ধূলিরাশি/স্বর্গ (বাসনা)
স্বর্গ।
(বাসনা।)
“These are they which came out of great tribulation, and have washed their robes, and made them white in the blood of the Lanb.” Rev. vii. 14.
সাঁঝের গগণপানে চেয়ে চেয়ে আনমনে,
ভাবি আমি ভবন আমার।
তারকা ফুটিয়া উঠে, স্বরগের দ্বার টুটে,
ঝরে যেন আলোক-আসার॥
অতি দূর দূরান্তরে, অপার্থিব সুখস্বরে,
একতানে যথা দূতগণ
ঝঙ্কারি অগণ্য বীণা, গাহে যত স্বর্গসেনা,
“জয়, জয়, ফুরা’য়েছে রণ॥
“অসার মানব ভরে, নমিয়া জগত’পরে,
“মহাত্রাণ করেছ সাধন।
“সকলি সমাপ্ত এবে, রণজয়ী মোরা সবে,
“ধন্য, ধন্য, পাপীর রতন॥”
যীশুর শোনিতস্রোতে, কত লোক প্রক্ষালিতে,
পাপজীর্ণ মলিন বসন।
আসিছে আহত শত, স্নেহ উৎস অবারিত,
অবারিত পিতার ভবন॥
জিনিয়া রবির করে, উজল বসন পরে,
নমিতেছে পিতার চরণে।
মুছায়ে নয়নজল, হৃদয়ে নূতন বল,
দিতেছেন পিতা সযতনে॥
গাহিতে গাহিতে গান, ঝঙ্কারি বীণায় তান,
কত দূত আসিছে নামিয়ে।
যীশুর আদেশমতে, উজল তারকাপথে,
কত প্রাণ যাইছে লইয়ে॥
সদাই বাসনা করে, দাঁড়ায়ে উজল দ্বারে,
হেরিতে সে সুখ-নিকেতন।
যেথায় অযুত লোক, ভুলে গেছে অশ্রুশোক,
ভুলে গেছে সংসার-স্বপন॥
প্রভু ভব ইচ্ছা মতে, আমারে উজল পথে,
ল’য়ে যেও হইলে সময়।
সংসার সাগর’পরে, থাক শুধু হাত ধরে,
হও মম অটল আশ্রয়॥
সাঁঝের গগণপানে, চেয়ে চেয়ে আনমনে,
হেরে যদি তারা আলোক।
আসে এ বাসনা পুনঃ, প্রাণ খুলে কহি যেন,
প্রভো, তব ইচ্ছামত হ’ক॥