আলালের ঘরের দুলাল (১৮৭০)/৮
৮ উকিল বটলর সাহেবের আপিস—বৈদ্যবাটীর
বাটীতে কর্ত্তার জন্য ভাবনা, বাঞ্ছারাম বাবুর তথায়
গমন ও বিষাদ, বাবুরাম বাবুর সংবাদ ও আগমন।
বটলর সাহেব আপিসে আসিয়াছেন। বর্ত্তমান মাসে কত কর্ম্ম হইল উল্টে পাল্টে দেখিতেছেন, নিকটে একটা কুকুর শুয়ে আছে, সাহেব এক২ বার সিস্ দিতেছেন—এক২ বার নাকে নস্য গুঁজে হাতের আঙুল চট্কাইতেছেন—এক২ বার কেতাবের উপর নজর করিতেছেন—এক২ বার দুই পা ফাঁক করিয়া দাঁড়াইতেছেন—এক২ বার ভাবিতেছেন আদালতের কয়েক আফিসে খরচার দরুন অনেক টাকা দিতে হইবেক—টাকার জোট্পাট্ কিছুই হয় নাই অথচ টারম্ খোল্বার আগে টাকা দাখিল না করিলে কর্ম্ম বন্ধ হয়—ইতিমধ্যে হৌয়র্ড উকিলের সরকার আসিয়া তাঁহার হাতে দুইখানা কাগজ দিল। কাগজ পাইবা মাত্রে সাহেবের মুখ আহ্লাদে চক্চক্ করিতে লাগিল, অমনি বলিতেছেন বেন্শারাম! জল্দি হিঁয়া আও। বাঞ্ছারাম বাবু চৌকির উপর চাদরখানা ফেলিয়া কাণে একটা কলম গুঁজিয়া শীঘ্র উপস্থিত হইলেন।
বটলর। বেন্শারাম! হাম বড়া খোশ হুয়া। বাবুরামকা উপর দো নালিশ হুয়া—এক ইজেক্টমেণ্ট আর এক একুটি, হামকো নটিশ ও সুপিনা হৌয়র্ড্ সাহেব আবি ভেজ দিয়া।
বাঞ্ছারাম শুনিবা মাত্র বগল বাজিয়ে উঠিলেন ও বলিলেন— সাহেব দেখ আমি কেমন মুৎসুদ্দি—বাবুরামকে এখানে আনাতে একা দুদে ক্ষীর ছেনা ননী হইবেক। ঐ দুখানা কাগজ আমাকে শীঘ্র দাও আমি স্বয়ং বৈদ্যবাটীতে যাই—অন্য লোকের কর্ম্ম নয়। এক্ষণে অনেক দমবাজি ও ধড়িবাজির আবশ্যক। একবার গাছের উপর উঠাতে পার্লেই টাকার বৃষ্টি করিব, আর এখন আমাদের তপ্ত খোলা—বড়ো খাঁই—একটা ছোবল মেরে আলাল হিসাবে কিছু আনিতে হইবে।
বৈদ্যবাটীর বাটীতে বোধন বসিয়াছে— নহবত ধাঁধাঁগুড়গুড় ধাঁধাঁগুড় করিয়া বাজিতেছে। মুর্শুদাবাদি রোশনচৌকি পেওঁ২ করিয়া ভোরের রাগ আলাপ করিতেছে। দালানে মতিলালের জন্য স্বস্ত্যয়ন আরম্ভ হইয়াছে। একদিগে চণ্ডী পাঠ হইতেছে— একদিগে শিবপূজার নিমিত্তে গঙ্গামৃত্তিকা ছানা হইতেছে। মধ্যস্থলে শালগ্রাম শিলা রাখিয়া তুলসী দেওয়া হইতেছে। ব্রাহ্মণেরা মাথায় হাত দিয়া ভাবিতেছে ও পরস্পর বলাবলি করিতেছে আমাদিগের দৈব ব্রাহ্মণ্য তো নগদই প্রকাশ হইল— মতিলালের খালাস হওয়া দূরে থাকুক এক্ষণে কর্ত্তাও তাহার সঙ্গে গেলেন। কল্য যদি নৌকায় উঠিয়া থাকেন, সে নৌকা ঝড়ে অবশ্য মারা পড়িয়াছে সে বিষয়ে সন্দেহ নাই— যা হউক, সংসারটা একেবারে গেল— এখন ছ্যাং চেংড়ার কীর্ত্তন হইবে— ছোটবাবু কি রকম হইয়া উঠেন বলা যায় না— বোধ হয় আমাদের প্রাপ্তির দফা একেবারে উঠে গেল। ঐ ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে একজন আস্তে২ বল্তে লাগিলেন— ওহে তোমরা ভাব্ছো কেন? আমাদের প্রাপ্তি কেহ ছাড়ায় না— আমরা শাঁকের করাত— যেতে কাটি আস্তে কাটি— যদি কর্ত্তার পঞ্চত্ব হইয়া থাকে তবেতো একটা জাঁকাল শ্রাদ্ধ হইবে, কর্ত্তার বয়েস হইয়াছে, মাগী টাকা লয়ে আতু২ পুতু২ করিলে দশজনে মুখে কালী চূন দিবে। আর একজন বল্লেন, অহে ভাই! সে বেগুন ক্ষেত ঘুচে মূলা ক্ষেত হবে, আমরা এমন চাই যে বসুধারার মতো ফোটা২ পড়ে নিত্য পাই, নিত্য খাই—এক বর্ষণে কি চির কালের তৃষ্ণা যাবে?
বাবুরাম বাবুর স্ত্রী অতি সাধ্বী। স্বামীর গমনাবধি অন্নজল ত্যাগ করিয়া অস্থির হইয়াছিলেন। বাটীর জানালা থেকে গঙ্গা দর্শন হইত— সারারাত্রি জানালায় বসিয়া আছেন। এক২ বার যখন প্রচণ্ড বায়ু বেগে বহে, তিনি অমনি আতঙ্গে শুখাইয়া যান। এক একবার তুফানের উপর দৃষ্টিপাত করেন কিন্তু দেখিবামাত্র হৃকম্পন উপস্থিত হয়। এক২ বার বজ্রঘাতের শব্দ শুনেন, তাহাতে অস্থির হইয়া কাতরে পরমেশ্বরকে ডাকেন। এই প্রকারে কিছুকাল গেল— গঙ্গার উপর নৌকার গমনাগমন প্রায় বন্ধ। মধ্যে২ যখন এক২টা শব্দ শুনেন অমনি উঠিয়া দেখেন। এক একবার দূর হইতে একটা২ মিড়্মিড়ে আলো দেখ্তে পান, তাহাতে বোধ করেন ঐ আলোটা কোন নৌকার আলো হইবে— কিয়ৎ ক্ষণ পরেই একখানা নৌকা দৃষ্টিগোচর হয়, তাহাতে মনে করেন এ নৌকা বুঝি ঘাটে আসিয়া লাগিবে— যখন নৌকা ভেড়২ করিয়া ভেড়ে না— বরাবর চলে যায়, তখন নৈরাশ্যের বেদনা শেলস্বরূপ হইয়া হৃদয়ে লাগে। রাত্রি প্রায় শেষ হইল—ঝড় বৃষ্টি ক্রমে২ থামিয়া গেল। সৃষ্টির অস্থির অবস্থার পর স্থির অবস্থা অধিক শোভাকর হয়। আকাশে নক্ষত্র প্রকাশ হইল—চন্দ্রের আভা গঙ্গার উপর যেন নৃত্য করিতে লাগিল ও পৃথিবী এমত নিঃশব্দ হইল যে, গাছের পাতাটি নড়িলেও স্পষ্টরূপ শুনা যায়। এইরূপ দর্শনে অনেকেরই মনে নানাভাবের উদয় হয়। গৃহিণী এক২ বার চারিদিকে দেখিতেছেন ও অধৈর্য্য হইয়া আপনা আপনি বলিতেছেন —জগদীশ্বর! আমি জানত কাহারো মন্দ করি নাই— কোনো পাপও করি নাই—এতকালের পর আমাকে কি বৈধব্য-যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইবে? আমার ধনে কাজ নেই—গহনার কাজ নাই— কাঙালিনী হইয়া থাকি সেও ভাল— সে দুঃখে দুঃখ বোধ হইবে না কিন্তু এই ভিক্ষা দেও যেন পতি-পুত্রের মুখ দেখ্তে২ মরিতে পারি। এইরূপ ভাবনায় গৃহিণীর মন অতিশয় ব্যাকুল হইতে লাগিল। তিনি বড় বুদ্ধিমতী ও চাপা মেয়ে ছিলেন, আপনি রোদন করিলে পাছে কন্যারা কাতর হয়, এ কারণে ধৈর্য্য ধরিয়া রহিলেন। শেষ রাত্রে বাটীতে প্রভাতী নহবত বাজিতে লাগিল। ঐ বাদ্যে সাধারণের মন আকৃষ্ট হয় সত্য কিন্তু তাপিত মনে ঐরূপ বাদ্য দুঃখের মোহনা খুলিয়া দেয়, এ কারণ বাদ্য শ্রবণে গৃহিণীর মনের তাপ যেন উদ্দীপ্ত হইয়া উঠিল। ইতিমধ্যে একজন জেলিয়া বৈদ্যবাটীর বাটীতে মাছ বেচতে আসিল; তাহার নিকট অনুসন্ধান করাতে সে বলিল ঝড়ের সময় বাঁশবেড়ের চড়ার নিকট একখানা নৌকা ডুবুডুবু হইয়াছিল—বোধ হয় সে নৌকাখানা ডুবিয়া গিয়াছে— তাতে একজন মোটা বাবু—একজন মোসলমান, একটী ছেলেবাবু ও আর২ অনেক লোক ছিল। এই সংবাদ একেবারে যেন বজ্রাঘাত তুল্য হইল। বাটীতে বাদ্যোদ্যম বন্ধ হইল ও পরিবারেরা চীৎকার করিয়া কাঁদিয়া উঠিল।
অনন্তর সন্ধ্যা হয় এমন সময় বাঞ্ছারাম বাবু তড়্বড়্ করিয়া বৈদ্যবাটীর বাটীর বৈঠকখানায় উপস্থিত হইয়া জিজ্ঞসা করিলেন— কর্ত্তা কোথায়? চাকরের নিকট সংবাদ প্রাপ্ত হওয়াতে একেবারে মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন এবং বলিলেন— হায়২ বড় লোকটাই গেল! অনেক ক্ষণ খেদ বিষাদ করিয়া চাকরকে বল্লেন, এক ছিলিম তামাক্ আন্তো। একজন তামাক্ আনিয়া দিলে খাইতে২ ভাবিতেছেন— বাবুরাম বাবুতো গেলেন এক্ষণে তাঁহার সঙ্গে২ আমিও যে যাই। বড় আশা করিয়া আসিয়াছিলাম কিন্তু আশা আসা মাত্র হইল—বাটীতে পূজা—প্রতিমা ঠন্ঠনাচ্ছে— কোথ্থেকে কি করিব কিছুই স্থির করিতে পারি নাই। দমসম দিয়া টাকাটা হাত করিতে পারিলে অনেক কর্ম্মে আসিত— কতক সাহেবকে দিতাম— কতক আপনি লইতাম— তারপরে এর মুণ্ডু ওর ঘাড়ে দিয়া হর বর সর করিতাম। কে জানে যে আকাশ ভেঙ্গে একেবারে মাথার উপর পড়্বে? বাঞ্ছারাম বাবু চাকরদিগকে দেখাইয়া লোক দেখানো একটু কাঁদিতে আরম্ভ করিলেন কিন্তু সে কান্না কেবল টাকার দরুন। তাঁহাকে দেখিয়া স্বস্ত্যয়নি ব্রাহ্মণেরা নিকটে আসিয়া বসিলেন। গলায়দড়ে জাত প্রায় বড় ধূর্ত্ত—অন্ত পাওয়া ভার। কেহ কেহ বাবুরাম বাবুর গুণ বর্ণন কর্তে লাগিলেন— কেহ২ বলিলেন আমরা পিতৃহীন হইলাম— কেহ২ লোভ সম্বরণ করিতে না পারিয়া কহিলেন, এখন বিলাপের সময় নয় যাতে তাঁর পরকাল ভাল হয় এমনতো চেষ্টা করা কর্ত্তব্য— তিনি তো কম লোক ছিলেন না? বাঞ্ছারাম বাবু তামাক্ খাচ্ছেন ও হাঁ হাঁ বল্ছেন— ও কথায় বড় আদর করেন না— তিনি ভাল জানেন বেল পাক্লে কাকের কি? আপনি এমনি বুকভাঙ্গা হইয়া পড়িয়াছেন যে উঠে যেতে পা এগোয় না— যা শুনেন তাতেই সাটে হেঁ হুঁ করেন— আপনি কি করিবেন— কার মাথা খাবেন— কিছুই মতলব বাহির করিতে পারিতেছেন না। এক একবার ভাব্তেছেন তদ্বির না করিলে দুই একখানা ভাল বিষয় যাইতে পারে এ কথা পরিবারদিগকে জানালে এখনি টাকা বেরোয়— আবার এক২ বার মনে কর্তেছেন এমত টাট্কা শোকের সময় বল্লে কথা ভেসে যাবে। এইরূপ সাত-পাঁচ ভাবছেন, ইতিমধ্যে দরজায় গোল উঠিল— একজন ঠিকা চাকর আসিয়া একখানা চিঠি দিল— শিরনামা বাবুরাম বাবুর হাতের লেখা কিন্তু সে ব্যক্তি সরেওয়ার কিছুই বলিতে পারিল না, বাটীর ভিতরে চিঠি লইয়া যাওয়াতে গৃহিণী আস্তে ব্যস্তে খুলিয়া পড়িলেন। সে চিঠি এই—
“কাল রাত্রে ঘোর বিপদে পড়িয়াছিলাম— নৌকা আঁদিতে এগিয়ে পড়ে, মাজিরা কিছুই ঠাহর করিতে পারে নাই, এমনি ঝড়ের জোর যে নৌকা একবারে উল্টে যায়। নৌকা ডুবিবার সময় এক২ বার বড় ত্রাস হয় ও এক২ বার তোমাকে স্মরণ করি— তুমি যেন আমার কাছে দাঁড়াইয়া বলিতেছ— বিপদ কালে ভয় করিও না— কায়মনোচিত্তে পরমেশ্বেরকে ডাকো— তিনি দয়াময়, তোমাকে বিপদ থেকে অবশ্যই উদ্ধার করিবেন। আমিও সেই মত করিয়াছিলাম। যখন নৌকা থেকে জলে পড়িলাম তখন দেখিলাম একটা চড়ার উপর পড়িয়াছি— সেখানে হাঁটু জল। নৌকা তুফানের তোড়ে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া গেল। সমস্ত রাত্রি চড়ার উপর থাকিয়া প্রাতঃকালে বাঁশবেড়ীয়াতে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। মতিলাল অনেক ক্ষণ জলে থাকাতে পীড়িত হইয়াছিল। তাকুত করাতে আরাম হইয়াছে, বোধ করি রাত্তক বাটীতে পৌঁছিব।”
চিঠি পড়িবামাত্র যেন অনলে জল পড়িল—গৃহিণী কিছুকাল ভাবিয়া বলিলেন, এ দুঃখিনীর কি এমন কপাল হবে? এই বলিতে২ বাবুরাম বাবু আপন পুত্র ও ঠকচাচা সহিত বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। চারিদিকে মহা গোল পড়িয়া গেল। পরিবারের মন সন্তাপের মেঘে আচ্ছন্ন ছিল এক্ষণে আহ্লাদের সূর্য্য উদয় হইল। গৃহিণী দুই কন্যার হাত ধরিয়া স্বামী ও পুত্রের মুখ দেখিয়া অশ্রুপাত করিতে লাগিলেন, মনে করিয়াছিলেন মতিলালকে অনুযোগ করিবেন— এক্ষণে সে সব ভুলিয়া গেলেন। দুইটি কন্যা ভ্রাতার হাত ধরিয়া ও পিতার চরণে পড়িয়া কাঁদিতে লাগিল। ছোট পুত্রটি পিতাকে দেখিয়া যেন অমূল্য ধন পাইল— অনেক ক্ষণ গলা জড়াইয়া থাকিল— কোল থেকে নামিতে চায় না। আন্যান্য স্ত্রীলোকেরা দাঁড়াগোপান দিয়া মঙ্গলাচরণ করিতে লাগিল। বাবুরাম বাবু মায়াতে মুগ্ধ হওয়াতে অনেকক্ষণ কথা কহিতে পারিলেন না। মতিলাল মনে২ কহিতে লাগিল নৌকা ডুবি হওয়াতে বাঁচলুম—তা না হলে মায়ের কাছে মুখ খেতে খেতে প্রাণ যাইত।
বাহির বাটীতে স্বস্ত্যয়নি ব্রাহ্মণেরা কর্ত্তাকে দেখিয়া আশীর্ব্বাদ করণানন্তর বলিলেন, “নচ দৈবাৎ পরং বলং” দৈব বল অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বল নাই— মহাশয় একে পুণ্যবান তাতে যে দৈব করা গিয়াছে আপনার কি বিপদ হইতে পারে? যদ্যপি তা হইল তবে আমরা অব্রাহ্মণ। এ কথায় ঠকচাচা চিড়্বিড়াইয়া উঠিয়া বলিলেন— যদি এনাদের কেরদানিতে সব আফদ দফা হল তবে কি মোর মেহনৎ ফেল্তো, মুই তো তস্বি পড়েছি? অমনি ব্রাহ্মণেরা নরম হইয়া সামঞ্জস্য করিয়া বল্তে লাগিলেন— ওহে যেমন শ্রীকৃষ্ণ অর্জ্জুনের সারথি ছিলেন তেমনি তুমি কর্ত্তা বাবুর সারথি— তোমার বুদ্ধিবলেই তো সব হইয়াছে— তুমি অবতার বিশেষ, যেখানে তুমি আছ— যেখানে আমরা আছি— সেখানে দায়-দফা ছুটে পালায়। বাঞ্ছারাম বাবু মণি হারা ফণী হইয়া ছিলেন— বাবুরাম বাবুকে দেখাইবার জন্য পান্সে চক্ষে একটু২ মায়া কান্না কাঁদিতে লাগিলেন। তখন তাঁহার দশ হাত ছাতি হইয়াছে—এবং দৃঢ় বিশ্বাস হইয়াছে যে চার ফেলিলেই মাছ পড়িবে। তিনি ব্রাহ্মণদিগের কথা শুনিয়া তেড়ে আসিয়া ডান হাত নেড়ে বল্তে লাগিলেন— এ কি ছেলের হাতের পিটে? যদি কর্ত্তার আপদ হবে তবে আমি কলিকাতায় কি ঘাস কাটি?