কাহাকে?/তৃতীয় পরিচ্ছেদ
তৃতীয় পরিচ্ছেদ।
মেশ মেরাইজ করিলে কিরূপ অবস্থা হয় তাহা আমি বেশ বুঝিতে পারি। আমি যেন সেই রূপ মন্ত্রপূত হইয়া পড়িতাম। তিনি যখন আমাদের বাড়ী আদিতেন, তাঁহাকে যখন প্রথম দেখিতাম, তখন আমার বেশ সহজ অবস্থা, অন্তত একজন সাধারণ আলাপীর সহিত দেখা শুনা কথাবার্ত্তায় যতটুকু আনন্দ, তাঁহার সহিত দেখা সাক্ষাতেও তদপেক্ষা অধিক কিছুই নহে। কিন্তু গানটি গাহিলেই সমস্ত বিপর্য্যয় হইয়া পড়িত; অল্প সময়ে এমন কতবার পণ করিয়াছি—সে গান আর শোনা হইবে না, তাঁহাকে আর গাহিতে বলিব না, কিন্তু সময় কালে সে সঙ্কল্প কিছুতেই বাঁধিয়া রাখিতে পারিতাম না, শুষ্ক পত্রের মত যেন আপন হইতে টুটিয়া খসিয়া পড়িত। গানটির কি যে মোহ ছিল জানি না, শুনিতে শুনিতে বাল্যের স্মৃতিধারা পূর্ণপ্রবাহে উথলিয়া কুমারী-হৃদয়ের সুপ্ত অতৃপ্ত প্রেমাকাঙখাকে স্ফীত উচ্ছসিত করিয়া তুলিত। সঙ্গীতধ্বনি সুরে তানে উঠিয়া গড়িয়া যতই মধুরতা বর্ষণ করিত—ততই সে আকাঙখা তীব্র আকুলতর হইয়া প্রবল দ্রুতোচ্ছাসে তাহার চির-পরিচিত অথচ চিরনূতন কে জানে কোন অজানা প্রেমময় সাগর-দেবতার অন্বেষণে ধাবিত হইত,—তাহাতে আত্ম-বিলীন করিতে চাহিত। এই সুমধুর সুকোমল তীব্র অতৃপ্তির আতিশধ্যে ক্রমশ: যেন আপন হারাইয়া ফেলিতাম; সেই অপরিচিত মধুর গীত-সন্তাষণে মুগ্ধ স্মৃতিদ্বার উদঘাটিত করিয়া গায়ক ক্রমে আমার মনে নয়নে পরিচিত প্রিয়জনের মূর্ত্তিতে বিভাসিত হইয়া উঠিতেন; নূতনে পুরাতনে, অতীতে বর্ত্তমানে, স্মৃতি বাসনায় তখন একাকার হইয়া পড়িত—আমি জাগিয়া যেন স্বপ্ন-রাজ্যে বিচরণ করিতাম।
তিনি চলিয়া যাইবার পরেও সমস্ত রাত্রি ধরিয়া কেমন মেঘাচ্ছন্ন থাকিতাম,—স্বপ্নে জাগরণে ঐ একইরূপ ভাব আমাকে অভিভূত করিয়া রাখিত; পরদিন নিদ্রা ভঙ্গের পর হইতে সে ভাব অল্পে অল্পে দূর হইয়া যাইত। তিন চারি দিন পরে, কখনও সপ্তাহ পরে আবার তিনি যখন আসিতেন, তখন আমি সম্পূর্ণ প্রকৃতিস্থ-তখন আর সে ভাবের চিহ্ণমাত্র নাই; তখন তাই তাঁহাকে দেখিলে পূর্ব্ব ভাবের স্মৃতিতে এমন লজ্জাবোধ হইত! কিন্তু আবার গান আরম্ভ করিলেই যেকে সেহ! এ কি অপরূপ রহস্য জানি না; সুর্য্যের উদয়াস্তে পৃথিবী যেমন দ্বিমূর্ত্তি ধারণ উক্ত ভাবের উদয়াস্তে আমিও সেইরূপ দুই আমি হইয়া পড়িতাম।
ক্রমশঃ আমার এই মন্ত্রপূত ভাব স্থায়ী অবস্থা প্রাপ্ত হইতে লাগিল; অর্থাৎ সময়ে অসময়ে সকল সময়েই আমার তাঁহাকে আত্মীয় বলিয়া মনে হইতে লাগিল। এরূপ হইবার নূতন কারণ ঘটিল এই; চারিদিক হইতেই আমি শুনিতে লাগিলাম, বুঝিতে লাগিলাম তিনি আমার স্বামী হইবেন; কোন রঙ্গবালার মনে এই বিশ্বাসের কিরূপ প্রবল প্রভাব তাহা বিশেষ করিয়া বলিবার আবশ্যক আছে কি? স্বামী যেমনই হোন, তিনি রমণীর এক মাত্র পূজ্য আরাধা দেবতা, প্রাণের প্রিয়তম, জীবনের সর্ব্বস্ব-—এই বাক্য, এই ভাব, এই সংস্কার আজন্মকাল হইতে আমাদের মনে বদ্ধমূল হইয়া বধিতেছে, সুতরাং বিশেষ কারণে স্পষ্ট বীতরাগ না থাকিলে এই বিশ্বাসই প্রেমাঙ্কুরিত করিবার যথেষ্ট কারণ।
কিছুদিন হইতে আমরা যেখানে যাই কেবল ঐ কথা, যিনি আসেন কেবল ঐ কথা। . বয়স্যরা ঠাট্টাচ্ছলে আমার কাছে গোপনে ঐ প্রসঙ্গ তোলেন, বয়োজেষ্ঠারা গম্ভীরভাবে দিদির কাছে আমার সাক্ষাতেই প্রকাশ্যে ঐ আলোচনা করেন, আর দিদি ভগিনীপতি ত সুবিধা পাইলে যখন তখন ঐ কথা তুলিয়া কখনো ঠাট্টা করিয়া, কথনে গম্ভীরভাবে আমার ভবিষ্যৎ, সৌভাগা-কল্পনায় আনন্দ প্রকাশ করেন। এ কল্পনা যে কখনো সত্যে পরিণত না হইয়া কল্পনাতেই অবলিত হইতে পারে, এ কথা কিন্তু কখনো তাঁহাদের মনে উদয় হয় না। কেনই বা হইবে? যাঁহাকে লইয়া এত কথা, এত আলোচনা, তিনি দিন দিন এই বিশ্বাস আমাদের মনে গভীররূপে বদ্ধমূল করিতেছেন, তাহার যাতায়াতও বাড়িতেছে, এবং কথাচ্ছলে ভাবে ভঙ্গীতে তাঁহার অনুরাগও দিন দিন স্পষ্টতর হইয়া উঠিতেছে, এখনো যে কেবল সুস্পষ্ট বাক্যে তিনি বিবাহ-প্রস্তাব করিতেছেন না, সে যেন শুধু আমাদের মনোগত প্রভিপ্রায় আরো স্পষ্টরূপে বুঝিবার অপেক্ষায়।
রমণী-হৃদয়ে প্রীতিতে যেমন প্রীতিরুদ্রেক করে, এমন কি অন্য কোন গুণে? যদি হৃদয় অন্যপূর্ব্ব না থাকে বা কোন কারণে কেহ নিতান্ত বিদ্বেষভাজন না হয়—তাহা হইলে সে আমাকে প্রাণপণে ভালবাসে—এইরূপ বিশ্বাসস্থলে যদি প্রকৃত প্রেমদিবারও ক্ষমতা না থাকে, অন্ততঃ গভীর করুণাও তাঁহার স্থানাভিষিক্ত হইয়া ক্রমশঃ প্রেমমূর্ত্তি ধারণ করে। আত্মদানে অন্যকে সুখী করিব-নারীপ্রকৃতির এই যে সর্ব্বগ্রাসী আকাঙখা, ইচ্ছা, প্রবণতা,—নারীপ্রেমের শিরায় মজ্জায় যে আকাঙ্ক্ষা শোণিতাকারে প্রবাহিত বর্ত্তমান; তাহার সফলতাতেই, তাহার বিশ্বাসেই রমণীহৃদয় পরিপূর্ণ, বিকশিত, জীবনজন্ম সার্থক চরিতার্থ; আবার এই বিশ্বাসেই সে ভ্রান্ত, কলঙ্কিত, মহাপাপী। প্রেমময়ী রমণী ইহার জন্য কতদূর আত্মত্যাগ না করিতেছে; আর কতদূর না করিতে পারে?
তাঁহার প্রীতিময় ব্যবহারে, রূপেগুণে আমার নয়নে তিনি সর্ব্বসুন্দর হইয়া উঠিলেন; আপনাকে এই সর্ব্বগুণধর সুপুরুষের সুখের কারণ ভাবিয়া আমি অতি উপাদেয় গর্ব্বময় আত্মপ্রসাদ উপভোগ করিতে লাগিলাম। বেশীদিন এরূপে দিন কাটিল না,ভাবে ভঙ্গীতেই তাঁহার অনুরাগ আবদ্ধ রহিল না, একদিন তিনি স্পষ্ট করিয়া তাঁহার মনের ভাব ব্যক্ত করিলেন। সেই প্রার্থিত প্রত্যাশিত দিন আসিল-কিন্তু?
বিকাল বেলা বাগানে ফুল তুলিতেছিলাম। বৃষ্টির পর চারিদিক সুন্দর সুদৃপ্ত নবীন হইয়া উঠিয়াছে, আকাশের লাল আলো তরল মেঘের উপর, গাছপাতা ফুলের কোমলতার উপর অতি মধুর উজ্জ্বলতা বিস্তার করিয়াছে। আমি একটি গোলাপ বোঁটাশুদ্ধ ছিঁড়িতে চেষ্টা করিয়াও ছিঁড়িতে পারিতেছিলাম না, সহসা হাত বোটাতেই রহিয়া গেল, কম্পাউণ্ডে গাড়ী জুড়ি প্রবেশ করিতে দেখিয়া তাহাতেই নয়ন আকৃষ্ট, আবদ্ধ হইয়া পড়িল। তিনি গাড়ী হইতে নামিয়া আমাকে বাগানে দেখিয়া নিকটে আসিলেন, গোলাপটি ছিঁড়িয়া দিয়া বলিলেন,”কাহার জন্য ফুল তুলিতেছেন!” আমিও ফুল তুলিতে তুলিতে ভাবিতেছিলাম,—তখন ছোটুকে কেমন অসঙ্কোচে ফুল দিতাম, আর ইহাকে দিতে ইচ্ছা করিলেও কেন পারি না”! তাকহার জিজ্ঞাসায় উত্তর করিলাম— “দিদির জন্য।”
একটি সুদীর্ঘ দীর্ঘনিশ্বাস শুনিতে পাইলাম। আর একটি সুন্দর গোলাপ ছিঁড়িয়া তিনি আমার হাতে দিতে দিতে আস্তে আস্তে আওড়াইলেন—
“A lamp is lit in woman's eye
That souls, else lost on earth, remember angels by.”
তখন আমি লজ্জিতভাবে বলিলাম—“ঘরে চলুন,”। তিনি বলিলেন—“চলুন না, আপনি গেলেই যাই, মনে আছে আজ আপনি আগে যাবেন বলেছেন?”
আমরা উপরে উঠিলাম, তখনো ভগিনীপতি বাড়ী ফেরেন নাই, দিদিও এদিকে আসেন নাই, আমি চাকরকে বলিলাম— “দিদিকে খবর দাও”, বলিয়া তাহার সহিত ড্রয়িংরুমে বসিলাম। তিনি বলিলেন—“আপনি পিয়ানোর কাছে বসুন, “এমন দামিনী মধুর চাঁদিনী” এই গানটি গান্”—
আমি বলিলাম “সে রাত্রের গান কি বিকালে গাওয়া যায়?” তিনি বলিলেন-"তবে যা ইচ্ছা গান-sing sweet bird of beauty sing—জানেন ত কবিতাটী—
To me there is but one place in the world,
And that, where thou art; for wherever I be
Thy love doth seek its way into my heart,
As will a bird into her secret nest,
Then sit and sing, sweetbirdofbeauty sing.
আমি বলিলাম, “আপনি সেই গানটি গান আমার ভারী শুনতে ইচ্ছা হচ্ছে?”
তিনি এ কথার উত্তর না দিয়া বলিলেন—“সেলির একটি কবিতা আমার বড় সুন্দর লাগে, আপনি অবশ্য পড়েছেন?
We—are we not formed as notes of music are,
For one another though dissimilar,
Such difference without discord as can make,
Those sweetest sounds in which all spirits shake,
As trembling leaves in a continuous air”
আমি কোন উত্তর করিলাম না, তিনি একটু পরে আবার বলিলেন—“আগে ভাবতুম ভাল কবিতা যাকে বলা যায় more or less সে সবই ফাঁকা—মিথ্যা, তার মধ্যে সত্য কিছু নেই, কেবল বাজেকল্পনা, এখন দেখছি আমারি ভুল। আপনার কি মনে হয়?”
আমি বলিলাম,—“আমি অমন করে ভেবে দেখিনি—পড়ি ভাল লাগে শুধু এই জানি।”
তিনি বলিলেন—"কিন্তু সত্য বলে না মনে বসলে তার কি প্রকৃত রসটুকু উপভোগ করা যায়? আমি আগে নভেলে first sightএ love যেখানে পড়তুম এমন খারাপ লাগতো— কেননা তা নিতান্তই মিথ্যা, অসম্ভব বলে মনে হোত, এখন দেখচি There are more things in heaven and earth Horatio, Than are dreamt of in your philosophy.—কে জানত ঐ মিথ্যা আমার জীবনের পক্ষে একদিন পূর্ণ সত্য হয়ে দাড়াবে?”—
বলিয়া বিষাদপূর্ণ দৃষ্টিতে আমার দিকে চাহিয়া বলিলেন—
To see her is to love her,
And love but her for ever,
For nature made her what she is,
And never made another.
আরো কি স্পষ্ট ক'রে বলবার আবশ্যক আছে?
To see you is to love you
And love but you for ever—”
ভগিনীপতি এই সময় গৃহে আগায় তিনি হঠাৎ এইখানেই থামিয়া পড়িলেন।
ভগিনীপতি বলিলেন—“হালো কতক্ষণ, finishing stroke eh —Final proposal in poetry it seems, Hurrah Let me congratulate you both!
তিনি যেন একটু সলজ্জভাবে গোপ ফিরাইয়া বলিলেন—“I say you are very late in returning to day. We were whiling away our time as best we could. By the bye did you win that murder-case of yours? Have you got the poor fellow off?”
ব্যারিষ্টারদিগের নিকট তাঁহাদের মোকদ্দমা সম্বন্ধীয় গল্পের মত প্রীতিজনক গল্প আর নাই, উপরোক্ত প্রশ্নে ভগিনীপতি পূর্ব্ববর্ত্তী কথা ভুলিয়া গেলেন। ঐ প্রসঙ্গে উভয়ের কথাবার্তা চলিতে লাগিল। আমি এতক্ষণ যেন কেমন স্তম্ভিত হইয় পড়িয়াছিলাম, —একটু প্রকৃতিস্থ হইয়া ভাবিবার অবসর পাইলাম। এইত তিনি স্পষ্ট করিয়া তাঁহার মনোভাব বাক্যে প্রকাশ করিলেন,—আমি কি নিতান্তই সুখে অভিভূত হইয়া পড়িয়াছি? মনের মধ্যে মন দিয়া অন্তর পরীক্ষা করিয়া দেখিলাম,—না তাঁহা ঠিক নহে; সর্ব্ব প্রথম তাঁহাকে দেখিয় তাহার কথা বার্তা শুনিয়া যেমন হইয়াছিল, তেমনি তাহার এই অনুরাগ-বাক্যে আজও কেমন যেন সহসা সুমধুর সঙ্গীত স্বরে একটা বিষম বেসুরো স্বর কাণে বাজিল, অমৃতভাণ্ডে একবিন্দু তীব্র বিষ ক্ষেপের ন্তায় সুখের মধ্যে প্রাণ যেন কেমন আকুল হইয়া উঠিল—আশার কোণে কোণে নৈরাশোর ঘন ছায়া জমাট বাঁধিল,—মনে হইতে লাগিল যেন যাহা চাহিয়াছিলাম এ তাহা নহে-যাহ বুঝিয়াছিলাম এ তাহা নহে!
আমি ভাবিতেছি—তাঁহারা দুইজনে গল্প করিতেছেন, চাকর আসিয়া খবর দিল একজন মক্কেল আসিয়াছে, আর হাতে করিয়া একখানি ‘কার্ড’পাত্র সম্মুখে ধরিল। ভগিনীপতি তিনখানি টিকিট হাতে উঠাইয়া লইয়া বলিলেন—“ডাক্তার বোস আমাদের উপর কল করতে এসেছেন দেখছি। আচ্ছা এইখানে আসতে বল।— মণি তুমি যাও—তোমার দিদিকে ডেকে আন।”
আমি চলিয়া গেলাম, গৃহপার হইয়াই প্রায় তখনি নুতন কণ্ঠ শুনিতে পাইলাম, কৌতুহল-বশবর্ত্তী হইয়া ভাবিলাম—লোকটার চেহারাখানা কি রকম একবার দেখিয়া যাওয়া যাক। দরজার আড়ালে নিজে অদৃশ্য থাকিয়া নবাগতকে দেখিবার প্রয়াস করিলাম। আপনাকে ভাল করিয়া ঢাকিয়া তাঁহাকে দেখিবার তেমন সুবিধা হইতেছিল না—এদিকে একবার ও দিকে একবার ফেরাফেরি করিতে করিতে তাহদের কথাবার্ত্তা কাণে যাইতে লাগিল। তখন দর্শন কৌতুহলবিরহিত হইয়া শ্রবণ-কৌতূহলে বাধা পড়িলাম। ভগিনীপতি ডাক্তারকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইয়াই মুহূর্ত্তের জন্য বিদায় লইয়া মক্কেলের সহিত দেখা করিতে গেলেন। দুইজনে একাকী হইবামাত্র ডাক্তার বললেন—
“By the way, I met Miss K, just before leaving England. She seemed very anxious to know whether you had arrived safely and why you did not send her the money you had promised for her passage out to India. You know her people will have nothing to do with her since her engagement to you, so the poor girl—”
আমার সর্বাঙ্গ কাপিতে লাগিল, দেয়ালে ঠেস দিয়া আমি প্রাণপণে বলসংগ্রহ করিয়া দাঁড়াইয়া বুছিলাম।
তিনি! Nonsense, there was never any formal engagement between us, I thought that affair was over and done with long ago. Forgoodness’ sake don't bring that up before anybody here—all my friends would think I was a villian of the deepest dye.
ডাক্তার। And what else do you make yourself out to be? Do you think it is very honourable conduct to forsake a helpless girl who has trusted you implicitly Before God you are man and wife"—
ইহার পর আর কিছুই জানি না, আমি অজ্ঞান হইয়া পড়িলাম।