হারামণি/৬৭
< হারামণি
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন সম্পাদিত
(পৃ. ৮৪-৮৫)
(পৃ. ৮৪-৮৫)
৬৭
রসের ধুয়া
আল্লা যারে ব্যাটা কোলে দ্যায়
খুসী হয় তার বাপ মায়;
খুসী হয়্যা আল্লার আগে কয়
আমি নালিশ করি ওগো আল্লা
বেটা যেন আমার বাঁচিয়ে রয়!
ইষ্টিকুটুম দরদবন্ধু আল্লা রাখো ‘বরজায়’।
তিনে সুখে ব্যাটার বিয়্যা দ্যায়
পরের মায়া আন্যা দ্যায়
সেই ঘরেতে রসের ময়না রয়
চেক্না সুরে কয়না কথা, চোক ঢুলিয়ে আর
কাঁদিয়ে কয়
এত জ্বালা কার শরীরে সয়।
বুড়্যা বুড়ীর ‘ক্যাণ ক্যাণির’ জ্বালায়
শরীর কালা হয়ে ষায়।
কই যে পতির চরণ ধরি
তুমি আমার গলায় দেও ছুরি
নইলে দরিয়ায় ঝাঁপ দিয়ে মরি
এই কথাটা শুনে বড়, উঠলো বড় রাগ করে
বুড়্যাবুড়ীর কিসের ঘরবাড়া
তুমি ন্যাও বুঝা হাঁড়ি।
চাইলে দিস্না খর ‘আলোপাত’
তোর বাপ মার কি এমনি কথা
চাইলে পাইনা খর আলোপাতা।
মুক্ নাড়ে ‘পাঙাশের মত, পান চাবায়
আর ক্যানক্যানায়
এত জ্বালা কার শরীরে সয়।