ধূলিরাশি/সূর্য্যোদয়
< ধূলিরাশি
(পৃ. ১৫-১৬)
সূর্য্যোদয়।
উজলিয়া পূরব গগণ,
প্রকাশিল তরুণ তপন;
হেরিয়া নূতন ছবি,
পলাইলা ঊষাদেবী,
নিরখি’ সে লোহিত লোচন॥
ধীরে ধীরে প্রাতঃসমীরণ,
পরশিল মুদিত প্রসূন;
চমকি কুসুমচয়।
জাগিল কাননময়,
হাসিয়া জাগিল উপবন॥
হেরে রবি হাসিছে ধরণী,
ঝরিতেছে স্বচ্ছ নিঝরিণী;
আসিয়া নির্ঝর তীরে,
পান করে ধীরে ধীরে,
পিপাসিত যত কুরঙ্গিনী॥
গিরি’পরে বালক তপন,
ছড়াইছে কণক কিরণ;
সুবর্ণ বসনে আজি,
সাজিয়াছে তরুরাজি,
সুখী আজি যত জীবগণ॥
আনন্দেতে বিহগ নিচয়,
হেরিয়া এ সুখ-সূর্য্যোদয়,
কাঁপায়ে নীলগগণ
কাঁপাইয়ে উপবন,
গাহে প্রাতঃ করি সুখময়॥
দেখিয়া এ শোভা সমুদয়,
কা’র মন মোহিত না হয়?
কৃতজ্ঞ অন্তরে আমি,
তাইহে তোমায় নমি,
সৃষ্টিকর্ত্তা প্রভু দয়াময়॥