সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা/গল্প-বুড়ো
(পৃ. ২৫-২৬)
গল্প-বুড়ো
বইছে হাওয়া উত্তুরে;
গল্পবুড়ো থুত্থুরে—
চলছে হেঁটে পথ ধ'রে—
শীতের ভোরে সত্বরে;
চেঁচিয়ে যে তার মুখব্যথা,
“রূপকথা চাই, রূপকথা—”
ডাক ছেড়ে সে ডাকছে রে—
বলছে ডেকে হাঁক ছেড়ে—
“ঘুম ছেড়ে আজ ওঠ্, তোরা,
আয় রে ছুটে ছোট্টরা,—
কী আছে মোর তল্পিটায়
দেখবি যদি জল্দি আয়।
কাঁধের উপর এই ঝোলা,—
গল্প-ভরা মন-ভোলা,
দত্যি, দানব, যক্ষিরাজ,
রাজপুত্তর, পক্ষিরাজ,
মন-পবনের দাঁড়খানা,—
আজগবী সব কারখানা,—
ভর্তি আমার তল্পিটায়,
দেখবি যদি, জলদি আয়।
কড়ির পাহাড় সার-বাঁধা,—
মানিক-হীরা চোখ-ধাঁধা,—
সোনার কাঠি ঝল্মলে,—
ময়নামতী টল্টলে—
তেপান্তরের মাঠখানা—
হট্টমালার হাটখানা—
আটকালো এই তল্পিটায়,
দেখদি যদি, জল্দি আয়।
কেশবতী নন্দিনী
এই থলেতে বন্দিনী।
শীতের প্রখর প্রত্যুষে—
আসবে না যে শত্রু সে,—
ভাঙবো তাদের মূর্খতা—
বলবো নাকো রূপকথা॥”