ধূলিরাশি/স্নেহের ভগিনী আমার
< ধূলিরাশি
(পৃ. ৪৭-৪৮)
স্নেহের ভগিনী আমার।
যত দেখি তোরে ভগিনি আমার,
আরো হেরিবারে নয়ন চায়।
চির হাসিমাখা ও মু’খানি তোর,
সুখের বিজলী উজলে তায়॥
শৈশবের হাসি, সেই সরলতা,
এখন(ও) খেলিছে নয়নোপরে।
সেই সে চঞ্চল নয়নকমল,
এখন(ও) নাচিছে পুলকভরে॥
হাস যবে তুমি স্নেহের ভগিনি,
তখন আমার মানসাকাশে।
শতেক তারকা উঠেরে ফুটিয়া,
সুখের বিমল জোছনা হাসে॥
যবে অশ্রুজল বহিয়ে কপোল,
ও বিধু-বদন প্লাবিত করে।
ভ্রম হয় যেন গোলাপকলিকা,
নিষিক্ত হয়েছে নীহার নীরে॥
স্নেহের প্রতিমা, নাহিক উপমা,
চির-সুখে থাক ইহাই চাই।
যীশুর চরণ ত্যজো না কখন,
তা’হলে সুখের অভাব নাই।