ধূলিরাশি/অস্তমিত সূর্য্য
< ধূলিরাশি
(পৃ. ১৭-১৮)
অস্তমিত সূর্য্য।
হেরিলাম আজি আমি পর্ব্বত উপরে,
একটী অপূর্ব্ব শোভ মানস-মোহন।
দিবসের শেষে অস্ত যাইতেছে ধীরে,
পরিশ্রান্তকলেবর লোহিত তপন॥
ছড়াইয়ে চারিদিকে স্বর্ণরশ্মিজাল,
অস্তাচলে যায় ধীরে কণক ভাস্কর।
ঈষৎ রক্তিমবর্ণে গগণের ভাল,
সুরঞ্জিত করিয়াছে স্বর্ণ দিবাকর॥
ক্রমে ক্রমে দিবাকর কোথায় যাইল,
ঈষৎ ঈষৎ ধরা অন্ধকার করে।
পশ্চিমে সাঁঝের তারা প্রকাশ পাইল,
সন্ধ্যা আগমন-বার্ত্তা জানাবার তরে॥
আঁধারে কিছুই আর নাহি যায় দেখা,
আবরিয়া গিরি নদী কানন প্রান্তর,
গোধূলি এখন তা’র তমোময় পাখা;
বিস্তার করিল ধীরে ধরণী উপর॥