিক্ প্রবাহিনী স্রোতস্বিনীর নির্ম্মল প্রবাহের ন্যায় বিবিধ ধর্ম্মতত্ত্বের তর্ক বিতর্ক এবং আলোচনার স্রোত সেই সুরম্য সভাতে উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিত। সেই স্থানে বিদুষী ধর্ম্মশীলা ললনা-রত্নের আবির্ভাবেরও অপ্রতুলতা ছিল না। যোগতত্ত্ব এবং সাধনতত্ত্ব সম্বন্ধে রাজর্ষি তাঁহাদের নিকটও অনেক শিক্ষা লাভ করিতেন।

 একদিন রাজর্ষি সভাস্থলে পণ্ডিতমণ্ডলী এবং মহর্ষিগণ সহ সৎপ্রসঙ্গে প্রবৃত্ত রহিয়াছেন এমন সময় ব্রহ্মবাদিনী সুলভা সেই স্থানে প্রবেশ করিলেন, তাঁহার অপরূপ রূপ-আভা ভক্তি ও জ্ঞানালোকে মিশ্রিত হইয়া রাজসভাকে কি এক অপূর্ব্ব শ্রী সম্পন্ন করিয়া তুলিল। সভাস্থিত সকলে শ্রদ্ধাভরে ক্ষণকাল নিস্তব্ধ হইয়া রহিলেন, কিন্তু কেহ বিস্মিত হইলেন না। কারণ প্রকাশ্য রাজসভাতে বিদুষী কুলমহিলার সমাগম সেই মনুষ্যত্বের পূর্ণ বিকাশের দিনে কাহারও বিস্ময়ের বিষয় ছিল না। নারী মাতৃ-রূপিণী, কল্যাণ-রূপিণী; তাঁহার সমাগম, সকল স্থানেই ভক্তি শ্রদ্ধা এবং পুণ্য-প্রবাহ বৃদ্ধির কারণ। সেই পুণ্যশীল ভারতসস্তানগণ কল্যাণময়ী নারীর আবির্ভাবে কেনই না আনন্দ লাভ করিবেন?

 রাজা বিশেষ সম্মানপূর্ব্বক তাঁহার অভ্যর্থনা করিয়া আসন প্রদান করিলেন। সুলভা সভাস্থিত মহর্ষিগণ এবং মহারাজ কর্ত্তিক সম্বর্দ্ধিত ও প্রশংসিত হইয়া যেন প্রভাত অরুণ-রশ্মি বিকিরণপূর্ব্বক উপবেশন করিলেন।

 মুনিগণ রাজর্ষিকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “মহারাজ! যেখানে মহা বিস্তৃত অরণ্যানী মহীরুহ সমূহে শোভিত হইয়া রহিয়াছে— ভীমদর্শন তুঙ্গ গিরিশৃঙ্গ সকল মেঘমালা ভেদ করিয়া শোভা পাইতেছে, সেই দেবাত্মা হিমাদ্রির নিভৃত কন্দরে যতিগণ আদিদেবের ধ্যানে নিমগ্ন। সেই পুণ্যময় স্থানে এই শুভদর্শনা কল্যাণী বহুকাল অবস্থিতি করিয়া আপনার আত্মাকে পরমাত্মায় সংযোগ পূর্ব্বক তপস্যায় রত ছিলেন।”

 অতঃপর রাজর্ষি জনক সুলভার সহিত গভীর ধর্ম্মালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন।

 সুলভার মুখনিঃসৃত কয়েকটি অমৃতময় বাক্য ভারতের অমূল্য রত্ন মহাভারত হইতে নিম্নে উদ্ধৃত করা গেল।

 সুলভা কহিলেন—“আমি মোক্ষতত্ত্ব অবলম্বন পূর্ব্বক পরব্রহ্মে চিত্ত সমাধান করিয়া কাল যাপন করিতেছি। বৈরাগ্যই মোক্ষলাভের উৎকৃষ্ট উপায়। বৈরাগ্য জ্ঞান হইতে সমুৎপন্ন হয়। জ্ঞান দ্বারা যোগাভ্যাস ও যোগাভ্যাস দ্বারা আত্মজ্ঞানের উৎপত্তি হইয়া থাকে। মনুষ্য আত্মজ্ঞান প্রভাবেই সুখদুঃখাদি পরিত্যাগ ও মৃত্যুকে অতিক্রমপূর্ব্বক পরমপদ প্রাপ্ত হইতে পারে। আমি সেই আত্মজ্ঞান প্রাপ্ত হইয়া মোহ হইতে বিমুক্ত ও নিঃসঙ্গ এবং সুখদুঃখাদি পরিবর্জ্জিত হইয়াছি।”

 সেই সময় সুলভার ন্যায় শত শত মহিলা জ্ঞান ধর্ম্মে ভারতভূমি অলঙ্কত করিয়াছিলেন।

 হায়! পুণ্যময় ভারতে আজ নারীশক্তির কি ঘোরতর অবনতি সাধিত হইয়াছে? ইহার কারণ কি? কোন্ জন্মান্তরের নিদারুণ অভিশাপ নারীর মস্তকে বর্ষিত হইয়া তাহাকে জ্ঞানের উচ্চতর শিখর হইতে ধীরে ধীরে অপসৃত করিল? এই চিন্তা অনেক সূক্ষ্মদর্শী ব্যক্তির হৃদয়ে উদিত হইয়া থাকে।

 নারীজাতির উন্নতির মূলে আমরা তিনটা কারণ দেখিতে পাই। -শিক্ষা, স্ত্রী-স্বাধীনতা এবং শ্রদ্ধা।

 প্রথমতঃ—শিক্ষার অভাবই নারীজাতির অবনতির প্রধান কারণ। শিক্ষা যে সকল উন্নতির মূল ইহা সর্ব্ববাদীসম্মত। নারী সমাজের অর্দ্ধেক অঙ্গস্বরূপ। নারীশক্তি জাগ্রত না হইলে সমাজের পূর্ণ বিকাশ সম্ভবপর নয়। উচ্চ শিক্ষা ভিন্ন নারীশক্তি কেমন করিয়া জাগ্রত হইবে! সমগ্র হিন্দুসমাজে নারীজাতির জ্ঞানোন্নতির পথ অবরুদ্ধ প্রায়! গার্গী, মৈত্রেয়ী, খনা, লীলাবতী প্রভৃতি আর্য নারীগণের এমন সমুজ্জ্বল জ্ঞানপ্রভা কোথা হুইতে উদ্ভূত হইয়াছিল? উচ্চশিক্ষা কি তাহার প্রধান কারণ নয়? যেমন একটী বৃক্ষের অর্দ্ধ অঙ্গ ছেদন করিলে সেই প্রকাণ্ড মহীরূহ শক্তিহীন এবং শীঘ্রই প্রাণহীন হইয়া পড়িবে, তেমনি সমাজের অর্দ্ধ অঙ্গস্বরূপ নারীজাতির শক্তি বিনষ্ট হইলে সমগ্র সমাজ-দেহের বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।

 শিক্ষা যেমন নারীজাতির উন্নতির মূল, স্ত্রীস্বাধীনতা তেমনই তাহার প্রাণ। কি শারীরিক, কি মানসিক, কি সামাজিক, যে দিক দিয়াই কেন দেখি না বাধা পাইলে মানবাত্মার কোন প্রকারই বিকাশ লাভ হয় না। প্রাকৃতিক জগতে দেখিতে পাই, একটী বৃক্ষ যখন বীজ হইতে অঙ্কুরিত হইতে আরম্ভ করে, তখন যদি অঙ্কুরোদগমের স্থানটি প্রস্তর দ্বারা আচ্ছাদিত করিয়া রাখ, দেখিবে ঐ স্থানেই তাহার উন্নতি বন্ধ হইয়া গেল, প্রকৃতির স্বাভাবিক বর্দ্ধনশীলতার কার্য্য রোধ হইল। তারপর কি? তারপর মৃত্যু। প্রকৃতির উন্মুক্ত আলোক ও জলবায়ুতে ছাড়িয়া না দিলে তাহার মৃত্যু নিশ্চয়। যে একদিন প্রকৃতির প্রসাদে মহা মহীরুহে পরিচিত হইত, বিকাশে বাধাপ্রাপ্ত হইয়া শৈশবেই তাহার বিনাশ সাধিত হইল। প্রাকৃতিক জগতে যাহা জীব জগতেও ঠিক সেই নিয়ম। আধ্যাত্মিক জগতেও তাহার ব্যতিক্রম দেখিতে পাই না। শৈশব হইতেই যাহাকে পিঞ্জরাবদ্ধ পাথীর ন্যায় অবস্থিতি করিতে হয়, তাহার মানসিক শক্তির সম্যক উন্মেষ কেমন করিয়া সাধিত হইবে! ভারতে মুসলমান রাজত্বের আবির্ভাব হইতেই নারীকে বিশেষভাবে অবরুদ্ধ করিয়া রাখার আবশ্যকতা সমাজ=নেতৃগণের হৃদয়ে প্রবলরূপে অনুভূত হইয়াছিল। স্বেচ্ছাচারপরতন্ত্রতার যুগে নারীজাতির অবরোধ ভিন্ন তাহাদের মানসম্ভ্রম অব্যাহত রাখার উপায়ান্তর ছিল না। এখানেই নারীর উন্নতির স্রোত রোধ হইতে আরম্ভ করিল। সুবর্ণ যুগে কি অবরোধ প্রথা বর্ত্তমান ছিল না? রামায়ণ প্রভৃতি গ্রন্থে নারীজাতির কথা বর্ণিত আছে। কিন্তু আবশ্যক মত নারীগণ নির্ন্মুক্ত স্বাধীনতা ভোগ করিতেন। যাঁহারা চিরকৌমার্য্য ব্রত গ্রহণ পূর্ব্বক তপস্যায় প্রবৃত্ত হইতেন সমাজে তাঁহাদের বিশেষ প্রতিপত্তি ছিল। সেই সময়ে ভারতে বেদবতী প্রভৃতি জগৎপূজ্যা চির-কুমারী নারীর অভাব ছিল না। সাবিত্রী, রূক্মিণী, দময়ন্তী প্রভৃতি প্রাতঃস্মরণীয়া রমণীগণ যে স্বয়ংই স্বীয় স্বীয় পতি নির্ব্বাচন করিয়াছিলেন তাহা কাহারও অবিদিত নাই। এই সমস্ত ঘটনা কি পূর্ব্বকালে নারীজাতির স্বাধীনতার পরিচায়ক নহে? বলিতে গেলে স্ত্রীস্বাধীনতাই নারীর উন্নতির প্রধান সহায়।

 তৃতীয়তঃ—শ্রদ্ধা। ভারতবর্ষে নারীজাতির প্রতি শ্রদ্ধার অভাব নারীজাতির অবনতির একটী প্রধান কারণ। আর্য্যজাতি নারীকে কেমন শ্রদ্ধা করিতেন এবং সম্মানের চক্ষে দর্শন করিতেন তাহা অনেকেই অবগত আছেন। এবিষয়ে ইংলণ্ড প্রভৃতি পাশ্চাত্য দেশসমূহ আদর্শ স্থানীয় নারীর মর্য্যাদা তাঁহারা বিশেষ ভাবে অনুভব করিয়া থাকেন। আপনাদের গৃহলক্ষ্মীকে তাঁহারা দেবতার ন্যায় পূজা করেন বলিলে বোধ হয় অত্যুক্তি হইবে না। এজন্যই বর্ত্তমান সময়ে তাঁহারা জগতে বরণীর হইয়া উঠিয়াছেন। একজন মহাপুরুষ বলিয়াছেন, যে দিন ভারতবাসী নারীর প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান হারাইয়াছে, সেই দিন হইতে তাহাদের দুর্গতির আরম্ভ; তাহাদের সৌভাগ্যলক্ষী ভারতবর্ষ ত্যাগ করিয়া প্রস্থান করিয়াছেন।

 ভারতবাসী যদি আপনার কল্যাণ ইচ্ছা করেন তবে নারীজাতিকে পুনর্ব্বার জাগ্রত করিতে চেষ্টা করুন! তাহাদিগকে উচ্চ শিক্ষা এবং আবশ্যক মত স্বাধীনতা প্রদান করিয়া জ্ঞানাভরণে ভূষিতা করুন—নারীজাতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা অর্পণ করুন! নতুবা আর মঙ্গল নাই—মহাবিনাশ হইতে রক্ষার আর উপার নাই।