কিশোরদের মন/তৃতীয় পরিচ্ছেদ
সুবিনয় আর বিমলের মধ্যে এখন, মা অনেক সময় ভুলে যান, কে তাঁর ছেলে।
আর মণ্টু আর তার দিদির মধ্যে ভাব যা হয়েছে এখন তা কখনো স্বপ্নেও হয় না।
বিমল মুগুর ভাঁজত। তার শরীরটে ছিল যেন লোহার কাঠামোতে তয়েরি। দুই ভাইবোন্কে কাঁধে নিয়ে বিমল যখন তিনতলার সিঁড়ি ভেঙে ছাদে উঠ্ত, তখন তাদের সেই ঝগ্ড়ার ঘোড়াটার কথা একটুও মনে থাক্ত না!
আর মাঝে মাঝে বিমলের হাতের যেন এই ছোট্ট দুটি জীবন্ত মুগুরের আনন্দের চীৎকারে সিঁড়িঘরের হাওয়ার স্তম্ভটা চুর্ণ হয়ে যেত!
ছাদে উঠে সুবিনয় বলত,—“তু-ই জিতেছিস্ বিমল! দাদা হওয়া আমার কাজ নয়। আমি ছিলেম ওদের শুধু ছবির বইয়ের দাদা। ওরা আমাকে এখন একেবারে ভুলেছে।
ছবি, খেলা, পড়া, খাওয়া, নাওয়া, গান; তুই কি করে এত জানিস্?…—তুই একটা Hexagon.”
বিমল বল্ত,—“দাঁড়া! এখনো বাকী আছে।—
রেণু, মণ্টু, দাঁড়াও ত, এখন তোমাদের প্যারেড্ হবে।
তা’ পরে পূজোর আরতির পর মা চা পাঠিয়ে দেবেন,—বল্ এখন, Octagon বল্বি কি না?”
মণ্টু চেঁচিয়ে বল্লে—“গন্!—গন্—মানে বন্দুক!”
রেণু তাকে থামিয়ে বল্লে,—“ভারি জানিস্ কি না?—
Go মানে যাওয়া,
Gone মানে—গিয়েছিল!
—না বিমল দা?”