পঞ্চক মালা/ছায়া
চেয়ে থাকি তার আঁখি পানে,—
দৃষ্টি যেন লেখে দীপ্ত লেখা।
নিয়ত নূতন হয় মানে-
যত পড়ি রেখা পরে রেখা।
ওকি গো কোমল অনুরোগে
আত্মমগ্ন সংযমের ছায়া?
সন্ন্যাসিনী? ওই যেন জাগে
আসক্তি-কামনাময়ী জায়া।
উছলিয়া কপোল অধর
সুধা টলে কাঁপিতে কাঁপিতে:
যেন শুদ্ধ করুণার ঝর
ছুটিতেছে বিশ্বটি প্লাবিতে।
ক্ষুদ্র মোর বক্ষের উপর
ঢালি ধারা আদরে নিভৃতে,
সৃজিবে কি স্বচ্ছ সরোবর
পরিপূর্ণ প্রীতির অমৃতে?
বিলম্বিত কুন্তলের তলে
স্নিগ্ধ ছায়া পড়ে কার তরে?
অঙ্গ-লগ্ন ও চারু অঞ্চলে
লেগে বায় কোপায় সঞ্চারে?
ফুল্ল সরোজিনী-পরিমাল,—
ওকি খালি ফুলেরি গৌরব?
অত তাজা সুরঞ্জিত দল,—
প্রীত শুধু লেপিয়া সৌরভ?
প্রতিকৃতি, ছায়া দিয়ে আঁকা;—
তাই নিয়ে ধ্যান করি একা।
স্তদ্ধতায় প্রাণখানি ঢাকা:
প্রতিবিম্বে ঝলে রূপ — রেখা।
রেখাপারে ছায়া করে খেলা।
তারপর? আমার কল্পনা।
অন্ধকারে ডুবে যায় বেলা,—
আলো ঢাল, ললিত ললনা।