তাড়াতাড়ি।

জিনিষ পত্র বাঁধা ছাঁদার গোল্‌ উঠ্‌ল বাড়িতে;
যেতে হবে খেয়ে দেয়ে, ধেয়ে রেলের গাড়ীতে।
নাকে মুখে গুঁজে দুটি, ছুটে গেলাম ষ্টেসনে;
হুঁকো বুঝি গেছি ফেলে! কাহার কথা কে শোনে?
পেয়ে একটি বন্ধু তথা, গোলাম কথা কহিতে,—
উঠ্‌ল বেজে মেলের বাঁশী, আর কি পারি রহিতে?
জিনিষ গুণে, হেঁচ্‌ড়ে টেনে তুল্‌তে মাত্রে হাঁপিয়ে,
চল্ল ছুটে গাড়ী দ্রুত, শরীর শুদ্ধ কাঁপিয়ে।

থাম্‌ল গাড়ী; তাড়াতাড়ি তবু মোরে ছাড়ে কি?
চ্যাঁচামেচি কল্লে মিছে, কাজের গৌরব বাড়ে কি?
যাস্‌নে ছুটে ওরে মুটে, একটুখানি দাঁড়ারে!
গোলেমালে হারিয়ে গেল সন্দেশেরি হাঁড়ারে।
সাজিয়ে জিনিষ গাড়ীর মাথায়, উঠিতে না উঠিতে,—
এত মড়া—তবু ঘোড়া লাগ্‌ল বেজায় ছুটিতে।
জল্‌দি কেন গাড়োয়ান? ঘোড়া তোমার মর্ব্বে যে।
ঘণ্টা ভাড়া পাবে, তবু তাড়াতাড়িই কর্বে হে?

তুমি যাচ্চ তাড়াতাড়ি, আমি ধীরে সুস্থে;—
অর্থটা তার একটুখানি তলিয়ে যদি বুঝ্‌তে!
সবুরে যে মেওয়া ফলে, সেকথা কি সত্য নয়?
কিলিয়ে যে কাঁঠাল পাকাও, সেইটি খালি পথ্য হয়?
জীবন তত্ত্বের হ্রস্ব দীর্ঘ একেবারেই ভুল্লে হে;
শত যুগ ত শত বর্ষ, শতেক ফোঁটা কুল্লে হে!
শিথিল কর পায়ের গতি, এবং কোমর-বন্ধ।
শুয়ে শুয়ে ন্যাজ্‌টি নাড়া, কাজ্‌টি নহে মন্দ।