হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা (১৯৫১)/চর্য্যাচর্য্যবিনিশ্চয়/২৩

২৩

রাগ বড়ারী

ভুসুকুপাদানাম্।  জই তুহ্মে ভুসুকু অহেই জাইবেঁ মারিহসি পঞ্চজণা
নলণীবন পইসন্তে হোহিসি একুমণা॥ ধ্রু॥
জীবন্তে ভেলা বিহণি মএল ণঅণি।
হণবিণু মাঁসে ভূসুকু পদ্মবণ পইসহিণি॥ ধ্রু॥
মাআজাল পসরি ঊরে বাধেলি মাআহরিণী।
সদ্গুরু বোহেঁ বুঝিরে কাসু কদিনি[]॥ ধ্রু॥

  1. এইখানে পুথির চারিটি পাতা নাই। ৩৪ পাতার পর একেবারে ৩৯ পাতা।

২৩

রাগ বড়ারী

ভুসুকুপাদানাম্— জই তুহ্মে ভুসুকু অহেরি জাইবেঁ মারিহসি পঞ্চজণা।
নলিণীবন পইসন্তে হোহিসি একুমণা॥ ধ্রু॥
জীবন্তে ভেলা বিহণি মএল রঅণি।
হণবিণুমাঁসে ভুসুকু পদ্মবণ পইসহি ণি॥ ধ্রু॥
মাআজাল পসরি ঊরে বধেলি মাআহরিণী।
সদ্গুরুবোহেঁ বুঝি রে কাসু কদিনি॥ ধ্রু॥}}

 ওহে ভুসুকু! তুমি যদি মৃগয়ায় যাইবে, [তবে পঞ্চস্কন্ধরূপ] পঞ্চ জনাকে [বিষয়রূপ পঞ্চ মৃগকে] মারিও। [এবং মহাসুখরূপ] নলিনীবনে প্রবেশের সময়ে একমনা হইও। [তোমার] জীবদবস্থাতে [জ্ঞানোদয়রূপ] প্রভাত হইল, [অজ্ঞানরূপ] রজনী মরিয়া গেল। হে ভুসুকু! নিহতদের মাংস [উপহার][ব্যাখ্যা ১] বিনা তুমি পদ্মবনে [মহাসুখকমলবনে] প্রবেশ করিও না। মায়াজাল প্রসারিত করিয়া, হৃদয়ের মায়া-হরিণীকে [তুমি] বধ করিয়াছ। [সুতরাং] কাহার কি বৃত্তান্ত, সদ্গুরুদত্ত জ্ঞানে তাহা এখন বুঝিতেছি।

  1. নিহত মৃগের মাংস উপহার নেওয়ার তাৎপর্য্য—বিষয়ের মূলীভূত শক্তিপ্রবাহকে পরমতত্ত্বে বিলীন করা।