নীতিকণা/প্রভাত
< নীতিকণা
(পৃ. ৫-৬)
প্রভাত
আর শু’য়ে থাকিব না, রাতি শেষ হ’য়েছে,
প্রভাত-সূচক রবে পাখী গীত ধ’রেছে।
বিবিধ কুসুম চয় চারিদিকে ফুটেছে।
মধুপান অভিলাষে অলিকুল ছুটেছে।
সগৌরবে ছড়াইয়া সমুজ্জ্বল কিরণে,
লাল ছবি ল’য়ে রবি উঠিয়াছে গগনে।
এমন সময় নিদ্রা আর নাহি যাইব,
শয্যা ছাড়ি, প্রকৃতির কত শোভা হেরিব।
রবির কিরণে বিশ্ব আলোকিত হ’য়েছে,
আমরি, মোহনরূপে, প্রকৃতি কি সেজেছে!
নিশির শিশির বিন্দু তৃণোপরি প’ড়েছে,
কে যেন মুকুতারাশি ছড়াইয়ে রেখেছে।
পুলকে চাতকগণ শূন্যপথে ধাইছে,
আহা, কি মধুর স্বরে কত গান গাইছে!
বহিছে পবন নানা পুষ্পবাস লইয়া,
সেবন করিব তাহা, এইক্ষণে উঠিয়া।
শয্যা ত্যজি, মুখ ধু’য়ে, বেড়াইতে যাইব,
পাখীর মধুর গান শুনিবারে পাইব।
প্রকৃতির মনোলোভ কত শোভা হেরিব,
ঘরে ফিরে নিজ নিজ পাঠাভ্যাস করিব।