কুমার সম্ভব/চতুর্থ সর্গ
চতুর্থ সর্গ।
এদিকে কামকান্তা রতি মোহে অভিভূত হইয়া নিম্পন্দভাবে এতক্ষণ অবস্থিত ছিলেন, এখন তাঁহার চৈতন্য হইল, কারণ বিধাতার মনে মনে ছিল যে নূতন বিধবা হইবার দুঃসহ যন্ত্রণ তাঁহাকে ভোগ করাইবেন॥ ১॥
মুর্চ্ছার অবসানে যখন তাঁহার দুই চক্ষু উল্মীলিত হইল, তখন তিনি সেই দুই চক্ষে মনোযোগ অপর্ণ করিলেন, তিনি জানিতেন না যে, যে প্রিয় বস্তুকে দর্শন করিয়া সেই দুই চক্ষুর আশ মিটিত না, তাঁহার দর্শন তাহারা আর পাইবে ন॥ ২॥
প্রাণনাথ! তুমি কি বাঁচিয়া আছ, এই কথা বলিয়া রতি যখন গাত্রোত্থান করিলেন, তখন তিনি দেখিলেন যে তাঁহার সম্মুখে ভূমিতলে পুরুষের আকার বিশিষ্ট কেবল এক রাশি ভস্ম মহাদেবের ক্রোধানলের অবশেষ স্বরূপ পড়িয়া আছে॥ ৩॥
তদ্দর্শনে তিনি এককালে অস্থির হইয়া পড়িলেন, ধরাতল আলিঙ্গন করিয়া দুই পয়োধর ধুসরবর্ণ করিলেন, তাঁহার কেশ আলুলায়িত হইল, তিনি এই রূপে বিলাপ করিতে লাগিলেন, তাহাতে সেই স্থান যেন তাঁহার দুঃখে দুঃখিত হইয়া শোকের নিকেতনের ন্যায় হইয়া উঠিল॥ ৪॥
তেমন সুন্দর তোমার যে সেই শরীর, যাহার সহিত লোকে সুশ্রী পুরুষদিগের রূপের উপমা দিত, সেই শরীরের এই দশা দেখিয়াও আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয় না। স্ত্রীজাতি কি কঠিন॥ ৫॥
তুমি কি জাননা যে যেমন জল অভাবে পদ্মিনীর প্রাণ সংশয়, তেমনি তোমা অভাবে আমার বাঁচা অসম্ভব। সেই জল যেমন সেতুর বন্ধনে ছিদ্র করিয়া পদ্মিনীকে পরিত্যাগ পূর্ব্বক চলিয়া যায়, সেই রূপ ক্ষণকাল মধ্যে মিত্রতা ভঙ্গ পূর্ব্বক আমাকে ফেলিয়া কোথায় চলিয়া গেলে॥ ৬॥
আমার মনে দুঃখ দিবার কাজ কখন তুমি কর নাই, আর তুমি কষ্ট পাও এমন কাজ আমিও কখন করি নাই—তবে অকস্মাৎ এরূপ নিদয় কেন হইলে যে আমি রোদন করিতেছি, তবু তোমার দর্শন পাই না॥ ৭॥
তবে কি, ওহে কন্দর্প, তুমি যখন আমাকে ভ্রমক্রমে অন্য নারীর নাম ধরিয়া সম্বোধন করিতে, সেই সময়ে আমি যে তোমায় রসনা রজ্জুদ্বারা বন্ধন করিতাম, অথবা কর্ণের পদ্ম দিয়া তোমাকে প্রহার করিতাম, তৎসহকারে সেই পদ্মের পরাগ উড়িয়া তোমার চক্ষে পড়িত, সেই সকল কথা স্মরণ করিয়া তুমি অভিমান করিলে॥ ৮॥
তোমাকে আমি হৃদয়ে ধারণ করিয়া রাখিয়াছি,’ এই যে মিষ্ট বাক্য তুমি আমাকে কহিতে, বুঝিলাম যে তাহা কেবল ছলনা মাত্র ছিল। যদি তাহা কেবল মনোরঞ্জন করিবার কথা না হইবে, তবে তোমার শরীর নষ্ট হইল, অথচ আমার কিছুই হইল না কেন॥ ৯॥
তুমি ত এই মাত্র লোকান্তরে চলিয়া গিয়াছ, আমিও তোমার পথের পথিক হইব। কিন্ত বিধি সংসারের লোককেই বিড়ম্বনা করিলেন, কারণ প্রাণিবর্গের সুখ তোমা অবর্ত্তমানে ফুরাইয়া গেল॥ ১০॥
হে নাথ, যখন নগরের রাজপথ রাত্রির অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় এবং অভিসারিকারা মেঘ গর্জন শ্রবণ করিয়া ভয়ে কাঁপিতে থাকে, তখন তুমি ব্যতিরেকে তাহাদিগকে তাহাদিগের প্রিয়তমের নিকটে কে বা লইয়া যাইতে পারে॥ ১১॥
সুরাপান করিলে চক্ষু যে রক্ত বর্ণ হইয়া ঘূর্ণিত হইতে থাকে, এবং কথায় কথায় বাক্য গুলি যে অস্পষ্ট হইতে থাকে, রমণীগণের এখনো সুরাপান প্রযুক্ত সে সকলি ঘটিবেক বটে, কিন্তু যখন তুমি নাই, তখন সে সকলি তাহাদিগের বিড়ম্বনা মাত্র॥ ১২॥
হে অনঙ্গ, চন্দ্র যখন শুনিবেন যে তোমা সদৃশ প্রিয় বন্ধুর শরীর কথাশেষ হইয়াছে, তখন বুঝিবেন যে তাঁহার আর উদয় হওয়া বৃথা। কৃষ্ণপক্ষ গত হইলেও তিনি অতি কষ্টে আপন কলেবর বৃদ্ধি করিতে উদ্যোগী হইবেন॥ ১৩॥
যাহার রমণীয় বৃন্ত হরিত ও অরুণ বর্ণের মিশ্রিত কান্তি ধারণ করিয়া দেখিতে সুন্দর হয়, নর কোকিলের সুমধুর রব শুনিয়া লোকে, যাহা উৎপন্ন হইয়াছে বুঝিতে পারে, সেই আম্র মঞ্জরী এখন কাহার বাণ হইবে, বল॥ ১৪॥
শ্রেণীবদ্ধ ভ্রমরদিগকে তুমি অনেকবার আপন ধনুকের গুণ রূপে ব্যবহার করিয়ছিলে। তাহারা এই দেখ আমার দুঃসহ শোক দর্শনে শোকাকুল হইয়া কাতর স্বরে রব করত আমার সঙ্গে রোদন করিতেছে॥ ১৫॥
তোমার সেই রমণীয় শরীর পুনর্ব্বার ধারণ পূর্ব্বক আবার গাত্রোত্থান কর এবং মধুর বাক্যালাপ করিতে নিতান্ত নিপুণ কোকিলাকে উপদেশ দাও, প্রণয়দূতী হইয় তাহাকে কিরূপ কথা বার্ত্তা কহিতে হইবেক॥ ১৬॥
মস্তক ক্ষিতিতলে স্পর্শ করাইয়া তুমি যে সকল শরীরকম্পযুক্ত আলিঙ্গন ভিক্ষা করিতে এবং গোপনে সেই যে আমার সহিত কত প্রকার বিহার করিতে, হে কন্দর্প, সে সমস্ত স্মরণ করিয়া আমার হৃদয় আর সুস্থির থাকিতেছে না॥ ১৭॥
হে রতিকুশল। বসন্তিক পুষ্প লইয়া আমার অঙ্গে স্বয়ং তুমি যে পুষ্পের অলঙ্কার পরাইয় দিয়াছ, তাহা এখনো রহিয়াছে, কিন্তু তোমার সেই সুন্দর মূর্ত্তি কোথায় গেল?॥ ১৮॥
তুমি আমার চরণে অলক্তক রস লেপন করিতেছিলে, এমন সময়ে নির্দ্দয় দেবতারা তোমাকে স্মরণ করিলেন, কিন্তু আমার বাম চরণের রঞ্জন কার্য্য এখনো সমাপ্ত হয় নাই, অতএব এস, উহাকে রঞ্জিত করিয়া দাও॥ ১৯॥
হে প্রিয়তম! দেবাঙ্গনারা অতি চতুর, তাহারা তোমার মনোহরণ করিয়া লইবার অগ্রেই আমি অগ্নিতে আত্ম সমর্পণ পূর্ব্বক পুনর্ব্বার তোমার ক্রোড়ে যাইয়া উপবেশন করিব॥ ২০॥
হে নাথ! আমি ত তোমার অনুমরণ করিবই করিব, কিন্তু তথাপি আমার এই এক নিন্দা রহিয়া গেল যে মদনের মৃত্যুর পর রতি ক্ষণকালও জীবিত ছিল॥ ২১॥
তুমি পরলোকে গিয়াছ, এখন তোমার মৃতদেহের বেশ ভূষা বিধান করা পর্য্যন্ত আমার অসাধ্য হইতেছে। কারণ কেবল তোমার প্রাণ নয়, তোমার দেহ পর্য্যন্ত যে কোথায় চলিয়া গিয়াছে তাহার নিরূপণ নাই॥ ২২॥
হায়! তুমি যখন আপন ক্রোড়ে ধনুক খানি রাখিয়া বাণগুলিকে সরল করিতে এবং বসন্তের সঙ্গে হাসিয়া হাসিয়া যে কথা কহিতে, আর মধ্যে মধ্যে আমার প্রতি যে কটাক্ষ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে, সে সমস্ত বৃত্তান্ত আমার স্মৃতিপথে উপস্থিত হইতেছে॥ ২৩॥
তোমার প্রেমাস্পদ বন্ধু সেই বসন্তই বা কোথায়, তিনিই যে পুষ্প দ্বারা তোমার ধনুক নির্ম্মাণ করিয়া দিতেন। প্রচণ্ডকোপশালী শিব কেমন তাঁহাকেও ত তাঁহার বন্ধুর পথে প্রেরণ করেন নাই॥ ২৪॥
বসন্তের হৃদয়ে এই সকল বিলাপ বাক্য বিষ-লিপ্ত বাণের ন্যায় আঘাত করিল। তিনি শোকাতুর রতিকে সান্ত্বনা দিবার নিমিত্ত এই সময়ে দেখা দিলেন॥ ২৫॥
বসন্তকে দেখিয় রতি আরো রোদন করিতে লাগিলেন, এবং স্তনদ্বয়ে বেদনা জন্মে এই রূপে বক্ষস্থলে করাঘাত করিতে লাগিলেন। কারণ আত্মীয় ব্যক্তিকে দর্শন করিলে দুঃখস্রোতের যেন কপাট উদ্ঘাটন হইয়া যায়॥ ২৬॥
রতি দুঃখিত ভাবে তখন বসন্তকে বলিতে লাগিলেন, ওহে বসন্ত! তোমার বন্ধুর কি হইয়াছে দেখ। সেই শরীর এখন এই ভস্ম হইয়া গিয়াছে, এবং চতুর্দ্দিক হইতে বায়ু আসিয়া কণা কণা উহা উড়াইয়া লইতেছে॥ ২৭॥
হে কন্দর্প! অন্তত এখন দর্শন দাও, এই দেখ বসন্ত তোমাকে দেখিতে ব্যস্ত হইয়াছেন। রমণীগণের প্রতি পুরুষের যে প্রেম, তাহা যেন স্থির থাকে না সত্য, কিন্তু মিত্রের প্রতি যে স্নেহ, তাহা ত নষ্ট হয় না॥ ২৮॥
তোমার কি মনে নাই যে যদিও তোমার ধনুর্গুণ মৃণাল সূত্রে নির্ম্মিত আর যদিও তোমার বাণ কোমল পুষ্পে বিরচিত, তথাপি এই বসন্তই তোমার পার্শ্ববর্ত্তী থাকিয়া দেবাসুরসম্বলিত সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডকে তোমার আজ্ঞাকারী করিয়া দিয়াছেন॥ ২৯॥
হায়! যেমন বায়ুর আঘাতে দীপ নির্ব্বাণ হয়, তদ্রূপ তোমার সেই বন্ধু এক কালে গিয়াছেন, আর ফিরিতেছেন না। আমি যেন সেই নির্ব্বাণ প্রদীপের বর্ত্তি স্বরূপ হইয়া আছি, আর এই দুঃসহ দুঃখ ধূম স্বরূপ হইয়াছে॥ ৩০॥
বিধাতা কন্দর্পকে বধ করিলেন অথচ আমাকে মারিলেন না, ইহাতে তাঁহার অসম্পূর্ণ হত্যা করা হইয়াছে। যে বৃক্ষকে নিরুপদ্রব আশ্রয়-স্থান জ্ঞান করিয়া লতা অবলম্বন করিয়াছিল, যদি হস্তী তাহা ভাঙিয়া দেয়, তাহা হইলে লতার অদৃষ্টে পতন ব্যতীত আর কি আছে॥ ৩১॥
অতএব তোমার নিকট প্রার্থনা যে আমি তোমার বন্ধু ব্যক্তি, আমার এই উপস্থিত প্রয়োজনটী সম্পন্ন করিয়া দাও। আমি শোকে অধীর, আমাকে অগ্নি দান পূর্ব্বক স্বামীর নিকটে প্রেরণ কর॥ ৩২॥
জ্যোৎস্না চন্দ্রের সহিত চলিয়া যায়, বিদ্যুৎ মেঘের সহিত অন্তর্ধান হয়, অতএব দেখ স্ত্রীলোককে যে স্বামীর অনুগামী হইতে হয় এ কথা অচেতনেরা পর্য্যন্ত মানিয়া লইয়াছে॥ ৩৩॥
এই যে পরম সুন্দর স্বামি-দেহ-ভস্ম, ইহা আপন বক্ষস্থলে লেপন পূর্ব্বক অগ্নিকে নবপল্লব-শয্যা জ্ঞান করিয়া আপন শরীর শোয়াইয়া দিব॥ ৩৪॥
হে প্রিয়দর্শন! তুমি অনেক বার আমাদিগের দুজনের পুষ্পশয্যা রচনা বিষয়ে সাহায্য করিয়াছ, এখন আমি তোমাকে কৃতাঞ্জলিপুটে প্রণাম পূর্ব্বক প্রার্থনা করিতেছি, চিতা রচনা করিয়া দাও॥ ৩৫॥
চিতা রচনার পর আমার শরীরে অগ্নিদান করিয়া, যাহাতে শীঘ্র দাহ হইয়া যাই, তজ্জন্য দক্ষিণ বায়ু সঞ্চালন করিবে, কারণ তুমি ত জান, আমারে না দেখিলে কন্দর্পের মনে এক ক্ষণের জন্যও সচ্ছন্দ থাকে না॥ ৩৬॥
এই কার্য্য সম্পন্ন করিয়া আমাদের উভয়ের জন্য এক অঞ্জলি মাত্র জল দিও। সেই এক অঞ্জলি জলই তোমার সেই প্রিয় সখা আমার সহিত একত্রে পান করিবেন॥ ৩৭॥
আর শুন বসন্ত, শ্রাদ্ধের বিষয়ে আর কিছু করিতে হইবেক না, কেবল কামদেবের উদ্দেশে চঞ্চল পল্লবে শোভমান কতগুলি আম্রমঞ্জরীর পিণ্ড দান করিবে। কারণ তোমার বন্ধু আম্রমঞ্জরীই বড় ভাল বাসেন॥ ৩৮॥
এই রূপে রতি প্রাণত্যাগে উদ্যত হইয়াছেন, এমন সময়ে, যেমন পুষ্করিণী শুষ্ক হইয়া গেলে জলাভাবে মৃতপ্রায় শফরীকে সর্ব্বপ্রথম বৃষ্টি প্রাণ দান দিয়া থাকে, তদ্রূপ নিম্নলিখিত আকাশবাণী হইয়া রতিকে প্রাণদান দিলেন॥ ৩৯॥
হে কামকান্তা রতি! স্বামিবিরহের যন্ত্রণ তোমারে অধিক দিন ভোগ করিতে হইবে না। যে অপরাধে কামদেবকে মহাদেবের নয়নবহ্নিতে পতঙ্গের ন্যায় দগ্ধ হইতে হইয়াছে, তাহার বিষয় শুন॥ ৪০॥
কন্দর্প একদা ব্রহ্মার চিত্তবিকার ঘটাইয় দেন, তাহাতে তিনি আপন কন্যা সরস্বতীর প্রতি মনে কুভাব ধারণ করিয়াছিলেন। পরে ব্রহ্মা সেই বিকার নিবারণ পূর্ব্বক অভিসম্পাত করাতে এই ফল কন্দর্প ভোগ করিলেন॥ ৪১॥
তখন ধর্ম্ম ব্রহ্মাকে অনুনয় করাতে, তিনি কন্দর্পের শাপমোচনের বিষয়ে এই বাণী উচ্চারণ করিলেন যে, মহাদেব যখন পার্ব্বতীর তপস্যায় তাঁহার প্রতি প্রসন্ন হইয় তাঁহাকে বিবাহ করিবেন, তখন সেই আনন্দে তিনি কন্দর্পের শরীর কন্দর্পকে পুনর্ব্বার প্রদান করিবেন। যেমন এক মেঘ হইতে বৃষ্টি ও বজ্রাঘাত দুই হয়, তেমনি জিতেন্দ্রিয় পুরুষেরা কুপিত হইতেও জানেন, ক্ষমা করিতেও জানেন॥ ৪২॥ ৪৩॥
অতএব সুন্দরি! তোমার এই লাবণ্য-সম্পন্ন দেহ ত্যাগ করিও না, কারণ পুনর্ব্বার প্রিয়-সমাগম এই শরীরের অদৃষ্টে আছে। দেখ, সূর্য্য সমস্ত জল শোষণ করিলেও গ্রীষ্মাবসানে নদী পুনর্ব্বার আপনার পূর্ণ জল প্রাপ্ত হইয়া থাকে॥ ৪৪॥
এই রূপে এক অদৃশ্য দেবতা রতির মরণ-সংকল্পের লাঘব করিয়া দিলেন। আর তদ্বিষয়ে রতির বিশ্বাস জন্মিবাতে বসন্ত অশেষ প্রকার প্রবোধবাক্যে তাঁহাকে বুঝাইলেন, এবং সেই সমস্ত প্রবোধবাক্য সম্পূর্ণরূপ সফলও হইল॥ ৪৫॥
পরে কামকান্তা রতি শোকে কৃশ হইয়া, যেমন দিবা ভাগের চন্দ্রকলা কিরণবিহীন ও হতশ্রী হইয়া সন্ধ্যার প্রতীক্ষা করে, তদ্রূপ এই দৈব-দুর্ব্বিপাকের অবসানের নিমিত্ত প্রতীক্ষা করিয়া রহিলেন॥ ৪৬॥