ধূলিরাশি/ভ্রাতার প্রতি স্নেহ-উপহার (ঐ)

ভ্রাতার প্রতি স্নেহ উপহার।

(শুভ জন্মদিন উপলক্ষে।)

নীরব জগত-জনে,
নীরব বিহগগণে,
মর্ম্মরিছে পাতা শুধু ঊষা-সমীরণে।
সুদূর সুনীলাকাশে,
শুকতারা মৃদুহাসে,
ছড়াইছে ক্ষীণ হাসি নিদ্রিত ভুবনে॥

নিশাদেবী সযতনে,
ব্যথিত তাপিত জনে,
দিতেছিল শান্তিবারি নিবাতে দহন।

উষা আগমনহেরে,
পলাইল ত্বরা করে,
দুখের সাগরে ত্যজি সান্ত্বনার ধন॥

যাবার সময়ে পথে,
করুণ নয়ন হ’তে,
পড়েছিল অশ্রুরাশি কানন মাঝারে।
বিমল সে অশ্রুবারি,
সমীর যতন করি,
তৃণমাঝে চাপা দিয়ে রেখেছে কাতরে॥

ঊষাদেবী ধীরে ধীরে,
অশ্রুরাশি চুরি করে’,
অপূর্ব্ব নীহার হার গাঁথিছে কৌশলে।
জাগাইয়া স্নেহ ভাষে,
বরষিছে আশে পাশে,
সাজা’তে স্বজনী ভার, ফুলবালা দলে॥


এ হেন সময়ে আজি,
পিতার চরণ পূজি,
কৃতজ্ঞ অন্তর মম করিছে প্রার্থনা।
যীশুর চরণ-তলে,
প্রাণের দুয়ার খুলে,
ঢেলে দিই আছে যত মঙ্গল কামনা॥

তোমার(ই) তরেতে ভাই,
তার কাছে ভিক্ষা চাই,
উন্নতির পথে তুমি চলে যাও ধীরে।
পিতার আশিস্ সম,
সরা’য়ে সংসার তমঃ,
চিরদিন শিশু হাসি ঘেরিবে তোমারে॥

চির প্রিয় ভাই মম,
কি আছে তোমার সম,
আজি এ প্রবাসে তোমা’ দিব উপহার?

ভক্তি ও স্নেহের ফুলে,
রাখি ও চরণ-তলে,
ল’বে কি যতন করে’? নাহি কিছু আর॥

কি আর বলিব ভাই,
তাঁর অগোচর নাই,
কত যে বাসনা প্রাণে না পারি কহিতে।
তোমার(ই) তরেতে তাই,
তাঁর কাছে ভিক্ষা চাই,
সুখে থাক চিরদিন দুখের জগতে॥