আশা।

অস্তমিত চন্দ্র-তনু, কম্পিত তমস-অণু
স্তব্ধ ঘােরা দ্বিপ্রহরা নিশি।
নির্ম্মল অম্বর তলে সহস্র তারকা জ্বলে;
নিদ্রায় আকুলা দশদিশি।
বায়ু বহে ধীরে ধীরে, আঁধার সরসী তীরে,
গাছ পালা কাঁপে মুহুর্মুহূ।
চক্রবাক চক্রবাকী  সাড়া দেয় থাকি থাকি;
ঘুম ঘােরে পিক ডাকে কুহু।
খদ্যোতিকা দলে দলে, এই নিভে এই জ্বলে,
স্বপনেতে যেন কাঁদে হাসে।
কুটীরে মাটীর দীপ,  করিতেছে টিপ টিপ,
শিশু শুয়ে জননীর পাশে।
পুট পুটে দাঁত দুটি  হাসিতে রয়েছে ফুটি
কচি অধরের মাঝখানে।
ভাঙ্গা জানালাটি দিয়ে,  বৃহস্পতি আছে চেয়ে
বিমল সে মধু মুখ পানে।
থাক’ শিশু ঘুমাইয়া,  এই পুণ্য প্রাণ নিয়া
যৌবনে উঠিও জাগি তুমি;—
আশীর্ব্বাদ পূর্ণ হবে, সবে ধন্য ধন্য কবে
পবিত্র হইবে মাতৃভূমি।

সমাপ্ত।