নটীর পূজা/সূচনা
সূচনা
ভিক্ষু উপালির প্রবেশ
গান
পূর্বগগনভাগে
দীপ্ত হইল সুপ্রভাত
তরুণারুণরাগে।
শুভ্র শুভ মুহূর্ত আজি
সার্থক কর রে,
অমৃতে ভর রে,
অমিত পুণ্যভাগী কে
জাগে, কে জাগে॥
কে আছ? ভিক্ষা চাই, ভগবান বুদ্ধের নামে ভিক্ষা আমার।
নটীর প্রবেশ ও প্রণাম
শুভম্ভবতু কল্যাণম্। বৎসে, তুমি কে।
নটী
আমি এই রাজবাড়ির নটী।
উপালি
এই পুরীতে আজ একা কেবল তুমিই জেগে?
নটী
রাজকন্যারা সকলেই ঘুমিয়ে আছেন।
উপালি
ভগবান বুদ্ধের নামে ভিক্ষা চাই।
নটী
প্রভু অনুমতি করুন, রাজকন্যাদের ডেকে আনি।
উপালি
আজ তোমারই কাছে ভিক্ষা জানাতে এসেছি।
নটী
আমি যে অভাগী। প্রভুর ভিক্ষাপাত্রে আমার কুণ্ঠিত হবে। কী দেবে। অনুমতি করুন।
উপালি
তোমার যা শ্রেষ্ঠ দান।
নটী
আমার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কী সে তো আমি জানিনে।
উপালি
নটী
প্রভু, তাহলে তিনি স্বয়ং তুলে নিন যা আছে আমার।
উপালি
তাই নেবেন, তোমার পূজার ফুল। ঋতুরাজ বসন্ত যেমন করে পুষ্পবনের আত্মদানকে আপনিই জাগিয়ে তোলেন। তোমার সেইদিন এসেছে আমি তোমাকে জানিয়ে গেলুম। তুমি ভাগ্যবতী।
নটী
আমি অপেক্ষা করে থাকব।
রাজকন্যাদের প্রবেশ
প্রভু, ভিক্ষা নিয়ে যান। ফিরে যাবেন না, ফিরে যাবেন না। এ কী হল? চলে গেলেন?
রত্নাবলী
ভয় কী তোমাদের, বাসবী। ভিক্ষা নেবার লোকের অভাব নেই—ভিক্ষা দেবার লোকই কম।
নন্দা
না রত্না, ভিক্ষা নেবার লোককেই সাধনা করে খুঁজে পেতে হয়। আজকের দিন ব্যর্থ হল।