সেঁজুতি/নিঃশেষ
< সেঁজুতি
(পৃ. ৫০)
নিঃশেষ
শরৎ বেলার বিত্তবিহীন মেঘ
হারায়েছে তা’র ধারাবর্ষণ বেগ;
ক্লান্তি আলসে যাত্রার পথে দিগন্ত আছে চুমি’,
অঞ্জলি তব বৃথা তুলিয়াছ হে তরুণী বনভূমি।
শান্ত হয়েছে দিকহারা তার ঝড়ের মত্ত লীলা,
বিদ্যুৎপ্রিয়া স্মৃতির গভীরে হোলো অন্তঃশীলা।
সময় এসেছে, নির্জন গিরিশিরে
কালিমা ঘুচায়ে শুভ্র তুষারে মিশে যাবে ধীরে ধীরে।
অস্ত সাগর পশ্চিমপারে সন্ধ্যা নামিবে যবে
সপ্ত ঋষির নীরব বীণার রাগিণীতে লীন হবে।
তবু যদি চাও শেষ দান তার পেতে,
ঐ দেখো ভরা ক্ষেতে
পাকা ফসলের দোদুল্য অঞ্চলে
নিঃশেষে তার সোনার অর্ঘ্য রেখে গেছে ধরাতলে।
সে কথা স্মরিয়ো, চলে যেতে দিয়ো তারে,
লজ্জা দিয়ো না নিঃস্ব দিনের নিঠুর রিক্ততারে।
শান্তিনিকেতন
৮।৪।৩৮
৮।৪।৩৮