হারানো খাতা/দশম পরিচ্ছেদ
দশম পরিচ্ছেদ
পথিক দরজায়, বিদেশী অসহায়,
কাতর সে যে হায়, বিষম ঝড়ে,
নাই মা, বধূ নাই, খেতে কে দেবে ভাই,
কে তা’রে দেবে ঠাঁই বৃষ্টি পড়ে।
পঠন পাঠন চলিতে লাগিল। যদিও গুরু শিষ্যা উভয়েরই পক্ষে এই শিক্ষাদান ও শিক্ষালাভ ব্যাপারের মধ্যে বিন্দু পরিমাণ আগ্রহ বা আনন্দের সম্পর্ক পর্য্যন্ত ছিল না; উভয় পক্ষের সবটুকুই শুধু দায় ঠেলার খাতির, সুতরাং ফলও ঠিক তদনুযায়ী প্রচুরতররূপে ফলিয়া উঠিতে লাগিল, অর্থাৎ বড় একটাই দেখা গেল না। পরিমল প্রথম দিনের সেই সঞ্চারিত সঙ্কোচকে প্রাণপণে যুক্তিতর্ক ও সিদ্ধান্তের দ্বারায় কোনমতে তার মন হইতে অপসৃত করিয়াছিল। নিজেকে সে এই বলিয়াই শান্ত করিতে চাহিল যে, মানুষের মত মানুষ যে কত থাকে; একজনের গলার সুরের মতন কি আর আর এক-জনের গলার স্বর থাকে না? এর হাসি তো দেখিনি; বােধ হয় এ মােটেই হাসে না, কিন্তু তাঁর,—তাঁর হাসিটীই যে তাঁর সব চেয়ে বড় সৌন্দর্য্য ছিল। এর আড়ন সেই রকমই বটে, কন্তু সে রং, সে চোখ, সে চুল, সেই বলিষ্ঠ দৃঢ় গঠন— সে সব এর কোথায় কি? তারপর তাহার ঠোটের কোণে একটা ফোঁটা হাসি এবং চোখের কোনে ফোঁটা দুই অশ্রু দেখা দিয়া তাহাকে সচকিত করিয়া তুলিল। আমিও কি পাগলের বাতাস লেগে পাগল হলেম নাকি? কি ছাই ভাবছি? যাকে নিজের চোখে মর্তে দেখলেম, পুড়িয়ে পর্য্যন্ত এলাে, তার সঙ্গে কার কতটুকু মিল কোথায় খুঁজলে পাওয়া যায়, সেই ভাবনায় মাথা ঘামিয়ে লাভ? মনকে সে কড়া হুকুমে ঠাণ্ডা করিতে চাহিল। সেদিন পড়িতে গিয়াই সে বই খুলিবার আগে ভাগেই মুখ খুলিয়া এবং মুখ তুলিয়া নিরঞ্জনের বিদগ্ধ ও বিব্রত মুখের দিকে করুণচোখে চাহিয়া দেখিল। দেখিতে দেখিতে তাহার মনের ভিতরটা যেন করুণায় ও বেদনায় নিবিড়ভাবে ভরিয়া আসিল, তখন সে গভীর সহানুভূতি ও ব্যথায় বিজড়িত চিত্তে তাহার সহিত আলাপ করিতে বসিল। নিরঞ্জন নতমুখে তাহার পাঠ প্রতীক্ষা করিতেছিল। ম্যাকমিলানের ছাপা স্কুল পাঠ্য বইএর মাপজোকা রচনার পরিবর্ত্তে তাহার কানে আসিয়া সবিস্ময়ে এই প্রশ্নটা প্রবেশ করিল—
“আচ্ছা মাষ্টার মশাই! আপনার দেশ কোনখানে ছিল?”—
নিরঞ্জন প্রথমে চমকিয়া উঠিল; তারপর হাতের আঙ্গুল দিয়া নিজের কপাল টিপিয়া ধরিল; আরও খানিক পরে সে মুখ না তুলিয়াই জবাব দিল, “বসিরহাট”।
“বসিরহাট! তবেতো ঠাকুরঝিদের দেশেরই লোক আপনি! হারাণ চন্দ্র ঘোষেদের জানেন? নাম শুনেছেন অবশ্য? সেই হারাণঘোষের মেজে-ছেলেই আমার নন্দাই। তার নাম জ্যোতিঃ প্রসাদ ঘোষ। সে গেল বছর ওকালতি পাশ করে উকিল হয়েছে। জানেন তাকে? বড্ড ভাল ছেলে সে। নেহাৎ ভালমানুষ, যেন গো-বেচারী একেবারে!—”
পরিমলের মনের মধ্যে বোধ করি মানুষের পরিচয়ে তাহার গো-জন্মের আভাসটা একটু বেশী পরিমাণে সুব্যক্ত হওয়াটাকেই তাহার পক্ষে গৌরবজনক বলিয়া বোধ ছিল, সেই জন্যই সে সুষোগ পাওয়া মাত্রে তাহার এই নিরীহ প্রকৃতির নন্দাইটীর প্রশংসা উচ্ছ্বসিতকণ্ঠে করিয়া বসিল, এবং ইহার মধ্যে প্রসুপ্ত রহিল যাহারা ‘গো-বেচারা’ নহে, তাহাদেরই সম্বন্ধে ঈষৎ একটুখানি গ্লানির আভাস।
নিরঞ্জন আবার যেন কতকটাই ইতস্ততঃ করিল। তারপর সঙ্কুচিতভাবে সে জবাব দিল, “না না, ওঁকে আমি চিনিনে, আমি অনেকদিন দেশ ছাড়া।”
ঈষৎ দমিয়া গিয়া পরিমল তখন ছোট্ট করিয়া একটা “ও” বলিয়া নিজের পাঠ্য পুস্তকের পাতা উল্টাইতে আরম্ভ করিল, এবং তৎপরে পুনশ্চ একটুখানি আগ্রহের সহিত প্রশ্ন করিয়া উঠিল, “আচ্ছা, আপনায় বাড়ীতে কে কে আছেন? আপনার মা বাবা নেই বোধ হয়? আচ্ছা, ভাই বোন নিশ্চয়ই আছেন? আর কেউ? আর কোন আত্মীয়?”
একটা দীর্ঘ ও ব্যথাভারাতুর নিংশ্বাসের শব্দ তাহার সকল উৎসাহকেই দমিত করিয়া দিয়া আরও একটা চাপা দীর্ঘশ্বাসের মতই বাহির হইয়া আসিল,—“কেউ না।”
পরিমলের বুকের মধ্যে এই আর্ত্তস্বরটা এম্নি ভীষণবলে বাজিয়া উঠিল যে, সেই নিঃসঙ্গ নিঃশেষিত মরুভূমির মতই জীবনের ভয়াবহ শূন্যময়তা সে যেন তৎক্ষণাৎ নিজের অন্তরের অন্তরে অনুভব করিল ও তাহার অকৃত্রিম সহানুভূতি একান্তভাবেই এই সর্ব্বহারা এবং আত্মহারা অভাগাকে বেষ্টন করিয়া ধরিল। সে যে জানে,—এই নিঃসঙ্গ নির্ব্বান্ধব পরিত্যক্ত জীবনের দুঃখ যে কি বিষম, কি দুর্ব্বিসহ—সে যে নিজে তার ভুক্তভোগী! সে যে নিজের বুকের ভিতর হইতে এ অপরিমেয় দুঃখের রিক্ততা ও তিক্ততা আজও মর্ম্মে মর্ম্মে অনুভব করিতে পারিতেছে। যদি যে সদয়চিত্ত এই পথপ্রান্তের মরণশয্যালীন দুরবস্থার চরমে পতিত ইহাকে কুড়াইয়া আনিয়া সযত্ন সেবায় জীয়াইয়া তুলিলেন, সেই তাঁহারই উদার অন্তর তাহারও জন্য না কাঁদিত,—যদি সেই তিনিই তাহাকেও ওম্নি করিয়াই পথের ধূলার মাঝখান হইতে—শুধু তাই নয়—একেবারে নিজের বুকে তুলিয়া না লইতেন,— তবে আজ তাহার অবস্থা ইহার চাইতেও আর একটু শোচনীয় হইয়া দাঁড়াইত কি না তাও বেশ জোর করিয়া বলা যায় না! স্বামীর দয়া যে কি অসীম, এবং তাঁহার পরে তাহার কৃতজ্ঞতা যে কতই গভীরতর হওয়া উচিত, তাই ভাবিয়া, ও নিজের মধ্যে যে জিনিষটা অপর্য্যাপ্ত হওয়া উচিত ছিল তাহা পর্য্যাপ্ত দেখিয়া, নিজের প্রতি সে বেশ সন্তুষ্ট হইতে পারিল না। মনটাকে অন্যদিকে ফিরাইতে চাহিয়া তাই তাড়াতাড়ি প্রশ্ন করিল, “আপনার হাতের লেখাটা তো খুবই সুন্দর। ইংরেজী উচ্চারণও খুব কম জানার মতন লাগে না। তাহলে আপনি কেন কাজ কর্ম্ম না করে অত কষ্ট সইছিলেন? কতদিন বাড়ীছাড়া হয়েছেন আপনি?”
নিরঞ্জন এই প্রশ্নগুলা নতমুখে শুনিয়া গেল। কিন্তু তাহার ভাবশূন্য নিশ্চল শরীরে ইহার উত্তরের কোন চেষ্টা জাগ্রত হইতেছে কি না, তাহার কোনই প্রমাণ পাওয়া গেল না। অগত্যা পরিমল তাহার কৌতুহলবৃত্তিকে দমনে রাখিয়া নিজের পাঠ্য পুস্তকে মনোনিবেশ করিল এবং অনেকখানি পড়া হইয়া গেলে যখন বুঝিতে পারিল যে, তাহার মাষ্টার মশাইএর কানে তাহার পাঠের শব্দটুকু পর্য্যন্ত প্রবেশ করিতেছে না, এম্নি গভীরতর অন্যমনস্কতায় তাহার মনকে অভিভূত প্রায় করিয়া রাখিয়াছে, তখন সে কিছুক্ষণ নির্ব্বাকবিস্ময়ে তাহার মুখের দিকে চাহিয়া থাকিল ও তারপরই কি যেন একটা অজ্ঞাত আতঙ্কে সমস্ত শরীরে ও মনে ভীষণ ভাবে শিহরিয়া উঠিয়া তাড়াতাড়ি সে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল। অকস্মাৎ তাহার মনে হইয়া গেল, সে কেন কোন এ-জগতের প্রাণীর সান্নিধ্যে নাই,—এই যে মানুষটির সামনে সে রহিয়াছে, এ পৃথিবীর সঙ্গে ইহার যেন কোথায়ও একটু যোগ আছে কিন্তু সে যেন পুরোপুরি এখানের নয়। চেহারাখানা এর মোটামুটী দেখিতে মানুষেরই মত বটে, গলার স্বরও এই দেশেরই সম্বন্ধ জ্ঞাপন করে, কিন্তু না,—তবু না—কিছুতেই ইহাকে যেন রক্তমাংসের জীবিত পদার্থ বলিয়া মনে করিতে পারা যায় না! এ যেন কোথাকার একটা ছায়া,কোন্ দূরান্তর প্রস্থিতের একটুখানি মায়ামূর্ত্তি এর মধ্যে খুঁজিলে, পাওয়া যায়। শুধু সেইটুকু— আর বাকি সবখানিই এর অবাস্তব, অসঙ্গত, অনাসৃষ্টি! পরিমলের মনের মধ্যটা ছমছমে হইয়া উঠিল। এই শব্দহীন,—স্পন্দনেরও চিহ্ন যাহার মধ্যে বেশ সুস্পষ্ট নয়—তাহার সান্নিধ্যকে সভয়ে বর্জ্জন করিয়া উর্দ্ধশ্বাসে সে ছুটিয়া পলাইতে চাহিল।
নরেশ সেদিন অপরাহ্নে তখন বেড়াইতে বাহির হইতেছিলেন, পরিমল খবর দিয়া তাঁহাকে ডাকিয়া পাঠাইয়া বলিল, “দেখ, নিরঞ্জনকে আর কোন কাজ দিয়ে আমার জন্য অন্য কোন শিক্ষয়িত্রী ঠিক করে দিতে পারে না? সেই যদি পরিশ্রমই করবে, তা’হলে যাতে কাজ হয়, সেই রকমই তো করা ভাল।”
নরেশ ইদানীং পরিমলের মুখে মাষ্টার মশাইএর বিদ্যাবুদ্ধি ও বিনয়ের বিস্তর খ্যাতি শুনিতেছিলেন। আজ আবার হঠাৎ এই অনুযোগে কিছু বিস্মিত হইয়া বলিয়া উঠিলেন, “কেন, আবার কি হলো?”
পরিমল বলিল, “হয় নি কিছুই, তবে পড়া বড় হয় না কিনা তাই বল্ছি, উনি বড়ই অন্যমনস্ক, আমার অনেকটা সময় নষ্ট হয়।”
নরেশ নিজেও এটা লক্ষ্য করিয়াছিলেন। তাই স্ত্রীর কথায় অসন্তুষ্ট হইতে না পারিয়া ঈষৎ চিন্তিত মুখে কহিলেন,“আচ্ছা তা হলে ভেবে চিন্তে দেখি, ওকে আর কি কাজ দিতে পারা যায়। কিছু না দিলে তো ওকে ওম্নি রাখা যাবে না, সেই যে হয়েছে মহা মুস্কিল!”
পরিমল বোধকরি পূর্ব্বাবধি এ বিষয়ে কিছু কিছু ভাবিয়া রাখিয়াছিল, সে প্রস্তাব করিল—“ছাপাখানার কোন কাজ দেওয়া চলে না?”
নরেশ কহিলেন “দেখি, তাই না হয় কোন কিছু যদি পারে। বাংলাটা কি রকম জানে বুঝলে কিছু? ইংরাজী যে মন্দ জানে না, সেটা আমি জানতে পেরেছি। কিন্তু বাংলা যদি তেমন—”
পরিমল মুখ টিপিয়া একটু হাসিয়া উঠিয়া গিয়া এক টুকরা কাগজ লইয়া আসিল ও উহা স্বামীর হাতে দিয়া বলিল “পড়ে দেখ।”
নরেশ কাগজটার ভাঁজ খুলিয়া দেখিলেন তাহার ভিতর পৃষ্ঠায় একটা কবিতা লেখা। কৌতূহলী হইয়া পড়িলেন,—
“কাঁদিতে এসেছি আমি কাঁদিয়াই চলে যাব,
এসেছি অনন্ত হতে অনন্তেই মিশাইব।
দুঃখের তরঙ্গ তুলি, এসেছি আপনা ভুলি,
খুঁজিব বিরাট বিশ্ব কোথা গেলে সীমা পাব।
জগতে হবে না সুখী এ পোড়া পরাণ মন।
অসীম দুঃখেরে আমি করে আছি আলিঙ্গন।
আপনি নীরবে রহি, আপন যাতনা সহি,
অপরে করিতে দুঃখী চাহে নাকো এ জীবন।
ভবের সুখের আশা করিয়াছি বিসর্জ্জন।
না চাহি কাহারও স্নেহ কাহারও ভালবাসা,
রাখিনে রাখিনে মনে পার্থিব প্রেমের আশা
কারও উপেক্ষার হাসি, সহিতে গঞ্জনা রাশি—”
কবিতা অসমাপ্ত। নরেশ পাঠশেষে মুখ তুলিয়া প্রশ্ন করিলেন, “কে লিখেছে—নিরঞ্জন?”
পরিমল মাথা দুলাইয়া সায় দিল। তারপর বলিল “আরও দুটো একটা ওঁর টেবিলে পড়ে থাক তে দেখেছি, একটা মোটে ক’টা লাইন লেখা। সেটা আমার মনেই আছে।
পাবে কি না পাব ফিরে কেন বৃথা এত ভয়?
কেন, কেন এ সংশয়?
যখন দাঁড়াব গিয়ে তোমার চরণতলে,
আমার গচ্ছিত নিধি ফিরাইয়া দাও বলে,
না দিয়ে পারিবে কিগো ফিরাইতে দয়াময়!
তবে কেন এ সংশয়?
দেখ, মাষ্টার মশাইএর বউ নিশ্চয় ছিল, মরে গেছে, তাইতে ওঁর বোধ হয় মাথা খারাপ হয়ে গেছে, না?—কিন্তু স্ত্রীকে কি রকম ভালবাসে বলতো?”
নরেশ হাসিয়া নিজের স্ত্রীর গাল দুইটা টিপিয়া দিয়া জবাব দিলেন, “ঠিক যেন মহাদেবের সঙ্গে সমান! স্ত্রীটীও হয়ত সতী-ঠাক্রুণের মতই পতির জন্য দেহ ত্যাগ করে থাকবেন। তা না হলে কি আর অতটাই পারা যায়?”
কথাটীর মধ্যে বেশ একটুখানি খোঁচা খাইয়া পরিমলও সেটুকু তৎক্ষণাৎ শোধ করিয়া দিল!— “তাই কি আর বল্তে পারা যায়? এই সেদিন কালীঘাটে একটী মেয়ে স্বামীর অবস্থা খুব খারাপ দেখে আর ডাক্তারের মুখে ‘আশাহীন’ কথাটা শুনেই স্বামীকে ছেড়ে থাকতে পারবে না বলে তক্ষুনি নিজের প্রাণটা নষ্ট করে ফেল্লে, কিন্তু স্বামী ভদ্রলোকটী সে যাত্রা রক্ষা পেয়ে গেলেন এবং স্ত্রীর অত বড় আত্মত্যাগের মূল্য শোধ করলেন কি দিয়ে জানো? বসর না ঘুরতেই একটী নূতন বউ ঘরে এনে। এই তো সব তোমরা!”
নরেশ এ ঘটনাটি জানিতেন, কাজেই মাথা পাতিয়া এই নিন্দাটুকু গ্রহণ করিয়া লইতেই হইল এবং হাসিয়া উঠিয়া রহস্য করিয়া জবাব দিতে হইল “তা মহাদেবও ত শেষটায় পার্বতীকে বিয়ে করে ছিলেন। তাঁরটীরও হয়ত সেই রকমই অংশাবতার হয়েছিল টিল, তার কে’ কি জানে বলো! আচ্ছা তাহলে নিরঞ্জনকে আমাদের ‘কর্ণধারেরই কর্ণ’ ধরিয়ে দেওয়া যাক, আর তোমার উক্ত কার্য্যের জন্য একজন উপযুক্ত পাত্র বা পাত্রীর খোঁজ খবর করতে হবে।”
পরিমল কৃত্রিমকোপে চোখ রাঙ্গাইয়া চাপা হাসির মধ্যে তর্জ্জন করিয়া উঠিল “যাও।”