গৌড়রাজমালা/কাম্বোজান্বয়জ-গৌড়পতি


দিনাজপুর স্তম্ভ।

[৩৫ পৃষ্ঠা]
স্তম্ভলিপি।

 যে স্থানে মহীপালের তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে, দীনাজপুর জেলার অন্তর্গত সেই বাণগড় বা বাণনগরের বিশাল ভগ্নস্তূপ হইতে সংগৃহীত এবং দীনাজপুর রাজবাড়ীর উদ্যানে পরিরক্ষিত একটি প্রস্তরস্তম্ভের পাদদেশে উৎকীর্ণ রহিয়াছে—

१। 

दुर्ब्बारारि-वरूथिनी-प्रमथने दाने च विद्याधरैः
सानन्दं दिवि।
२।  यस्य मार्ग्गण-गुण-ग्रामग्रहो गीयते।
काम्वोजान्वयजेन गौड़पति-
३।  ना तेनेन्दुमौले रयं
प्रासादो निरमायि कुञ्जरघटा-वर्षेण भू-भूषणः॥

 “আনন্দে বিদ্যাধরগণ স্বৰ্গলোকে যাঁহার দুর্দ্দমনীয়-শত্রুসৈন্য-দমনে দক্ষতা এবং দানকালে যাচকের গুণগ্রাহিতার বিষয় গান করিতেছেন, কাম্বোজান্বয়জ সেই গৌড়পতি কুঞ্জরঘটা (৮৮৮) বর্ষে ইন্দুমৌলির (শিবের) এই পৃথিবীর ভূষণ মন্দির নির্ম্মাণ করাইয়াছিলেন।”

 এই শ্লোকটিতে যে ঐতিহাসিক তথ্য নিবদ্ধ রহিয়াছে, তাহার আলোচনার পূর্ব্বে, সংক্ষেপে এই শ্লোকের ব্যাখ্যার ইতিহাস বলা আবশ্যক। দিনাজপুরের তখনকার কালেক্‌টর ওয়েষ্টমেকট্ এই শ্লোকের পাঠোদ্ধার করিয়া, রাজেন্দ্রলাল মিত্র-কৃত অনুবাদ সহ, ১৮৭২ খৃষ্টাব্দের “ইণ্ডিয়ান্ অ্যাণ্টিকোয়েরি” পত্রে ইহা প্রকাশিত করিয়াছিলেন।[১] ওয়েষ্টমেকটের প্রবন্ধের সঙ্গে সঙ্গেই ডাক্তার ভাণ্ডারকর-কৃত একটি প্রতিবাদও প্রকাশিত হইয়াছিল। রাজেন্দ্রলাল এই প্রতিবাদের উত্তর প্রদান করিয়াছিলেন;[২] এবং ভাণ্ডারকর তাহারও প্রত্যুত্তর প্রকাশিত করিয়াছিলেন।[৩] ১২৮৮ বঙ্গাব্দের “বান্ধব”-পত্রে এক জন লেখক, পুনরায় রাজেন্দ্রলালের ব্যাখ্যার প্রতিবাদ করিয়াছিলেন।[৪] ইহার পর, এই লিপির কথা পণ্ডিতগণ একেবারে ভুলিয়া গিয়াছিলেন। কিল্‌হর্ণ “এপিগ্রাফিয়া ইণ্ডিকা” পত্রের পঞ্চম খণ্ডের পরিশিষ্টে উত্তরাপথের (Northern India) প্রাচীন লিপিসমূহের যে তালিকা প্রদান করিয়া গিয়াছেন, তাহাতে এই লিপির নামগন্ধ নাই। বাঙ্গালার প্রত্নতত্ত্বানুসন্ধান-বিভাগের ভূতপূর্ব্ব অধ্যক্ষ ডাক্তার ব্লক ১৯০০-১ খৃষ্টাব্দের রিপোর্টে অতি সংক্ষেপে এই লিপির উল্লেখ করিয়া গিয়াছেন। কিন্তু তিনি ভ্রমক্রমে “গৌড়পতি”কে “সীদপতি” পাঠ করায়, তাঁহার ব্যাখ্যা ব্যর্থ হইয়া গিয়াছে।

 রাজেন্দ্রলাল ও ভাণ্ডারকরের মধ্যে যে যে বিষয়ে মতভেদ উপস্থিত হইয়াছিল, তন্মধ্যে “কুঞ্জরঘটাবর্ষেণ” পদের কথাই উল্লেখযোগ্য। “কুঞ্জর” অর্থে ৮ এবং “কুঞ্জরঘটা” অর্থে ৮৮৮। “কুঞ্জরঘটাবর্ষেণ” পদে [পাণিনির ২।৩।৬ সূত্র অনুসারে] ক্রিয়া-পরিসমাপ্তি-অর্থে কালবাচক শব্দের উত্তর তৃতীয় বিভক্তি হইয়াছে। “কুঞ্জরঘটাবর্ষেণ” পদের ইহাই সহজ অর্থ। ৮৮৮কে শকাব্দ ধরিলে, ৯৬৫-৯৬৬ খৃষ্টাব্দ পাওয়া যায়। এই লিপির অক্ষরের বিচার করিলে, এবং লিপির প্রাপ্তি স্থানের, বা বরেন্দ্রভূমির পূর্ব্বাপর ইতিহাসের আলোচনা করিলেও, ৮৮৮ শকাব্দ, [৯৬৬ খৃষ্টাব্দই] “কাম্বোজান্বয়জ গৌড়পতি”র আবির্ভাব-কাল বলিয়া প্রতীয়মান হয়।

 বরেন্দ্রভূমিতে এ পর্য্যন্ত যে সকল প্রাচীন লিপি পাওয়া গিয়াছে, তন্মধ্যে খালিমপুরে প্রাপ্ত ধর্ম্মপালের তাম্রশাসনের[৫] এবং তথাকথিত বাদল-স্তম্ভে উৎকীর্ণ নারায়ণপালের মন্ত্রী গুরবমিশ্রের প্রশস্তির[৬] অক্ষরের সহিত এই লিপির অক্ষরের তুলনা করিলে, বাদল-স্তম্ভ-লিপির অক্ষরের সহিত ইহার অক্ষরের যথেষ্ট সাদৃশ্য লক্ষিত হয়। পক্ষান্তরে, খালিমপুরের তাম্রশাসনের অক্ষরের সহিত এতদুভয় লিপির অক্ষরের অনেক প্রভেদ। খালিমপুরের তাম্রশাসনের অক্ষরের মধ্যে ম, প, ও স-এর মাথায় ফাঁক আছে। এই লক্ষণটি প্রাচীনতর কালের লিপির প, ম ও স-তেও লক্ষিত হয়। কিন্তু বাদল-স্তম্ভলিপির প, ম ও স-এর মত, দিনাজপুর-স্তম্ভলিপির প, ম ও স-এর মাথা মাত্রায় ঢাকা। খালিমপুর-শাসনের অক্ষরের আর একটি লক্ষণ,—ম-এর নীচের দিকের বাম কোণে পুঁটুলি বা বৃত্ত দেখা যায় না; পুঁটুলির স্থানে উপরমুখী একটি টান আছে। কিল্‌হর্ণ লিথিয়াছেন,—“দেবপালের সময়ের ঘোষরাঁবার বৌদ্ধ-লিপিতে কয়েকটিমাত্র ম-এ পুঁটুলি দেখা যায়, কিন্তু বাদল স্তম্ভলিপির ও ভাগলপুরে প্রাপ্ত নারায়ণপালের তাম্রশাসনের সমস্ত ম-ই পুঁটুলিবিশিষ্ট।” সুতরাং নারায়ণপালের সময়ের লিপির অক্ষরের অনুরূপ অক্ষরবিশিষ্ট দিনাজপুরের স্তম্ভলিপিকে দশম শতাব্দীর পূর্ব্বে স্থাপিত করা যাইতে পারে না।

 বাদল-স্তম্ভলিপির ন্যায় এই লিপির অক্ষরের আর একটি লক্ষণ এই যে, ‘রেফ’ সর্ব্বত্রই অক্ষরের মাথার উপর দেওয়া হইয়াছে। প্রথম পংক্তির র্ব্ব, ২য় পংক্তির র্গ্‌গ, এবং ৩য় পংক্তির র্ষ-এর রেফ মাত্রার উপরেই দৃষ্ট হয়। খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দের লিপির মধ্যে দুইখানি লিপি—বাণনগরে প্রাপ্ত প্রথম মহীপালের তাম্রশাসন এবং আমগাছিতে প্রাপ্ত মহীপালের পৌত্র তৃতীয় বিগ্রহ পালের তাম্রশাসন,—দিনাজপুর জেলাতেই আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই লিপিদ্বয়ের রেফের ব্যবহার সম্বন্ধে কিল্‌হর্ণ লিখিয়াছেন,—অনেক স্থলে ‘’ রেফ মাত্রার উপরে দেওয়া হয় নাই; যে অক্ষরের সহিত রেফ যুক্ত হইবে, সেই অক্ষরের বাম দিকে মাত্রার সমসূত্রে একটি ক্ষুদ্র রেখামাত্র টানা হইয়াছে।[৭] মহীপালের পুত্র নয়পালের সময়ের (১৫শ বর্ষের) গয়ার কৃষ্ণদ্বারকা-মন্দিরের শিলালিপিতেও মাত্রার উপর রেফ দৃষ্ট হয় না।[৮] সুতরাং রেফ দেওয়ার হিসাবে দেখিতে গেলে, এই লিপিকে মহীপালের দিনাজপুরে প্রাপ্ত তাম্রশাসনেরও পূর্ব্বে [দশম শতাব্দীতেই] স্থাপিত করিতে হয়।

 “কাম্বোজান্বয়জ”-অর্থে “কাম্বোজ”-দেশীয় বা জাতীয় লোকের বংশ-সম্ভূত। ফরাসী পণ্ডিত ফুসে লিখিয়াছেন,—নেপালে প্রচলিত কিম্বদন্তী অনুসারে, তিব্বত-দেশেরই নামান্তর “কাম্বোজ দেশ”।[৯] সুতরাং “কাম্বোজান্বয়জ গৌড়পতি” তিব্বত বা তৎপার্শ্ববর্ত্তী কোনও প্রদেশ হইতে আসিয়া, বরেন্দ্র জয় করিয়া, বরেন্দ্রী বা বরেন্দ্রের নামান্তর গৌড়ের নামানুসারে, গৌড়পতি উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন, এই রূপই মনে করিতে হয়। ৯৬৬ খৃষ্টাব্দে “কাম্বোজান্বয়জ” গৌড়পতি শিবমন্দির নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন। ইহার কয়েক বৎসর পূর্ব্বেই হয়ত তিনি হিমালয় প্রদেশ হইতে বহির্গত হইয়া, বরেন্দ্র অধিকার করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় বিগ্রহপাল যে “অনধিকৃত” বা অনধিকারী কর্ত্তৃক রাজ্যচ্যুত হইয়াছিলেন, “কাম্বোজান্বয়জ গৌড়পতিই” সেই “অনধিকৃত”।

 “কাম্বোজ-বংশজ গৌড়পতি” গৌড়-রাজ্যের কোন্ কোন্ অংশ অধিকার করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, তাহা বলা কঠিন। বরেন্দ্রদেশ তাঁহার পদানত হইয়াছিল, এরূপ নিঃসন্দেহে মনে করা যাইতে পারে। কারণ, বরেন্দ্রের কেন্দ্রস্থলেই—বাণনগরে,—তাঁহার কীর্ত্তিচিহ্ন পাওয়া গিয়াছে; এবং বরেন্দ্রদেশের অনেক স্থানে যে কতক পরিমাণে তিব্বতীয় বা মোঙ্গলীয় আকারের কোচ, পলিয়া, রাজবংশী প্রভৃতি জাতি দেখা যায়, ইহারা তিব্বতীয় বা ভুটিয়া আক্রমণকারিগণের অর্থাৎ কাম্বোজ-বংশজ গৌড়পতির অনুচরগণের বংশধর বলিয়াই মনে হয়। এরূপ অনুমান করিবার কারণ, কাম্বোজ-বংশজ গৌড়পতির সঙ্গে ভিন্ন বহুসংখ্যক মোঙ্গলীয় ঔপনিবেশিকের বরেন্দ্রে, অর্থাৎ করতোয়ার পশ্চিমতীরবর্ত্তী ভূভাগে, প্রবেশের আর কোন অবসর দেখিতে পাওয়া যায় না। করতোয়ার পূর্ব্বদিক্‌বাসী, কামরূপী ব্রাহ্মণগণের যজমান,কোচ এবং রাজবংশিগণের সহিত বরেন্দ্রবাসী, বর্ণব্রাহ্মণের যজমান, কোচ, পলিয়া, এবং রাজবংশিগণের কোনরূপ সম্বন্ধের পরিচয় পাওয়া যায় না।

 বরেন্দ্র যখন “কাম্বোজ-বংশজ গৌড়পতির” করতলগত, এবং বিজিত দ্বিতীয় বিগ্রহপাল যখন গৌড়রাষ্ট্রের কোনও নিভৃত কোণে, [মগধে বা মিথিলায়,] লুক্কায়িত ছিলেন, তখন চন্দেল্ল-রাজ যশোবর্ম্মার উত্তরাধিকারী ধঙ্গদেব অঙ্গ ও রাঢ় আক্রমণ করিয়াছিলেন। খজুরাহোতে প্রাপ্ত ১০০২ খৃষ্টাব্দের একখানি শিলালিপিতে ধঙ্গ সম্বন্ধে উক্ত হইয়াছে—“‘তুমি কে? কাঞ্চীরাজপত্নী! তুমি কে? অন্ধ্রাধিপস্ত্রী! তুমি কে? রাঢ়ারাজ-পত্নী! তুমি কে? অঙ্গরাজ-পত্নী!’ সমর-জয়ী রাজার (ধঙ্গের) কারাগারে সজলনয়না শক্রপত্নীগণের মধ্যে এইরূপ কথোপকথন হইয়াছিল।”[১০]

 এই শ্লোকে কি পরিমাণে ঐতিহাসিক তথ্য নিহিত আছে,—ধঙ্গ প্রকৃত প্রস্তাবে রাঢ় এবং অঙ্গের মহাসামন্তদ্বয়কে পরাজিত করিয়া, উভয়ের পত্নীগণকে বন্দিনী করিয়া লইয়া যাইতে সমর্থ হইয়ছিলেন কিনা,—কেবল এক পক্ষের প্রশস্তিকারের কথা শুনিয়া, তাহা বলা কঠিন। কিন্তু তৎকালে গৌড়রাজ্যের অংশ বিশেষের সহিত জেজাভুক্তির যে ঘনিষ্ট সম্বন্ধ ছিল, অন্যত্রও তাহার কিছু কিছু প্রমাণ পাওয়া যায়। চন্দেল্ল-রাজগণের যে দুইখানি শিলালিপি হইতে প্রমাণ উদ্ধৃত হইয়াছে, এই দুই খানিরই লেখক গৌড় বা বাঙ্গালী। প্রথম খানি “সংস্কৃতভাষাবিদ্ গৌড়কায়স্থ [করণিক] জগ্ধের দ্বারা” লিখিত; দ্বিতীয় লিপির লেখক,—গৌড়কায়স্থ জয়পাল।

 পালরাজ্যের কেন্দ্র বরেন্দ্র যখন কাম্বোজ-বংশজ গৌড়পতির পদানত, এবং রাঢ় ও অঙ্গ চন্দেল্ল-রাজ ধঙ্গ কর্ত্তৃক আক্রান্ত, তখন প্রতিযোগী রাষ্ট্রকূট রাজ্যের এবং প্রতীহার-রাজ্যের অবস্থা আরও শোচনীয় হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। ৯৭৩ খৃষ্টাব্দে চালুক্য-বংশীয় তৈলপ, শেষ রাষ্ট্রকূট-নৃপতি দ্বিতীয় কর্ক্করাজকে পরাভূত করিয়া, দক্ষিণাপথে চালুক্য-প্রাধান্য পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। প্রতীহার-বংশেরও অধঃপতনের আর বড় বিলম্ব ছিল না। কচ্ছপঘাত-বংশীয় বজ্রদামন কান্যকুব্জের প্রতীহার-রাজকে পরাভূত করিয়া, গোপদ্রি বা গোয়ালিয়র অধিকার করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত আরও দুইটি অভিনব প্রতিদ্বন্দ্বী—পরমার-রাজ বাক্‌পতি-মুঞ্জরাজের (৯৭৪, ৯৭৯ খৃঃ অঃ) বাহুবলে উন্নীত মালবরাজ্য এবং অনহীলপাটকের চৌলুক্যবংশীয় মূলরাজ-(৯৭৪–৯৯৫ খৃঃ অঃ)প্রতিষ্ঠিত গুজরাত-রাজ্য অভ্যুদিত হইয়া, উত্তরাপথকে অধিকতর বিশৃঙ্খল এবং দুর্ব্বল করিয়া তুলিয়াছিল। কিন্তু এই সময়ে, আনুমানিক ৯৮০ খৃষ্টাব্দে, দ্বিতীয় বিগ্রহপালের পুত্র মহীপাল পিতৃ-সিংহাসনে আরূঢ় হইয়া, পুনরায় গৌড়রাষ্ট্রের ঐক্যসাধনে এবং পাল-রাজ্যকে আরও প্রায় সার্দ্ধ শতাব্দীর পরমায়ু প্রদানে সমর্থ হইয়াছিলেন।

 “অনধিকারী কর্ত্তৃক বিলুপ্ত পিতৃরাজ্য” বা কাম্বোজ-জাতীয় বিজেতার অধিকৃত বরেন্দ্রের উদ্ধার-সাধন মহীপালের প্রথম, এবং [বাণনগরে প্রাপ্ত তাম্রশাসন-মতে], প্রধান কীর্ত্তি। ধর্ম্মপাল এবং দেবপালের ন্যায় মহীপালও দীর্ঘকাল গৌড়-সিংহাসনে অধিরূঢ় ছিলেন। তারানাথ লিখিয়া গিয়াছেন,—মহীপাল ৫২ বৎসর রাজত্ব করিয়াছিলেন। একখানি পিত্তলের মূর্ত্তিতে কানিংহাম মহীপালের রাজত্বের ৪৮ বর্ষের উল্লেখ দেখিয়াছেন।[১১] এই দীর্ঘ রাজত্বকালে, বিদেশীয় আক্রমণকারীর হস্ত হইতে রাজ্যরক্ষার জন্য পুনরায় মহীপালকে অস্ত্রধারণ করিতে হইয়াছিল।

  1. ১২৭-১২৮ পৃঃ।
  2. ঐ ১৯৫ পৃঃ।
  3. ঐ ২২৭ পৃঃ।
  4. ১৮০-১৮২ পৃঃ।
  5. Journal of A. S. B. of 1897, Part I, এ খালিমপুরের শাসনের চিত্র দ্রষ্টব্য। অক্ষর-বিচার Epigraphia Indica, Vol. IV, ২৪৩–২৪৪ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য।
  6. Epigraphia Indica, Vol, II, p. 160, Plate.
  7. Journal A. S. B. of 1892, part I, p. 78; Indian Antiquary, Vol. XXI, (1892), P. 97.
  8. বন্ধুবর শ্রীযুক্ত রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় এবং শ্রীযুক্ত প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় মহাশয় বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতিকে এই শিলালিপির সুন্দর ছাপ প্রদান করিয়াছেন।
  9. V. A. Smith’s Early History of India, 2nd Ed., p. 173.
  10. “का त्वं कांचीनृपति-वनिता का त्व मन्ध्राधिप-स्त्री
    का त्वं राढ़ा-परिवृढ़वधूः क त्व मङ्गेन्द्र-पत्नी।
    इत्यालापाः समर-जयिनो यस्य वैरि-प्रियानां
    कारागारे सजलनयने न्दीवराणां वभूवुः॥ (४६)॥”

    Epigraphia Indica, Vol. I, p. 145.

  11. Smith’s Early History of India, (2nd Ed.,) p. 368.