ধূলিরাশি/ভগিনীর প্রতি (জন্মদিন উপলক্ষে)
ভগিনীর প্রতি।
(জন্মদিন উপলক্ষে।)
যেমতি গো নিমিষেতে,
সুদূর আকাশ হ’তে,
তারাটি আঁধার রাতে,
পড়ে গো খসিয়া।
আজিকে তেমনি করে,
ঊষার আলোক হেরে,
প্রাণ মম বহুদূরে,
গিয়াছে চলিয়া॥
যথায় নিদ্রার কোলে,
অবশ মাথাটি ফেলে,
ঘুমায় জগতে ভুলে,
ভগিনী আমার।
ক্ষীণতর ঊষালোকে,
দেখিনু মানস-চোখে,
স্নেহময়ী প্রতিমাকে,
স্নেহের আধার॥
প্রভাতী চাঁদের হাসি,
মলিন জোছনারাশি,
বাতায়ন পাশে পশি,
পড়েছে আননে।
পবিত্র রতনপ্রায়,
দুই বিন্দু অশ্রু হায়,
আনমনে বহে যায়,
নয়নের কোণে॥
মানস-নয়নে হেরে
ঘুমন্ত আনন, পরে
সাজাই গো ধীরে ধীরে,
চির স্নেহ-ফুলে।
স্নেহের জোছনা দিয়ে,
এ শুভ কামনা ধুয়ে,
আশে পাশে ছড়াইয়ে,
যাই আমি চলে॥
আজি তব জন্মদিনে,
মিশিয়াছে দু’টি প্রাণে,
ধরণীর এক কোণে,
যদিও রয়েছে।
তবুও কিসের তরে,
কিসের অভাব হেরে,
প্রাণ মম বারে বারে,
কাহারে ভাবিছে॥
চির স্নেহময়ি বোন,
স্নেহ-মাখা ও আনন,
সংসার যাতনা যেন,
মলিন না করে।
শান্ত স্থির আঁখিদ্বয়,
শুভ্র ঊষালোকময়,
করিবেন দয়াময়,
চিরদিন তরে॥
আজি বহুদূর হ’তে,
স্নেহ-অশ্রুমালা গেঁথে,
লিপিসনে যতনেতে,
দিতেছি তোমারে।
কি আছে আমার ভাই,
প্রাণভরে স্নেহ দিই,
ইহা কি যতনে ঠাঁই,
পা’বে ও অন্তরে?
প্রাণের আনন্দ তুমি,
অসার জগতে ভ্রমি,
ও আনন হেরে আমি,
বিরাম লভিব।
বাঁচিব গো যতদিন,
ও আনন মেঘহীন,
চির স্নেহে চিরদিন,
ঢাকিয়া রাখিব॥