ধূলিরাশি/স্নেহের ভগিনী আমার (ঐ)

স্নেহের ভগিনী আমার।

(শুভ জন্মদিন উপলক্ষে।)

ছেলেবেলাকার সাধের কুসুম,
   তুলেছি যতন করে’।

প্রভাতী তারাটি মধুর হাসিয়া,
নীলিমার কোল উজল করিয়া,
সুখ-অশ্রুরাশি নীহার ফেলিয়া,
   ফুটা’লে তোমার(ই) ভরে।
আমি—তুলেছি যতন করে’॥


ঊষাদেবীসনে প্রভাতে উঠিয়া,
স্নান জোছনায় মালাটি গাঁথিয়া,
রাখিয়াছি ইহা স্নেহবারি দিয়া,
   ভগিনি, তোমার(ই) তরে।
আমি—তুলেছি আঁচল ভরে॥

যতদিন দেহে রহিবে জীবন,
এ শুভ কামনা ভেদিয়া গগণ,
পড়িবে পিতার নমিয়ে চরণ,
যেন-সুখেতে রাখেন তোরে।
তাঁর—থাকিও চরণ ধরে’॥

আয় ঊষাদেবী হাসিটি লইয়ে,
সাজা এ আনন চির হাসি দিয়ে,
যেন—সরলতা ফুল থাকেরে ফুটিয়ে,
   ও মুখ উজল করে’॥
আমি—দেখিয়ে যাইব সরে’॥