ধূলিরাশি/স্নেহের ভগিনী আমার (ঐ)
< ধূলিরাশি
(পৃ. ৫২-৫৩)
স্নেহের ভগিনী আমার।
(শুভ জন্মদিন উপলক্ষে।)
ছেলেবেলাকার সাধের কুসুম,
তুলেছি যতন করে’।
প্রভাতী তারাটি মধুর হাসিয়া,
নীলিমার কোল উজল করিয়া,
সুখ-অশ্রুরাশি নীহার ফেলিয়া,
ফুটা’লে তোমার(ই) ভরে।
আমি—তুলেছি যতন করে’॥
ঊষাদেবীসনে প্রভাতে উঠিয়া,
স্নান জোছনায় মালাটি গাঁথিয়া,
রাখিয়াছি ইহা স্নেহবারি দিয়া,
ভগিনি, তোমার(ই) তরে।
আমি—তুলেছি আঁচল ভরে॥
যতদিন দেহে রহিবে জীবন,
এ শুভ কামনা ভেদিয়া গগণ,
পড়িবে পিতার নমিয়ে চরণ,
যেন-সুখেতে রাখেন তোরে।
তাঁর—থাকিও চরণ ধরে’॥
আয় ঊষাদেবী হাসিটি লইয়ে,
সাজা এ আনন চির হাসি দিয়ে,
যেন—সরলতা ফুল থাকেরে ফুটিয়ে,
ও মুখ উজল করে’॥
আমি—দেখিয়ে যাইব সরে’॥