১৯০৫ সালে বাংলা/ম্যাজিষ্ট্রেটের গৃহে
ম্যাজিষ্ট্রেটের গৃহে।
পূর্ব্বেই বলিয়াছি, সুরেন্দ্র বাবুর সঙ্গে লাকুটিয়ার উচ্চমনা জমিদার বাবু বিহারিলাল রায়, সুপ্রসিদ্ধ বাবু অশ্বিনীকুমার দত্ত ও শ্রীযুক্ত কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ গমন করিয়াছিলেন। ম্যাজি ষ্ট্রেট সাহেব চাপরাসী দিয়া কাব্যবিশারদকে ডাকাইলেন। তাঁহার সেই অনাবৃত দেহ, শুভ্র উপবীত ও কৌষিক ধুতি চাদর অবশ্যই অসভ্যতা-ব্যঞ্জক বিবেচিত হইল। প্রভু ইমার্সন কেস্প সাহেবকে বলিলেন, “এইরূপ লোকদিগকে মাথায় ‘হ্যাট’ না দিয়া আমার সম্মুখে আনয়ন পুরঃসর আমার অবজ্ঞা করিবার কি প্রয়োজন ছিল, বুঝিতে পারি না।” বিশারদকে বলিলেন “Get out”। এরূপ সম্ভাষণ পাইয়া সহাস্য হাস্যে, লগুড় গ্রহণ পূর্ব্বক কাব্যবিশারদ মহাশয় গাড়ীতে আসিয়া বসিলেন ও কৌতূক দেখিতে লাগিলেন। তৎপরে বাবু অশ্বিনীকুমার দত্তের অভ্যর্থনা হইল। তাঁহার ধুতি চাদর জামা পরা ছিল, কিন্তু মাথায় হ্যাট বা সাহেবী টুপী ছিল না, সুতরাং তাঁহারও বহির্দ্দেশে গমনের অনুমতি হইল। শেষে বিহারী বাবুকেও আরক্ত নেত্রে বাহিরে যাইতে বলা হইল, কিন্তু তৎক্ষণাৎ আবার ডাকা হইল।