মীরজাফর, জগৎশেঠ, মহাতাবচাঁদ ও স্বরূপাঁদ, রায়দুর্লভ প্রভৃতি
জগৎ।নবাব বোধ হচ্ছে, যুদ্ধে যাবার পরামর্শের নিমিত্ত দরবারে ডেকেছে, যে প্রকারে হয়, নবাবকে নিরস্ত কর্তে হবে। ইংরাজ আমাদের বিস্তর উৎকোচ দিয়েছে।
মীরজাঃ।কিন্তু ভাব্ছি সে দিন মতিঝিলে যেরূপ অপমানিত হয়েছিলেম, নবাবের ইচ্ছার প্রতিরোধ কর্তে গিয়ে আজ আবার সেরূপ অপমানিত না হই। সে বার বৃদ্ধা নবাব-বেগমের অনুরোধে, সিরাজ রাজকার্য্যে আমাদের পুনরায় সংস্থাপিত করেছে; এবার কর্ম্মচ্যুত ক’র্লে, আর বেগমের অনুরোধ শুন্বে না। এখন মীরমদন, মোহনলাল পরামর্শদাতা, তাদের পরামর্শমতই কার্য্য হবে। অতি সাবধানে নবাবকে ইংরাজ-যুদ্ধে বিরত করা উচিত। যেরূপ শুনছি, সকতজঙ্গ তো মানুষ নয়। আমাদের এক ভরসা ইংরাজ, তাদের সঙ্গে যোগ দিলে কতকটা নবাবকে দমনে রাখ্তে পারা যাবে।
স্বরূপচাঁদ।ইংরাজ উচ্ছেদ হ’লে, নবাবের দৌরাত্ম্যে কি আর রক্ষা থাক্বে।
জগৎ।সকতজঙ্গের নিমিত্ত দিল্লী হ’তে ফার্মান আন্তে তো বিস্তর ব্যয় কর্লেম। এদিকে সকতজঙ্গটা বানর। ভাব্ছি, বুঝি বা আমার অর্থব্যয় বিফল হয়। (মীরজাফরের প্রতি) দেখুন, মহাশয়ের পরামর্শে অর্থ ব্যয় করেছি।
[রাজা রাজবল্লভের প্রবেশ
রাজবল্লভ।ম’শায়, আমার সর্ব্বনাশ! এই কৃষ্ণদাসের পত্র শুনুন:—
পত্রপাঠ
“কাশিমবাজারের কুঠি আক্রমিত এবং চেম্বার্স ও ওয়াট্স কারারুদ্ধ হইয়াছে, এই সংবাদ কলিকাতার গভর্ণর ড্রেকের নিকট আসিয়াছে। নবাব-দূত রামরামসিংহ কলিকাতায় বণিকপ্রবর উমিচাঁদকে এক পত্র লিখিয়াছেন। পত্রের মর্ম্ম এই—‘সম্ভবতঃ ইংরাজ দমনে নবাব শীঘ্রই কলিকাতা যাইবেন, আপনি ধনরত্ন লইয়া যত শীঘ্র পারেন, কলিকাতা হইতে পলায়ন করুন।’ পত্র, কলিকাতায় ইংরাজ-পুলিসের অধ্যক্ষ হলওয়েলের হস্তগত হয়। ইহাতে আমাকে ও উমিচাঁদ বাবুকে ইংরাজ কারারুদ্ধ ও আমাদের যথাসর্ব্বস্ব আত্মসাৎ করিয়াছে। গভর্ণর ড্রেক আমায় বলেন,—তোমার পিতা ঘসেটীবেগমের পুষ্যি পুত্রের পুত্র মোরাদদ্দৌলাকে নিশ্চয় সিংহাসন দেবে, সিরাজদ্দৌলা সিংহাসন পাইবে না। তোমার পিতার এই প্রতারণায় আমরা নবাব-বিরুদ্ধে তোমাকে আশ্রয় দিয়াছি এবং নবাবদূতের পুনঃ পুনঃ অপমান করিয়াছি। এক্ষণে তোমার পিতা নবাবের সহিত মিশিয়াছে ও নবাব আমাদের উচ্ছেদ করিতে আসিতেছে। তোমার পিতাকে পত্র লিখিয়া যদি নবাবকে নিরস্ত করিতে না পারো, তোমার বিশেষ অমঙ্গল জানিবে।’ সমস্ত অবস্থা অবগত করিলাম, যেরূপ ভাল হয় করিবেন। কারাগারে আমরা উভয়ে চিঁড়া-গুড় খাইয়া প্রাণধারণ করিতেছি।”
সিরাজ।আসন গ্রহণ করুন। আপনারা সকলেই অবগত আছেন, যে মহারাষ্ট্রের উপর্য্যুপরি দৌরাত্ম্যে ভূতপূর্ব্ব নবাব আলিবর্দ্দী—রাজা, আমীর, ওমরাহ, জমাদার প্রভৃতিকে স্বীয় অধিকার রক্ষার নিমিত্ত সৈন্য বৃদ্ধি ক’র্তে আজ্ঞা দেন। কলিকাতায় ইংরাজেরাও সে সময়ে সেই ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সুচতুর ইংরাজ, সেই সুযোগে কেবল সৈন্য বৃদ্ধি ক’রেই ক্ষ্যান্ত হয় নাই; স্বাধীন রাজার ন্যায় দুর্গ সংস্কার করেছে। যদিচ এক্ষণে মহারাষ্ট্রীয় উপদ্রব নাই, তথাপি ইংরাজ বলবৃদ্ধি ক’র্তে ক্ষ্যান্ত নয়। বিনা আদেশে শত্রুর গতি রোধ কর্বার জন্য বাগবাজারে পেরিং নামে একটী দুর্গ নির্ম্মাণ করেছে। এই রাজবিরুদ্ধ আচরণ হ’তে নিরস্ত হবার নিমিত্ত বার বার নবাবদূত প্রেরিত হয়। কিন্তু ইংরাজ, দূতের অবমাননা করেছে স্বেচ্ছাচারী কার্য্য হ’তে নিরস্ত হয় নাই।
জগৎ।জনাব, পেরিং দুর্গ নয়, সামান্য প্রাকার মাত্র।
সিরাজ।পেরিং সামান্য প্রাকার, বোধ হয় শেঠজীর অভিপ্রায় তা ভঙ্গ না ক’রে নবাব-আজ্ঞা লঙ্ঘন হয় নাই। কিন্তু রাজা রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণদাস যিনি, ঢাকা হ’তে নবাবী অর্থ ল’য়ে কলিকাতায় আশ্রয় গ্রহণ করেছেন, তাঁকে ইংরাজ, নবাবের পুনঃ পুনঃ আদেশ উপেক্ষা ক’রে, মুর্শিদাবাদে প্রেরণ করে নাই; এ কিরূপ সঙ্গত বিবেচনা করেন?
রায়দু।অতি অসঙ্গত।
সিরাজ।রাজ্যে বিদ্রোহানল প্রজ্জ্বলিত হওয়ায় প্রজার অমঙ্গল, এই নিমিত্ত বার বার ফিরিঙ্গিকে মার্জ্জনা করেছি। কিন্তু হীন-বুদ্ধি ফিরিঙ্গি সেই মার্জ্জনা আমাদের দুর্ব্বলতা বিবেচনায় আমাদের কথায় কর্ণপাত করে না। তাদের সেই ভ্রম দূর করা নিতান্ত আবশ্যক। অতএব কল্যই আমি কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা ক’র্বো। আমার সমভিব্যাহারে যেতে আপনারা সকলে প্রস্তুত হ’ন।
জগৎ।জাঁহাপনা, দাসের ক্ষুদ্র বিবেচনায় এখনো নিরস্ত হওয়া উচিত। চারিদিকে শত্রু, সকতজঙ্গ যুদ্ধের নিমিত্ত প্রস্তুত হচ্ছে, সকতজঙ্গকে দমন করা অতি কর্ত্তব্য। ইংরাজের সহিত যুদ্ধ করা এক্ষণে উচিত নয়।
সিরাজ।শেঠজী, যদি সুমন্ত্রণা না হয়, আমরা সে কার্য্যে কদাচ প্রবৃত্ত হব না। লোকের মুখে প্রচার, যে ইংরাজদূত আপনাদের সহিত সাক্ষাৎ কর্তে আসে, তারা কি নবাবের আদেশ মত কার্য্য কর্তে প্রস্তুত?
জগৎ।জাঁহাপনা, জনশ্রুতি মাত্রেই অদ্ভুত, বাণিজ্য সম্বন্ধে কখনো কখনো অর্থের প্রয়োজন হ’লে, ইংরাজ আমার নিকট আসে সত্য, কিন্তু তারা সামান্য ব্যক্তি, রাজকীয় কর্ম্মের কোন কথা উত্থাপিত হয় না।
সিরাজ।নিশ্চয় জান্বেন, ফিরিঙ্গিরা আমাদের সহিত সদ্ভাব রাখ্তে উৎসুক নয়। কৌশলে কার্য্যোদ্ধার হ’লে আমরা যুদ্ধ-বিগ্রহে প্রবৃত্ত হ’তেম না। ভূতপূর্ব্ব নবাবের পদানুসরণ পূর্ব্বক আমরা কাশিমবাজারের কুঠি অবরোধ করি, আর তার অধ্যক্ষ ওয়াট্স্ ও চেম্বার্স সাহেবের মুচলেখায় স্বাক্ষর ক’রে লই। কিন্তু সে মুচলেথার মর্ম্মানুসারে কলিকাতায় কোন কার্য্যই হয় নাই। যখন রাজমহলে সকতজঙ্গের বিরুদ্ধে আমরা যাত্রা করি, কলিকাতা হ’তে ইংরাজের এক পত্র দরবারে উপস্থিত হয়,—সে পত্র দূতের অপমান অপেক্ষা অধিক অমর্য্যাদাসূচক। সেই নিমিত্ত ওয়াট্স্ ও চেম্বার্সকে কারারুদ্ধের আদেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এদের উদ্ধারার্থে দেখা যায়, কলিকাতায় ইংরাজ ব্যগ্র নয়। আমরা কলিকাতায় উপস্থিত হ’লে কিরূপ ব্যবহার করে, তা দেখা নিতান্ত আবশ্যক। সকতজঙ্গকে দমন না করে, সেই জন্য রাজমহল হ’তে সসৈন্যে প্রত্যাগমন করেছি। অতএব আপনার কলিকাতা যাত্রার নিমিত্ত প্রস্তুত হোন। অবশ্যই আপনারা আমার রক্ষার্থে গমন ক’রবেন সন্দেহ নাই।
মীরজাঃ।জাঁহাপনার কার্য্যে জীবন উৎসর্গ করা, রাজ-অমাত্যগণের একমাত্র কর্ত্তব্য। সে কর্ত্তব্য পালনে সকলেই উৎসুক। (স্বগত) আর বাধা দেওয়া উচিত নয়, অপমানিত হ’তে হবে।
সিরাজ।ওয়াট্স্ ও চেম্বার্সকে দরবারে উপস্থিত হ’বার আজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের নিকট শুন্লেই নিশ্চিত বুঝবেন, যে আমাদের অবজ্ঞা করাই ইংরাজের মন্তব্য।
ওয়াট্স্ ও চেম্বার্সকে লইয়া দূতের প্রবেশ এবং উভয়ের জানু পাতিয়া নবাবকে অভিবাদন
গাত্রোখান করুন। সাহেব, আপনারা মুচলেখায় স্বাক্ষর করেছেন, কিন্তু তার মর্ম্মানুসারে অদ্যাবধি কোনও কার্য্যের অনুষ্ঠান হয় নাই।
ওয়াট্স।জনাব, কলিকাতায় কাউন্সিলের কোন সংবাদ আমরা পাইলো না। গভর্ণর ড্রেক কি করিতেছেন, কেমন করিয়া বলিবে।
সিরাজ।ভাল, ইচ্ছা হয় কলিকাতায় গিয়ে সংবাদ লউন। নবাব-আদেশে আপনারা মুক্ত। আপনার সাধ্বী স্ত্রী, বেগমকে আপনাদের মুক্তির জন্য অনুরোধ করেছেন। তাঁরই কৃপায় আপনারা মুক্ত, আপনারা যথাস্থানে গমন কর্তে পারেন।
উভয়ে।নবাবকে খোদা লম্বা জীবন দিক।
সেলাম করিয়া উভয়ের প্রস্থান
সিরাজ।এখন বোধ হয় সকলের হৃদয়ঙ্গম হয়েছে, যে আমরা কলিকাতায় উপস্থিত না হ’লে ইংরাজের চৈতন্য হবে না।
রাজবঃ।সেইরূপই তো অনুমান হচ্ছে।
জগৎ।(স্বগত) নবাব প্রস্তুত হ’য়েই আমাদের দরবারে ডেকেছে।
সিরাজ।
চিন্তাচিহ্ন হেরি কেন বদনে সবার?
বৃদ্ধ আলিবর্দ্দী সবে করেছে পালন,
আমি তার পালিত নন্দন।
শত দোষ যদিও আমার,
তবু উচিত হে তোমা সবাকার,
সে সকল করিতে মার্জ্জনা।
স্বেচ্ছাচারে চালিত জীবন,
হিতাহিত ছিল না বিচার,
মদ্যপানে করিয়াছি শত শত দুর্নীত ব্যাভার!
কিন্তু কহি স্বরূপ বচন,
বসি বৃদ্ধ নবাবের মরণ-শয্যায়,
শেষ বাক্যে তাঁর—
জন্মিয়াছে ধারণা আমার,
রাজকার্য্য নহে স্বেচ্ছাচার;
নবাব রাজার ভৃত্য, প্রভু প্রজাগণে;
প্রজার মঙ্গল কার্য্য সতত সাধন,
নবাবের উদ্দেশ্য জীবনে।
যথাসাধ্য আত্ম-সংশোধন
চেষ্টা করি দিবানিশি।
হও অনুকুল তোমরা সকলে—
কুশলে যাহাতে হয় রাজ্যের শাসন।
মীরজাঃ।রাজ্যের কুশল আমাদের দিবানিশি কামনা। ইংরাজের সহিত যুদ্ধে প্রজার অমঙ্গল বিবেচনায়, শেঠজী জাঁহাপনাকে যুদ্ধে নিরস্ত হ’তে অনুরোধ করেছিলেন,—মারহাট্টা উৎপীড়নে প্রজাসকল বিকল, নানা কারণে রাজকরও বৃদ্ধি হয়েছে, যুদ্ধ ব্যয়ার্থে রাজকর আরও বৃদ্ধি হবে। তবে এখন বুঝ্লেম যে দাম্ভিক ইংরাজ দমন কর্ত্তব্য বটে। অমাত্যগণ কি বলেন? সদ্বিবেচনাই অনুমিত হচ্ছে?
স্বরূপচাঁদ।কৌশলে কার্য্য নির্ব্বাহ হ’লেই, সব দিক মঙ্গল হ’তো।
রাজবঃ।যখন উপায় নাই, যুদ্ধই কর্ত্তব্য।
সিরাজ।হে অমাত্যগণ, আমায় শত্রু বিবেচনা ক’র্বেন না। কিন্তু যদি সত্যই শত্রু হই, আমি আপনাদেরই শত্রু, বাঙ্গ্লার শত্রু নই। আপনাদের যদি বর্জ্জন করা আমার অভিপ্রায় হয়, আপনাদের পরিবর্ত্তে বঙ্গবাসীকেই রাজকার্য্য প্রদান ক’র্বো। আপনাদের আত্মীয়-বান্ধব, স্বদেশনিবাসী নির্ব্বাচিত হবে, কোন বিদেশী রাজকার্য্য প্রাপ্ত হবে না। হিন্দুমুসলমানগণ এক স্বার্থে বাঙ্গলায় আবদ্ধ সে স্বার্থের বিঘ্ন হবে না। বঙ্গবাসীর পরিবর্ত্তে বঙ্গবাসীই কার্য্যভার প্রাপ্ত হবে। যদি আমার প্রতি বিদ্বেষ পরিত্যাগ না করেন, পূর্ণিয়ায় সকতজঙ্গের সঙ্গে যোগদান করুন কিংবা বিদ্রোহীর ধ্বজা উড্ডীন ক’রে যোগ্যজনকে সিংহাসন প্রদান করুন। কিন্তু স্থির জান্বেন, ফিরিঙ্গি বাঙ্গলার দুশ্মন।
মীরজাঃ।জনাব—জনাব কেন বার বার এমন কথা বল্ছেন? যদি ফিরিঙ্গি-যুদ্ধে নবাব অগ্রসর হন, আমরা প্রাণপণে তাঁর সাহায্য ক’র্বো। একি—সকতজঙ্গ, বিদ্রোহ—এ সব কথা কেন? এতে আমরা কুণ্ঠিত হই।
সিরাজ।
ওহে হিন্দু মুসলমান—
এস করি পরস্পর মার্জ্জনা এখন;
হই বিস্মরণ পূর্ব্ব বিবরণ;
করো সবে মম প্রতি বিদ্বেষ বর্জন।
আমি মুসলমান, করি বাক্যদান,
ভুলে যাব যাহা আছে মনে;
পূর্ব্বকথা আলোচনা নাহি প্রয়োজন।
সিংহাসনে হয় যদি সকত স্থাপিত,
বাঙ্গালার ক্ষতি নাহি তাহে।
হয় যদি বিদ্রোহ সফল,
বাঙ্গালায় বঙ্গবাসী হইবে নবাব।
কিন্তু সাবধান—
নাহি দিও ফিরিঙ্গিরে সূচ-অগ্র স্থান
জানিহ নিশ্চিত—
রাজ্যলিপ্সা প্রবল সবার।
দাক্ষিণাত্যে বুঝহ ব্যাভার,
ছলে বলে বিস্তার করিছে অধিকার।
ইংরাজের অমাত্য ইংরাজ,
মন্ত্রণায় স্থান নাহি পায় দেশবাসী।
বঙ্গের সন্তান—হিন্দু-মুসলমান,
বাঙ্গালার সাধহ কল্যাণ,
তোমা সবাকার যাহে বংশধরগণ—
নাহি হয় ফিরিঙ্গি-নফর।
শত্রুজ্ঞানে ফিরিঙ্গিরে কর পরিহার;
বিদেশী ফিরিঙ্গি কভু নহে আপনার,
স্বার্থপর—চাহে মাত্র রাজ্য-অধিকার।
হও সবে যুদ্ধার্থ প্রস্তুত।
↑অভিনয়ের সময় সংক্ষেপার্থে ষষ্ঠ ও অষ্টম গর্ভাঙ্কের পরিবর্ত্তে *[ ]* অংশটি সন্নিবেশিত হইল।