কিশোরদের মন/সপ্তম পরিচ্ছেদ
(পৃ. ৩৪-৩৫)
সপ্তম পরিচ্ছেদ
ঘড়ির কাঁটা তবুও সব বাড়ীতেই প্রায় ঠিক ঠিক মতই চলছে। কিন্তু সুবিনয় মাঝে মাঝে তার টাইমপীস্টাতে চাবি দিতে তবুও ভুল করে ফেলে।
বিমলের ত ঘড়ি নেই। তার কোনই বালাই নেই।
কেবল, হয়ত, বেলাই অনেক তার বেড়ে যায়।
একদিন ক্রিকেট ম্যাচে, বিমলের একটা hit হঠাৎ সুন্দর হয়ে যাওয়াতে, সুবিনয় “Gr-a-nd” বলতে গিয়েও,—নিজের মুখ রুমাল দিয়ে চেপে ধরে’—চলে এল।
আর বিমল একদিন নদীর ঘাটে স্নান কর্তে গিয়ে, এক ঘণ্টা ধরে’ ভিজে কাপড়ে কোর্টের কাছে একটা বটগাছের নীচে দাঁড়িয়েছিল,—সুবিনয়ের বাবার গাড়ীখানা আসে কিনা দেখ্তে। সেই গাড়ীতে অনেক সময় মণ্টুরা বাবার সঙ্গে কোর্টে এসে আবার চাপরাসীর সঙ্গে ফিরে যায়।
কিন্তু সেদিন গাড়ী মোটেই এল না।
এর পরে মায়ের অসুখের চিঠি পেয়ে, বিমল বাড়ী চলে গিয়েছে।