উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র/কবিতা ও গান/সুখের চাকুরী
(পৃ. ৭৮৭-৭৮৮)
সুখের চাকুরী
মনিব মিলেছে মোর মনের মতন
বছর তিনের সে যে রমণী রতন।
ননীর শরীরে তার লাঠিমের লীলা;
বদনে চাঁদের আলো, কণ্ঠে কোকিলা।
সে যে হাসে খল-খল,
সে যে নাচে থৈ-থৈ,
তার চোখে ছোটে বিজলী,
তার মুখে ফোটে খই।
জবর জুটিল সে যে, নোকরী নূতন,
বেতনের নাহি নাম, না মিলে ভোজন।
উপরী আছে চুমু, চলে শুধু তায়,
কৃপণার ধন তাও, না হয় আদায়।
সে যে দাড়ি দেখে চটে,
সে যে থাকে চোখ বুজে,
পড়ে শয্যায় লজ্জায়
মুখখানি গুঁজে।
কি করিতে হয় মোর, চাহ সে খবর?
সে বড় মাথার কাজ, ভার গুরুতর।
সুর-অসুরের তাল-বেতালের খেলা
যে খেলেছে, সেই জানে তার ঠেলা।
আমি নাচি ধিন-ধিন, আমি গাই তান ধরে,
সে যে শোনে সুখে বসি মোর শিরোপরে!