জীবন প্রদীপ।

লহরে লহরে ভেসে,  চলেছ উধাও হ’য়ে,
বল প্রাণ কার তরে এত মাতোয়ারা,—
ক্রন্দনের রোল কভু শুনেছ কি হেথা?
অনন্ত সে নীলাকাশ,  অনন্তেতে তোর বাস,
অনন্তেতে পূর্ণ তোর হৃদয় আগার,—
কেন তবে সাধ ক'রে ভাঙ্গ হৃদাগার?

শাস্তিময় ললাটে তোমার, বাঁধিয়া দিয়েছে যবে
অমূল্য রতন,—
বিধিদত্ত ধন,—
গাও তবে পীযুষ ধারায়।
বৃথা কাঁদ—বাঁধ বুক, হওরে প্রবীণ,
কালের স্রোতেতে ভেসে যাবে হে প্রদীপ।
অতি দূর—দুরান্তরে,
বিশাল তরঙ্গ পারে,
প্রদীপ এক দেখা যায় অতীব সুন্দর।
মিট্‌ মিট্‌ করে আলো,
হেরি সে যন্ত্রণ জাল,
মানস কুসুমে হয় কতই সঞ্চার।
চুমিয়া চুমিয়া ধরা,
আসে সে পাগল পারা,
ঘুমায়, দেখে না আর, অনন্ত আঁধার!
হাসি শশী ধেয়ে যায়,
সুন্দর জোছনা ভায়,
আলোক মালিনী আহা,—সেই সুখাধার!
তাই বলি হে লহর যেও না’ক দূরে,
কার্য্য সাঙ্গ হবে তোর ভোগবতী তীরে।