কবিতাসংগ্রহ/তুমি সেই পীড়িত কুসুম/তোমার ঐ বিদায়ী হাত
তোমার ঐ বিদায়ী হাত
আজ টেলিফোন বেজে উঠেছে আবার, বার-বার শুধু
নড়ে উঠছে রুমালসুদ্ধ তোমার ঐ বিদায়ী হাত
কম্বলের গভীরতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে দুটি
আলিঙ্গনাবদ্ধ নরনারী, তুমি
ঘনঘন রুমাল ওড়াচ্ছ, ঘনঘন টেলিফোন বেজে
উঠছে, শালিকের পালক থেকে
খসে পড়ছে রহস্যময় মেঘের প্রতিভা, তোমার
ঘরের প্রতিটি বারান্দায় ছিল
সপ্রতিভ ফেন্সিং, ঐখানে অপরাজিতা ফুল দিয়ে
তুমি তৈরি করেছিলে তোমার কর্ণাভরণ, সেই থেকে
রক্তের ভেতরে টের পাচ্ছি।
অধিদৈব ছায়া, কে যেন ফিসফিস করে বলছে:
ওঠো হে, অনেক তো গুঞ্জরন হলো
ভোরবেলাই বেরিয়ে পড়ো, নইলে
এক পা যেতে না যেতেই তো ঠা-ঠা রোদ,
পুলিশ, স্পিডব্রেকার.....
অনেকক্ষণ হাত পেতে বসে রয়েছিলে, এ তোমার কর্ম নয়,
তোমাকে সুপুরিগাছের থেকে নেমে আসতে হবে
সরাসরি
গোযান-লণ্ঠনে, দ্যাখো, আজ শালিকের পালক থেকে
খসে পড়ছে রহস্যময় মেঘের প্রতিভা,
টেলিফোন বেজে উঠেছে মুহুর্মুহু, বার-বার
নড়ে উঠছে শুধু রুমালসুদ্ধ তোমার ঐ বিদায়ী হাত