গৌড়রাজমালা
এই বইটি বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির গৌড়-বিবরণ গ্রন্থমালার প্রথম বই। লেখক ও তাঁর বই সম্বন্ধে ১৯৭৫ সংস্করণের ভূমিকায় প্রখ্যাত পুরাতত্ত্ববিদ্ ও শিলালিপিবিশেষজ্ঞ দীনেশচন্দ্র সরকার লিখেছিলেন: “প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে রমাপ্রসাদ চন্দ একটি স্মরণীয় নাম। জনৈক সাধারণ স্কুলশিক্ষক হইতে অসাধারণ প্রতিভা ও অধ্যবসায়ের বলে তিনি প্রথম শ্রেণীর ঐতিহাসিক গবেষকের সম্মান লাভে সমর্থ হইয়াছিলেন। এদেশে এইরূপ কৃতিত্বের দৃষ্টান্ত বিরল। বাংলা ১৩১৯ সালে (১৯১২ খ্রীষ্টাব্দে) তাঁহার ‘গৌড়রাজমালা’ প্রকাশিত হইলে বাঙালী ঐতিহাসিক সমাজে আলোড়ন উপস্থিত হইয়াছিল। কারণ নিছক শিলালেখ ও তাম্রশাসনের ভিত্তিতে বাঙলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস রচনায় তিনিই পথ প্রদর্শন করিলেন।” এই বইতে পরিচ্ছেদভাগ না থাকায় সেগুলি ১৯৭৫-এর সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে।

গৌড়-বিবরণ
[বরেন্দ্র-অনুসন্ধানসমিতি-সঙ্কলিত।]
শ্রীঅক্ষয়কুমার মৈত্রেয় সম্পাদিত।
প্রথম ভাগ—প্রথম খণ্ড।

গৌড়রাজমালা

শ্রীরমাপ্রসাদ চন্দ
প্রণীত।

রাজসাহী
বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি হইতে
শ্রীসুরেশ্বর বিদ্যাবিনোদ কর্ত্তৃক প্রকাশিত।

১৩১৯।

[সর্ব্বস্বত্ব-সংরক্ষিত]

মূল্য দুই টাকা। 

কলিকাতা,
৮৬ নং লোয়ার সার্কুলার রোড, চেরি প্রেস লিমিটেড্ হইতে
শ্রীতুলসীচরণ দাস কর্ত্তৃক মুদ্রিত।

উৎসর্গ

 যিনি সুপণ্ডিত রাজেন্দ্রলাল মিত্রের নিকট বিদ্যাশিক্ষা করিবার সময় হইতেই, পুরাতত্ত্বানুরাগে অনুপ্রাণিত হইয়া, তাহার চর্চ্চার সূত্রপাত করিয়া, অকালে ইহলোক পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছেন, সেই দীঘাপতিয়াধিপতি অনরেবল রাজা প্রমথনাথ রায় বাহাদুরের তৃতীয়-পুত্র-প্রবর্ত্তিত বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি কর্ত্তৃক সঙ্কলিত “গৌড়-বিবরণ” তাঁহার পবিত্র স্মৃতির সমাদর-রক্ষার্থ উৎসর্গীকৃত হইল।

॥शुभमस्तु॥

শুদ্ধিপত্র
পৃষ্ঠা পংক্তি অশুদ্ধ শুদ্ধ



১২
১৫
〃 
১৭
২১
〃 
〃 
২৯
৬০
৬২
৭৭
১৩

১৯
১৩





১৬
৪১

২০
১৩
নীবৃতি
অগ্রদুত
দ্রব্য-রক্ষার্থ
অহহঃ
দুত
তুরুষ্ক
অমুলক
অভ্যূদয়
সস্কৃত
বিদুরিত
করিরা
বসুমতী
তাঁহারই
হলায়ুবের
নীবৃৎ
অগ্রদূত
দ্রব্য [রক্ষার্থ]
অহহ
দূত
তুরূষ্ক
অমূলক
অভ্যুদয়
সংস্কৃত
বিদূরিত
করিয়া
বসুমতীং
তাঁহারাই
হলায়ুধের

 ৩৪ পৃষ্ঠায় ৩ পংক্তির শেষে ** চিহ্ন বসিবে, এবং নিম্নলিখিত পাদটীকা সংযুক্ত হইবে।—

 বৃটীশ মিউজিয়মের পুস্তকালয়ে রক্ষিত একখানি “অষ্টসাহস্রিক-প্রজ্ঞা-পারমিতা” পুঁথির অন্তে লিখিত আছে,—“পরমেশ্বর-পরমভট্টারক-পরমসৌগত-মহারাজাধিরাজ-শ্রীমদ্ গোপালদেব-প্রবর্দ্ধমান-কল্যাণ-বিজয়রাজ্যেত্যাদি সম্বৎ ১৫ অস্মিনে দিনে ৪ শ্রীমদ্‌বিক্রমশীলদেববিহারে লিখিতেয়ং ভগবতী।” এই গোপালদেব দ্বিতীয় গোপাল বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়াছে।—Journal of the Royal Asiatic Society, 1910, pp. 150-151.

পরিচ্ছেদসমূহ (মূল গ্রন্থে নেই)

সূচীপত্র


এই লেখাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত কারণ এটি ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারির পূর্বে প্রকাশিত।


লেখক ১৯৪২ সালে মারা গেছেন, তাই এই লেখাটি সেই সমস্ত দেশে পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত যেখানে কপিরাইট লেখকের মৃত্যুর ৮০ বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকে। এই রচনাটি সেই সমস্ত দেশেও পাবলিক ডোমেইনে অন্তর্গত হতে পারে যেখানে নিজ দেশে প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রলম্বিত কপিরাইট থাকলেও বিদেশী রচনার জন্য স্বল্প সময়ের নিয়ম প্রযোজ্য হয়।