ধূলিরাশি/স্বর্গের প্রসূন

স্বর্গের প্রসূন।

To my first god-child.

মাঝে মাঝে অন্য মনে,
চাহিয়া আকাশ-পানে,
 কি দেখিস্‌ বল্‌না, আমায়।
খেলাধূলা ফেলে রাখি,
কেন ও উজল আঁখি,
 শূন্যমার্গে ছুঠে ছুটে যায়?
খুলে কি স্বরগদ্বার,
অথবা কি ছায়া তার,
 পড়ে তোর বিমল জীবনে।
উজল নয়নে তোর,
কি যেন ঘুমের ঘোর,
 আত্মহারা যেন কি স্বপনে॥

তোদের প্রাণের কথা:
তোদের জীবন-গাথা,
 আমাসম পাপী যেই জন।
জানিবে বা সে কেমনে,
পবিত্র ও শিশু-প্রাণে,
 সরলতা খেলিছে কেমন॥
হয়ত ধরণী-মাঝে,
দূতেরা আপন কাযে,—
 আসে যবে হরষে নামিয়া।
তাদের মহিমাগান,
শোনে কি তোদের কাণ,
 তাই আঁখি উঠে উজলিয়া।
পবিত্র ও আঁখি হেরে,
দাঁড়ায় স্নেহের ভরে,
 হেরিতে ও বিমল মু’খানি।
মধুর বীণার তানে,
বুঝি তোর কাণে কাণে,
 কহে যায় স্বর্গের কাহিনী?

ডাকি যবে নাম ধরে,
কত যে আদর করে,
 মন তোর থাকে কোন্ খানে?
আঁখি দুটি দূরে দূরে,
কি খোঁজে অমন করে?
 হাসি মুখ তোলা ঊর্দ্ধপানে॥
যখন খেল লয়ে,
হেসে হেসে কথা কয়ে,
 খেলা কর আদরের ধন।
মনে হয় ক্ষণভরে,
স্নেকের পুতলি ওকে,
 আমার (ই) এ প্রফুল্ল রতন॥
কিন্তু যবে সব ভুলে,
উজল নয়ন তুলে,
 চেয়ে থাক আকাশের পানে।
বার বার মনে হয়,
আমার কখনো নয়,
 আনিয়াছে এরে দূতগণে॥

এও বুঝি ধরামাঝে
আসিয়াছে কোন কাযে,
 রেখে গেছে হেথা দূতগণ।
কোন্ দিন যাবে চলে,
পিতার স্নেহের কোলে,
 যবে কায হ’বে সম্পূরণ॥
দেখ বুঝি এক মনে,
হেরিবারে সঙ্গিগণে,
 বার বার আকাশ সুনীল?
ওদের হৃদয় সনে,
ক্ষুদ্র এই শিশুপ্রাণে,
 তাই এত সুপবিত্র মিল॥
স্নেহের পুতলি মম,
পবিত্র প্রসূনসম,
 ফুটে থাক যীশুর চরণে।
তাঁহারি পবিত্র বুকে,
রাখিবেন চিরসুখে,
 তাঁহারি এ উজল রতনে॥