পঞ্চক মালা/কবি
সরস ব্যঙ্গে, হাসির রঙ্গে,
বিপুল বঙ্গ-মজ্লিশে—
করিছ সৃষ্টি বচন মিষ্টি;—
আম্রশ্রেষ্ঠ ফজ্লি সে।
ছেড়েছে চাদর বিলাতি বাঁদর,
হচ্চে তাদেরো সুখ্যাতি;
পাচ্চে দণ্ড যতেক ভণ্ড-
চণ্ডী, নন্দ, ইত্যাদি।
শুধু কি হাসাও? কাঁদিয়ে ভাসাও, —
পাষাণে বসাও চিহ্ন;
রূপসা নবীনা পাষাণী প্রতিমা—
রচিবে কে তোমা ভিন্ন?
তাপেতে তপ্তা সে অভিশপ্তা,
কাঁদিলে মুক্তা ঝরে;
কুড়ায়ে সে ধন সতীরা এখন
হারের রতন করে।
‘ইরা’ গুণবতী করুণা মুরাতি,
‘দৌলত’ সতী-রত্ন,
প্রীতির দেহের পরাণ “মেহের”,
ঢালিছে মোহের স্বপ্ন।
ওগো ও মিত্র, অতি পবিত্র
তোমার চিত্র-তুলিকা।
বিবিধ বর্ণে সুরভি পর্ণে
এঁকেছ পুণ্য-কালিকা।
জড়তা যুক্ত চেতনা-লুপ্ত
আঁধারে সুপ্ত মহীতে,
নব ভানু-তাপ প্রসারি’ প্রতাপ,
আনিল প্রভাত চকিতে।
‘চারণীর’ গীতি ‘মানসীর’ প্রীতি
যেন রে বিজুলি-কণা, —
নাচায়ে ফিরায় শিরায় শিরায়
নবীন উদ্দীপনা।
হাকিয়ে হাসাও, কাঁদিয়ে কাঁদাও,
শৌর্য্যে মাতাও প্রাণ;
বিভব-গরবে অক্ষয় হবে
এ ভবে তোমার গান।
রহি পবিত্র সরস নিত্য,
ভুলিয়ে বিরহ-বাধা,
বিবিধ ছন্দে মধুরে মন্দ্রে
গাহ দ্বিজেন্দ্র,গাথা।