*ーতরে।

সাজায়ে যতনে মোহন ডালি,
আনিলাম যবে প্রিয়ার তরে,
কতই আনন্দ, পরাণে হাসি—
গেল ভেসে এবে স্রোতের মাঝে!

ফুলটি যেমন স্রোতের মাঝে,
ভাসিয়া ভাসিয়া চলিয়া যায়;–
আমার পরাণ তেমনি ক’রে,
লহরে লহরে নাচিয়া ধায়।

আপন আবেগ রুধিতে নারিনু,
শিথিল বন্ধন খুলিয়ে গেল;
কি জানি কেন সে কথা ভুলিনু,—
পুন এবে হ্রদে ঢালিয়া দিল।

জানি না কেন পাখা উঠে তার,
জলন্‌ অনলে ঢালিয়া দিতে!
কি যেন তাহার আছে যে ধার,
না দিলেই নয়, দিতেই হবে!


গুন্‌ গুন্‌ গেয়ে বেড়ায় ঘুরে,—
কমলিনী পাছে ভ্রমর হয়ে;
আশের আশেতে যায় সে ধেয়ে,
নিদারুণ কথা কি যেন শুনে!—

কাঁপিয়া কাঁপিয়া শিখার পরে,
আপন আপনি বিস্মৃত যেন;
সতত এ চিত তাহারি তরে,
বিস্মিতি-অনলে ঢালে যে কেন!—