ধূলিরাশি/স্বর্গ
স্বর্গ।
“Holy, holy, holy, is the Lord of hosts: the whole earth is full of his glory.” Isa. vi. 3.
“They sung as it were a new song before the throne,**** no man could learn that song.” Rev. xiv. 3.
যাইব চলিয়ে, সে সুখ-আলয়ে,
যথায় সুখের নাহিরে শেষ।
আসীন যেখানে, শ্বেত সিংহাসনে,
আমাদের তরে হত যে মেষ॥
পূত প্রবাহিনী, দিবস যামিনী,
গাহে অনন্তের অনন্ত গান।
নীরবে সুদূরে, জগত বাহিরে,
সদাই উড়িতে চাহে এ প্রাণ॥
মেঘ আরোহণে, যথা দূতগণে,
গগণে হীরক প্রদীপ জ্বালে।
স্বর্গদ্বারদেশে, প্রহরীর বেশে,
দাঁড়ায়ে সাঁঝের তারাটি ভালে।
পাপদুঃখ ভারে, ভারাক্রান্ত নরে,
বিরামের তরে তথায় যায়।
দূতগণে এসে, রাজার আদেশে,
পথিকের ভার মামায়ে লয়॥
জগত জানে না, জগত বোঝে না,
এমন পবিত্র নূতন গান।
তখনি হরষে, গায় অনায়াসে,
যীশুর মহিমা ধরিয়া তান॥
স্বর্গদূতগণ, গাহে অনুক্ষণ,
পবিত্র, পবিত্র, পবিত্র প্রভু।
সর্বশক্তিমান, তব গুণ-গান,
গাহিবারে শ্রান্ত না হই কভু।
স্বর্গ ভূমণ্ডল, উচ্চ নভস্থল,
তোমার গৌরবে পূরিত সবে।
বিশাল জলধি, সেও নিরবধি,
তোমারি মহিমা গাহিছে ভবে॥
ওহে প্রেমাকর, এই ক্ষীণ স্বর,
অসার অসার অবনী মাঝে।
গাহিবে যখন, শুনিও তখন,
তারকা-খচিত নীরব সাঁঝে॥
অতি ক্ষীণতর, অযোগ্য ও স্বর,
গাহিতে তোমার মহিমা-গান।
জানি আমি তবু, পাপীদের প্রভু,
পাপীদের তুমি আশার স্থান॥
যত দিন রাখ, কাছে কাছে থাক,
যেন আমি তব আলোক পাই।
তব ইচ্ছা মত, শেষ হ’লে পথ,
তোমাতে অনন্ত বিরাম চাই॥