গল্পস্বল্প
গল্পস্বল্প।
শ্রীস্বর্ণকুমারী দেবী প্রণীত।
ভাই বোনকে।
শুধু এই হাসি খুসি,
শুধু ছেলেখেলা,—
কাটি দিবে জীবনের
সুদীর্ঘ এ বেলা?
শুধু এই হাহাকার,
শুধু অশ্র-ব্যথা—
হৃদয়ের আঁখি-পাতে
রহিবে কি গাঁথা?
কিছুই নাহি কি আর,
প্রাণ যাহা যাচে?—
থাকুক তোদের তাহা,
পরাণের কাছে।
“গল্পস্বল্পে” স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যাহা লেখা হইয়াছে ক্যাম্বেল মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক ডাক্তার শ্রীযুক্ত দেবেন্দ্রনাথ রায় এবং ডাক্তার ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় তাহা পড়িয়া বালকবালিকার পাঠোপযোগী এবং বিজ্ঞান-সঙ্গত বলিয়াছেন। ইঁহাদের এ সম্বন্ধীয় পত্র দুইধানি নিম্নে উদ্ধৃত করিয়া দিলাম।
দেবেন্দ্র বাবুর পত্র
“স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আপনি যে প্রবন্ধটি লিখিয়াছেন তাহা অতি সুললিত প্রাঞ্জল ভাষায় লেখা হইয়াছে, আর তাহাতে যে বিষয় গুলি বিবৃত হইয়াছে তাহা আধুনিক “হাইজিন” শাস্ত্রের সম্পূর্ণ অনুমোদিত।”
ব্রজেন্দ্র বাবুর পত্র
“আমি আপনার পুস্তকের প্রুফ পাঠ করিয়া কোন পরিবর্ত্তন বা সংশোধন আবশ্যক বিবেচনা করি না। আপনার ভাষা, যেরূপ সুন্দর ও প্রাঞ্জল তাহা প্রায় অন্য গ্রন্থে দেখা যায় না। পুস্তকখানি যে সুপাঠ্য ও মনোরঞ্জক হইয়াছে তাহাতে বিন্দুমাত্র সংশয় নাই।”
বেথুন স্কুলের সংস্কৃত অধ্যাপক পণ্ডিত শ্রীযুক্ত চন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য এই পুস্তকের প্রুফ সংশোধন করিয়া যথেষ্ট উপকার করিয়াছেন।
এই পুস্তকের দ্বিতীয়, সপ্তম ও অষ্টম এই তিনটি গল্প শ্রীমতী হিরণ্ময়ী দেবীর লেখা।
এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত কারণ এটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারির পূর্বে প্রকাশিত।
লেখক ১৯৩২ সালে মারা গেছেন, তাই এই লেখাটি সেই সমস্ত দেশে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত যেখানে কপিরাইট লেখকের মৃত্যুর ৮০ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এই রচনাটি সেই সমস্ত দেশেও পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত হতে পারে যেখানে নিজ দেশে প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত কপিরাইট থাকলেও বিদেশী রচনার জন্য স্বল্প সময়ের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।