উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র/ছেলেদের মহাভারত/আশ্রমবাসিকপর্ব

আশ্রমবাসিকপর্ব

 জা হইয়া যুধিষ্ঠির ধৃতরাষ্ট্র এবং গান্ধারীর সহিত এমন মিষ্ট ব্যবহার করিতে লাগিলেন যে তাহাতে তাঁহারা তাঁহাদের সকল দুঃখ ভুলিয়া গেলেন। দুর্যোধনের কথা মনে করিয়া এখন যুধিষ্ঠিরের উপরে তাঁহাদের রাগ হওয়া দূরে থাকুক, বরং যুধিষ্ঠিরের গুণের কথা ভাবিয়া দুর্যোধনকেই অতিশয় দুষ্ট লোক বলিয়া বোধ হইতে লাগিল।

 যুধিষ্ঠির ইঁহাদের সহিত যেরূপ ব্যবহার করিতেন, অর্জুন, নকুল, সহদেব, কুন্তী, দ্রৌপদী প্রভৃতিও সেইরূপই ব্যবহার করিতেন। বাস্তবিক ইঁহাদেব নিকট ধৃতরাষ্ট্র আর গান্ধারী যেমন ভক্তি ও ভালবাসা পাইতে লাগিলেন, নিজ পুত্রগণের নিকটও তাহা পান নাই।

 পনেরো বৎসর এইরূপে কাটিয়া গেল। ধৃতরাষ্ট্র পাণ্ডবদিগকে পূর্বে যে মন্ত্রণা দিয়াছিলেন, তাঁহার দুঃখের কথা ভাবিয়া ক্রমে আর সকলেই তাহা ভুলিয়া গেলেন; কিন্তু ভীম তাহা কিছুতেই ভুলিতে পারিলেন না। এজন্য অন্য সকলের ন্যায় ধৃতরাষ্ট্রকে সম্মান এবং ভালোবাসা দানে তিনি অক্ষম হইলেন।

 ভীমের এই ভাব ক্রমেই বাড়িতে লাগিল। শেষে এমন হইল যে, তিনি গোপনে ধৃতরাষ্ট্রের অসম্মান করিতেও ত্রুটি করেন না। ইহাতে ধৃতরাষ্ট্রের কিরূপ কষ্টের কারণ হইল, তাহা বুঝিতেই পার।

 এই সময়ে ভীম একদিন, যুধিষ্ঠির, অর্জুন প্রভৃতির অসাক্ষাতে ধৃতরাষ্ট্র এবং গান্ধারীকে শুনাইয়া, নিজ বন্ধুগণের নিকট বলিতেছিলেন, “আমি আমার এই চন্দন মাখা দুখানি হাত দিয়াই ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রদিগকে বধ করিয়াছি৷”

 একথা শুনিয়া গান্ধারী চুপ করিয়া রহিলেন। কিন্তু ধৃতরাষ্ট্র ইহা সহ্য করিতে না পারিয়া, তখনি নিজের বন্ধুদিগকে ডাকাইয়া কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলেন, “হে বন্ধুগণ! আমিই যে এই কুরুবংশ নাশের মূল, তাই তোমরা জান। সকলে যখন আমাকে হিতবাক্য বলিয়াছিল, তখন আমি তাই শুনি নাই এতদিনে সেই পাপের দণ্ড গ্রহণ করিতেছি। এখন আমি আর গান্ধারী প্রতিদিন মৃগচর্ম পরিধান, মাদুরে শয়ন এবং দিনান্তে যৎকিঞ্চিৎ ভোজনপূর্বক ভগবানের নাম লইয়া দিন কাটাই। একথা জানিলে যুধিষ্ঠিরের অতিশয় ক্লেশ হইবে বলিয়া, কাহারো নিকট ইহা প্রকাশ করি নাই।”

 তারপর তিনি যুধিষ্ঠিরকে বলিলেন, “বাবা যুধিষ্ঠির, তোমার মঙ্গল হউক। তোমার যত্নে এতদিন পরম সুখে কাল কাটাইলাম, এখন আমাদিগের পরকালের পথ দেখিবার সময় উপস্থিত। সুতরাং অনুমতি দাও, আমি আর গান্ধারী বনে গিয়া তপস্যা করি।”

 এ কথায় যুধিষ্ঠির নিতান্ত দুঃখিত হইয়া বলিলেন, “জ্যাঠামহাশয়। আমার তুল্য নরাধম আর কেহ নাই। আপনি অনাহারে ভূমিশয্যায় এত কষ্টে কাল কাটাইয়াছেন, আর আমি আপনার সংবাদ না লইয়া নিশ্চিন্ত রহিয়াছি। আপনি যদি কষ্ট পান, তবে আমার সুখের কি প্রয়োজন? দুর্যোধন আপনার যেরূপ পুত্র ছিল, আমাদিগকেও সেইরূপ মনে করিবেন। আপনি বনে গেলে, এই রাজ্য লইয়া আমি কিছুমাত্র সুখ পাই না। আপনি আমাদিগের দিকে চাহিয়া মনকে শান্ত করুন, আমরা আপনার সেবা করিয়া কৃতার্থ হই।”

 ধৃতরাষ্ট্র বলিলেন, “বাবা! বৃদ্ধকালে বনে গিয়া তপস্যা করাই আমাদের কুলের ধর্ম। সুতরাং আমার তাহা করিতে বড়ই ইচ্ছা হইতেছে, তুমি ইহাতে আমাকে নিষেধ করিও না।”

 অনাহারে ধৃতরাষ্ট্রের শরীর এতই দুর্বল হইয়াছিল যে, তিনি এইটুকু বলিতে বলিতে অজ্ঞান হইয়া পড়িয়া গেলেন। তাহাতে যুধিষ্ঠিরের অতিশয় দুঃখ হইল বটে, কিন্তু তিনি বহু চেষ্টা, বিস্তর মিনতি করিয়াও ধৃতরাষ্ট্রের মত ফিরাইতে পারিলেন না। ইহার উপরে আবার ব্যাসদেব আসিয়া তাঁহাকে ধৃতরাষ্ট্রের কথায় সম্মত হইতে বলিলে, কাজেই শেষে তাঁহাকে তাহাই করিতে হইল! তখন ধৃতরাষ্ট্র বিনয়বচনে প্রজাদিগের নিকট বিদায় লইয়া, মৃত পুত্র এবং আত্মীয়গণের কল্যাণার্থ অনেক ধন দানপূর্বক বনগমনে উদ্যত হইলেন।

 কার্তিক মাসের পূর্ণিমার দিন, বল্কল এবং মৃগচর্ম পরিধানপূর্বক, ধৃতরাষ্ট্র এবং গান্ধারী, বিদুর এবং সঞ্জয়কে লইয়া গৃহের বাহির হইলে, স্ত্রী পুরুষ সকলে কঁদিতে কাঁদিতে তাঁহাদের সঙ্গে চলিল। কুন্তী এবং গান্ধারীর কাধে ভর দিয়া ধৃতরাষ্ট্র আগে আগে যাইতে লাগিলেন। তাঁহাদের পশ্চাতে যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেব, দ্রৌপদী, সুভদ্রা, উত্তরা প্রভৃতি সকলেই চলিলেন। সকলেরই চোখে জল, কাহারো মন স্থির রাখিবাব শক্তি নাই।

 নগরের বাহিরে আসিয়া ধৃতরাষ্ট্র সকলকে বলিলেন, “এখন তোমরা ঘরে ফিরিয়া যাও।” এ কথায় আর অন্য সকলেই নিরস্ত হইল, কিন্তু বিদুর, সঞ্জয়, এবং কুন্তী আর ঘরে ফিরিলেন না।

 কুন্তীকে বনে যাইতে দেখিয়া পাণ্ডবদিগের যে কি দুঃখ হইল, আমার কি সাধ্য যে তাহা লিখিয়া জানাই। তাঁহারা অতি কাতরস্বরে সাশ্রুনয়নে কত মিনতি করিলেন, কিন্তু কিছুতেই তাঁহাকে ফিরাইতে পারিলেন না। তখন অগত্যা তাঁহার নিকট বিদায় লইয়া সকলকে হস্তিনায় আসিতে হইল।

 এদিকে ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী, কুন্তী, বিদুর আর সঞ্জয় অনেক পথ চলিয়া গঙ্গাতীরে এবং তথা হইতে কুরুক্ষেত্রে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সেখানে অনেক তপস্বীর আশ্রম ছিল। সেইসকল আশ্রমের নিকটে থাকিয়া তাঁহারা বল্কল ও মৃগচর্ম ধারণপূর্বক কঠোর তপস্যায় রত হইলেন। এইরূপে কিছুদিন গেল।

 পাণ্ডবেরা ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী এবং কুন্তীকে বিদায় দিলেন বটে, কিন্তু তাঁহারা চলিয়া গেলে পর, আর কিছুতেই স্থির হইতে পারিলেন না। এমনকি, ইঁহাদের শোকে যুধিষ্ঠিরের রাজকার্য করাই অসম্ভব হইয়া উঠিল। সুতরাং একদিন তিনি সকলকে লইয়া ধৃতরাষ্ট্র প্রভৃতি দেখিবার জন্য বনে যাত্রা করিলেন।

 ধৃতরাষ্ট্রের আশ্রমের কাছে আসিয়া, তাঁহারা তপস্বীগণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমাদের জ্যাঠামহাশয় কোথায়?” তপস্বীরা বলিলেন, “তিনি যমুনায় স্নান করিতে গিয়াছে। আপনারা এই পথে যান।”

 সেই পথে খানিক দূরে গিয়াই তাঁহারা দেখিতে পাইলেন যে, ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী, কুন্তী আর সঞ্জয় স্নানান্তে কলসী হাতে আশ্রমে ফিরিতেছেন। সহদেব কুন্তীকে দেখিয়া উচ্চৈঃস্বরে কাঁদিতে লাগিলেন, অন্য সকলেরও চক্ষে জল আসিল। তখন তাঁহারা দ্রুতপদে গিয়া, ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী এবং কুন্তীকে প্রণামপূর্বক, তাঁহাদের হাত হইতে কলসী গ্রহণ করিলেন।

 তারপর তাঁহারা ধৃতরাষ্ট্রের আশ্রমে আসিয়া তাঁহাকে ঘেরিয়া বসিলে সেই সময়ের জন্য তাঁহাদের মনের সকল দুঃখ দূর হইয়া গেল। তখন ধৃতরাষ্ট্রের বোধ হইতে লাগিল, তিনি হস্তিনাতেই রহিয়াছেন। আশ্রমে ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী, কুন্তী আর সঞ্জয় মাত্রই আছে, কিন্তু বিদুর কোথায়? বিদুরকে দেখিতে না পাইয়া, যুধিষ্ঠির ব্যাকুলচিত্তে ধৃতরাষ্ট্রকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “জ্যাঠামহাশয়! বিদুর কাকা কোথায়?”

 ধৃতরাষ্ট্র বলিলেন, “আহার ত্যাগপূর্বক ঘোরতর তপস্যা আরম্ভ করিয়াছেন। তপস্বীরা বনে মাঝে মাঝে তাঁহাকে দেখিতে পান।”

 এমন সময় সেই আশ্রমের নিকটেই বিদুরকে দেখিতে পাওয়া গেল। তাঁহার মস্তক জটাকুল, শরীর কর্দমাক্ত, অস্থিচর্ম সার এবং পরিচ্ছদ বিহীন। একটিবার মাত্র তিনি আশ্রমের দিকে তাকাইয়াই, আবার প্রস্থান করিলেন। যুধিষ্ঠিরও তৎক্ষণাৎ তাঁহার পশ্চাতে বনের দিকে ছুটিতে ছুটতে বলিতে লাগিলেন, “কাকা! আমি যে আপনার যুধিষ্ঠির, আপনার সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছি।”

 তখন সেই বিজন বনে বিদুর একটি গাছ ধরিয়া দাঁড়াইলে, যুধিষ্ঠির তাঁহার নিকট উপস্থিত হইয়া আবার বলিলেন, “আমি আপনার যুধিষ্ঠির, আপনার সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছি।”

 এই বলিয়া যুধিষ্ঠির তাঁহার সম্মুখে দাঁড়াইবামাত্র, সেই মহাপুরুষের আত্মা তাঁহার দেহ ছাড়িয়া যুধিষ্ঠিরের দেহে আসিয়া প্রবেশ করিল। তাঁহার দেহটি তেমনিভাবে গাছ ধরিয়া দাঁড়াইয়া রহিল, কিন্তু যুধিষ্ঠিরের বোধ হইল যেন তাঁহার বল দ্বিগুণ বাড়িয়া গিয়াছে! অমনি দৈববাণী হইল, “মহারাজ! তুমি ইঁহার দেহ দাহ করিও না। ইঁহার জন্য শোকও করিও না, কেননা ইনি স্বর্গে আসিয়া অতি উচ্চ সম্মান লাভ করিবেন।”

 তখন যুধিষ্ঠির আশ্রমে ফিরিয়া এই আশ্চর্য ঘটনার কথা সকলকে বলিলেন। বিদুর যে কে, তাহা পরদিন ব্যাসদেব সেখানে আসিলে তাঁহার নিকট জানা গেল। মাণ্ডব্য মুনির শাপে ধর্মকে মানুষ হইয়া জন্মগ্রহণ করিতে হয়, তিনি ছিলেন বিদুর।

 সেইসময়ে ব্যাসদেব, ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী প্রভৃতির মনে সান্ত্বনা দিবার নিমিত্ত, অতি আশ্চর্য কাজ করিয়াছিলেন। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে যত বীর মারা গিয়াছিলেন, সকলে ব্যাসের ডাকে, পরলোক হইতে ধৃতরাষ্ট্রের নিকট আসিয়া উপস্থিত হন। ইহাতে তখন সেই আশ্রমে কি আনন্দের ব্যাপার যে হইয়াছিল, তাহ কি বলিব। ব্যাসের বরে সে সময়ের জন্য ধৃতরাষ্ট্রের চক্ষুও ভালো হইয়া গেল। সুতরাং তিনিও পুত্রগণকে প্রাণ ভরিয়া দেখিয়া লইলেন।  এক মাস কাল ধৃতরাষ্ট্রের আশ্রমে থাকিয়া, যুধিষ্ঠির প্রভৃতিরা হস্তিনায় ফিরিয়া আসেন। তারপর দুই বৎসর চলিয়া গেলে, একদিন দেবর্ষি নারদ যুধিষ্ঠিরের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলেন। নারদ ধৃতরাষ্ট্রের আশ্রম দেখিয়া আসিয়াছেন, এ কথা জানিতে পারিয়া, যুধিষ্ঠির তাঁহাকে বলিলেন, “ভগবন্! যদি জ্যাঠামহাশয়, জ্যেঠিমা, মা এবং সঞ্জয়ের কোনো সংবাদ পাইয়া থাকেন, তবে দয়া করিয়া তাহা বলুন।”

 নারদ বলিলেন, “তোমরা তপোবন হইতে চলিয়া আসিলে, ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী, কুন্তী আর সঞ্জয় অতি কঠোর তপস্যা আরম্ভ করেন। সে সময়ে ধৃতরাষ্ট্র আর গান্ধারী জল ভিন্ন আর কিছুই খাইতেন না, কুন্তী মাসে একবার আহার করিতেন, সঞ্জয় পাঁচদিনে একবার আহার করিতেন।

 একদিন ধৃতরাষ্ট্র আর গান্ধারী কুন্তীব সঙ্গে বনের দিকে যাত্রা করেন। তাঁহারা ফিরিয়া আসিবার সময় ভীষণ দাবানল জ্বলিয়া উঠিল। অনাহারে নিতান্ত দুর্বল থাকায় সে আগুন হইতে কোনোমতেই তাঁহাদের পলায়নের শক্তি হইল না। তখন ধৃতরাষ্ট্র সঞ্জয়কে বলিলেন, সঞ্জয়! তুমি শীঘ্র এখান হইতে পলায়ন করিয়া প্রাণরক্ষা কর। আমরা এই অগ্নিতেই দেহত্যাগ করিয়া স্বর্গে যাইব।

 এই বলিয়া ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী এবং কুন্তী, পূর্বমুখে ভগবানের ধ্যান আরম্ভ করিলে, দেখিতে দেখিতে তাঁহাদের দেহ ভস্ম হইয়া গেল।

 সঞ্জয় অনেক কষ্টে সেই অগ্নি হইতে রক্ষা পাইয়া, তাপসগণের নিকট এই সংবাদ প্রদানকালে আমি তথায় উপস্থিত ছিলাম। তপস্বীদিগকে এই সংবাদ দিয়া, সঞ্জয় হিমাচলে চলিয়া গিয়াছে। তারপর আমি, তোমাদিগকে এই সংবাদ দিবার জন্য এখানে আসিয়াছি। আসিবার সময় আমি ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী আর কুন্তীর শরীর দেখিয়া আসিয়াছি। তাঁহারা ইচ্ছাপূর্বকই অগ্নিতে প্রাণ বিসর্জন করায় তাহাদের স্বর্গলাভ হইবে। অতএব তাঁহাদের জন্য তোমাদের শোক করা উচিত নহে।”

 হায়, কি কষ্টের কথা! যুধিষ্ঠির এই দারুণ সংবাদে মাথায় হাত দিয়া কাঁদিতে লাগিলেন, হস্তিনায় হাহাকার উঠিল। পাণ্ডবদিগের মনে হইল যে, ‘গুরুজনেরা যখন এইরূপে পুড়িয়া মরিলেন, তখন আমাদের রাজ্য, ধর্ম বীরত্ব সকলই বৃথা।’

 নারদ উপদেশ দ্বারা তাঁহাদিগকে শান্ত করিলে, সকলে গঙ্গাতীরে গিয়া ধৃতরাষ্ট্র, গান্ধারী আর কুন্তীর তর্পণ ও শ্রাদ্ধাদি শেষ করিলেন। বনবাসে ধৃতরাষ্ট্র, কুন্তী আর গান্ধারীর তিন বৎসর কাটিয়াছিল।

(ছবি)

উপেন্দ্র—৪৩