কথামালা (১৮৭৭)/মাছি ও মধুর কলসী
(পৃ. ১৯)
মাছি ও মধুর কলসী
এক দোকানে মধুর কলসী উলটিয়া পড়িয়াছিল। তাহাতে চারি দিকে মধু ছড়াইয়া যায়। মধুর গন্ধ পাইয়া, ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি আসিয়া সেই মধু খাইতে লাগিল। যত ক্ষণ এক ফোঁটা মধু পড়িয়া রহিল, তাহারা ঐ স্থান হইতে নড়িল না। অধিক ক্ষণ তথায় থাকাতে, ক্রমে ক্রমে সমুদয় মাছির পা মধুতে জড়াইয়া গেল, মাছি সকল আর কোনও মতে উড়িতে পারিল না; এবং আর যে উড়িয়া যাইতে পারিবেক, তাহারও প্রত্যাশা রহিল না। তখন তাহারা, আপনাদিগকে ধিক্কার দিয়া, আক্ষেপ করিয়া কহিতে লাগিল, আমরা কি নির্বোধ, ক্ষণিক সুখের জন্যে প্রাণ হারাইলাম।