কবিতা/হতাশের স্বপ্ন
১
নিঝুম পরাণ ভেঙ্গে ভেঙ্গে যেন
এই ঘোরা রেতে।
কে বাঁশী বাজায় পরাণ যে যায়
পারি না যে শুতে॥
ওকি প্রহেলিকা আই যায় দেখা
কোথায় রে আমি।
আই না আমার প্রিয় বাসনার
সে জনমভূমি॥
২
দীরঘ তমাল তরুবর দুটী
দু’ ধারেতে থুয়ে।
ভরা কাল জলে স্বচ্ছ সরোবর
সমুখেতে লয়ে॥
মাধবী লতায় গড়া মনোহর
অই না আমার।
প্রিয় বাসনার আশার কানন
প্রবেশের দ্বার॥
প্রিয় বাসনায় আলো করে যেন
কানন সে চারু।
প্রিয় বাসনায় আলো করে যেন
সুখের সে তরু।
মাধুরী মোহনে মধুর সুরভি
হৃদয়েতে লই।
কত ভাবে যেন কত জাতি ফুল
অই না সে অই
ফুলের রাশিতে চাঁদের হাসিতে
আই না আমার।—
কোকিলার তানে ভ্রমরার গানে
প্রিয় বাসনার—
স্বভাবে গঠন প্রিয় দরশন
অতি অপরূপ—
নিভৃত নিলয় শান্তির কুটীর
লতিকা মণ্ডপ।
৫
বিরলে বসিয়া বনদেবী যেন
ফুলের মেলায়
বাসনা বিকাশে কেবা বামা অই
কিসের খেলায়?
এলো মেলো বেশে আলু থালু কেশে
সমুখেতে তার
কাহার গলায় যতনে পরায়
অই ফুলহার।
৬
চিনেছি চিনেছি এ ভাব হৃদয়ে
কোথায় যে থুই
পাগল যে হ’নু পরাণ যে গেল
হাসি কিবা রোই
হারাইয়া যায় প্রাণের জ্বালায়
নিশি দিন কেঁদে
প্রবাসে রয়েছি নিদারুণ দুঃখে
এ দারুণ খেদে
৭
সে যে রে আমার মূরতি গঠিয়া
সমুখেতে রেখে
উদাস নয়নে পাগলিনী যেন
আমাকে নিরখে
আমার রে ধ্যানে আমার রে জ্ঞানে
তনময় হই
প্রণয়ের ভরে দিয়া ফুল হার
পূজিতেছে অই।